শনিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » শীতে কাঁপছে গাইবান্ধা
শীতে কাঁপছে গাইবান্ধা
গাইবান্ধা :: পশ্চিমা কনকনে হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা গাইবান্ধা। হঠাৎ করেই তীব্র কুয়াশা পড়তে শুরু করে। শুক্রবার সারাদিন কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে গোটা গাইবান্ধা জেলা। তাপমাত্রা দিনের বেলাতেই ১৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে। সেই সাথে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। শীতের কারণে গোটা জেলার গরীব মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পর থেকেই রাস্তায় লোক চলাচল কমে যায়। শীতের কবল থেকে বাঁচতে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
আজ শনিবার দুপুর ২টার পর সূর্যের মুখ দেখা গেলেও সূর্য কিরণের কোন উত্তাপ ছিল না। হালকা কুয়াশার চাদর ছড়িয়ে ছিল এবং সেইসাথে বইছিল হিমেল হাওয়া দিনভর।
তীব্র ঠান্ডায় কৃষক জমিতে কাজ করতে পারছে না। এদিকে অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও রোদ না থাকায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে সরিষা ও বোরো ধানের চারা। হলুদ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধানের চারা, ঝরে পড়ছে সরিষার ফুল। এই প্রচন্ড শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে কোল্ড ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, হাপানি রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতবস্ত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ছিন্নমুল মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে।
ঘন কুয়াশার কারণে ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ অন্য নদ-নদীতে নৌ চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। ফলে মূল ভূমির সাথে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে অনেকে দিনের বেলায় গাড়ির হেড লাইড জ্বালিয়ে চলাচল করছে। ফলে চরাঞ্চলের মানুষরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ে।