বৃহস্পতিবার ● ২ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে জামিন পেলন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ
বান্দরবানে জামিন পেলন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতের মামলায় সাবেক জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুছকে ১০ বছরের জেল ও ১৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করে জেল হাজতে প্রেরণ করার পরে জেলা দায়রা জজ আদালতে আপিল করলে জামিন বিজ্ঞ আদালত তার মঞ্জুর করেন। আজ বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় বান্দারবান জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্মমান আদালতের রায়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছকে ১০বছরের জেল ও ১৭লক্ষ টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন সহকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত। পরে বৃহস্পতিবার বান্দরবান জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে আপিল শুনানি করা হলে বিজ্ঞ আদালত বান্দরবান জেলার ৩০জন আইনজীবীর সম্মুখে ৫০হাজার টাকার বন্ডে দুইজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এসময় বান্দরবান জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমদাদ উল্লাহ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইকবাল করিম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল শুনানি করা হলে বিজ্ঞ দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালত সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছকে ৫০হাজার টাকার বন্ডে দুইজন গণ্যমান্য ব্যক্তির জিম্মায় জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সাড়ে দশটায় সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন আব্দুল কুদ্দুছ চেয়ারম্যানকে ফোনে জুডিশিয়াল আদালতে ডেকে নিয়ে তাঁর ব্যাক্তিগত মোবাইল জব্দ করেন। পরে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সামিউল আলমকে নিয়ে জেলার থানচি উপজেলায় ইটভাটাটির উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে অভিযান শেষে তাঁরা রাতে শহরে ফিরে তদন্ত প্রতিবেদন লেখা শেষে রাত ১টার সময় ১০বছরের জেল ও ১৭লাক্ষ টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, শ্রমিকনেতা ও বিএনপিনেতা আব্দুল কুদ্দুছকে ১০ বছরের কারাদ- ও ১৭ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং প্রবিণ ব্যক্তিত্বকে শারীরিক নির্যাতন করার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার প্রতিবাদে বান্দরবানে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাকদেন পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা। এসময় তারা অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লা আল মামুনকে প্রত্যাহারের দাবী করেন ও দূর্নিতিবাজ বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সামিউল আলমকে অপসারণের দাবি করেন। এসময় পরিবহন ধর্মঘটের ফলে বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীরা। পরে বিয়টি নজরে আসলে স্থানিয় সংসদ ও পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতায় বান্দরবানের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।