শিরোনাম:
●   রাঙমাটি জেলা পরিষদে থেকে আওয়ামীপন্থী সদস্যদের নিয়োগ বাতিল করার দাবীতে মানববন্ধন ●   ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   নবীগঞ্জে মোবাইল চুরির হিড়িক ●   বাংলাদেশ রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিক কারখানায় জনবল সংকট ●   সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকীতে মানুষের ঢল ●   মিরসরাইয়ে শান্তিনীড় বৃত্তি পেলো ১১৫ জন শিক্ষার্থী ●   বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই : পার্বত্য উপদেষ্টা ●   বিনা প্রয়োজনে রেললাইন স্টেশন স্থাপনে অর্থ লুটপাট : রেল উপদেষ্টা ●   ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব ●   গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ●   ঘোড়াঘাটে কারাবরণকৃত নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় ●   নবীগঞ্জে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার ●   নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন ●   আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে দন্ত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ রোগী ●   যমুনা রেলওয়ে সেতুর দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে : নির্মাণে ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় ●   ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা ●   মিরসরাইয়ে বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন ●   চুয়েটে রিসার্চ বেজড টিচিং-লার্নিং ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদক ব্যাবসায়ী সহ গ্রেফতার-৫ ●   বঞ্চিত ৪ উপজেলার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ●   রাউজানে যে হাটে বিক্রি হয় মানুষ ●   ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের ৪৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত ●   নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস ●   মুক্তিপণ আদায়ের পর মিথ্যা মামলা, দিশেহারা প্রবাসী পরিবার ●   পাইন্দং সংঘারাম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   ঈশ্বরগঞ্জে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার ●   চুয়েটে ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটি’র ৪৬তম সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে ব্রি ধান ৮৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
রাঙামাটি, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ৫ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার পর এবার টার্গেট কোলের শিশু
প্রথম পাতা » অপরাধ » তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার পর এবার টার্গেট কোলের শিশু
রবিবার ● ৫ জানুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার পর এবার টার্গেট কোলের শিশু

---ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর মসজিদপাড়ায় তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার পর এবার ওই পরিবারের ৮ মাস বয়সী শিশু আব্দুল্লাহ ইবনে হুসাইনকে হত্যার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে তাই মা শিউলী খাতুন পালিয়ে পিতার বাড়িতে উঠেছেন। চার বছর আগে তারই দুই শিশু সন্তানসহ একসঙ্গে তিন শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছিল তার স্বামীর বড় ভাই ইকবাল হোসেন। বর্তমানে ইকবাল জামিনে মুক্তি পেয়ে এলঅকায় ঘোরাফেরা করছেন। তার এই ঘোরাফেরায় কোলের শিশুটির ক্ষতি হতে পারে এমন আশংকায় বর্তমানে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন শিউলী খাতুন। শিউলী খাতুনের অভিযোগ ইকবাল হোসেন জামিন পাওয়ার পর তার নিজের পাসর্পোটটি নবায়ন করেছেন। এখন ভিসার জন্য চেষ্টা করছেন। ভিসা পেলে খুনি ইকবাল দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। আর ঘাতক ইকবাল পালিয়ে গেলে তার দুই শিশুসহ তিন শিশু হত্যার বিচার পাবেন না বলে আশংকা করছেন। শিউলী খাতুন জানান, ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর মসজিদপাড়া এলাকার গোলাম নবীর বাড়িতে তিনটি শিশুকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। গোলাম নবীর দুই ছেলে ইকবাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনের মধ্যে দ্বন্দে ছিল। এই দ্বন্দের কারনে ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেনের দুইপুত্র মোস্তফা সাফিন (৭) ও মোস্তফা আমিন (১০) এবং শিশু দুইটির ফুপাতো ভাই মাহিন হাসানকে (১২) ঘরের মধ্যে আটকে রেখে মারপিট করে বড় ভাই ইকবাল হোসেন। এক পর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস ছেড়ে আগুন ধারিয়ে শিশু তিনটিকে হত্যা করে। গ্রামবাসি জানায়, গোলাম নবীর ছোট ছেলে দেলোয়ার হোসেন পেশায় স্কুল শিক্ষক, আর বড় ছেলে ইকবাল হোসেন থাকতেন সিঙ্গাপুরে। সেখান থেকে টাকা পাঠাতেন বাড়িতে। ঘটনার ৫ থেকে ৬ মাস আগে ইকবাল বিদেশ থেকে দেশে ফিরে পিতা গোলাম নবীর কাছে তার পাঠানো টাকার দাবি করে। এই টাকা নিয়ে তার পিতা গোলাম নবী, ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে ইকবালের বিরোধ হয়। এই বিরোধ এর কারনে ইকবাল হোসেন প্রতিশোধ নিতে শিশু তিনটিকে পুড়িয়ে মারে। আগুন দেওয়ার পর শিশু তিনটি যখন পুড়ছিল তখন ইকবাল চিৎকার করে বলেছিল ‘আমি দেলোয়ারের বংশ নিঃবংশ করে দিয়েছি’। পরে ইকবাল হোসেনকে জনসাধারণ আটক করে পুলিশে দিয়েছিল। সেই থেকে ইকবাল কারাগারে থাকলেও গত জুলাই মাসের ১৭ তারিখ তার জামিন হয়েছে। জামিনের পর এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন। শিউলী খাতুন আরো জানান, সাফিন আর আমিনের মৃত্যুর ৩ বছর ৩ মাস পর তার গর্ভে নতুন সন্তান আসে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ তার জন্ম হয়েছে। নাম রেখেছেন আব্দুল্লাহ ইবনে হুসাইন। এই শিশুটি জন্ম নেওয়ার সাড়ে ৩ মাস পরই ইকবাল হোসেন কারাগার থেকে বাইরে বেরিয়েছেন। এরপর থেকে তিনি আতংকে আছেন। কারন ইকবালের ইচ্ছা দোলোয়ারের বংশ শেষ করা। তিনি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি শৈলকুপার চতুড়িয়া গ্রামে অবস্থান করছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মামলায় শাস্তি হওয়ার আশংকায় রয়েছে ইকবাল। যে কারনে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছেন। গত নভেম্বর মাসে ইকবাল হোসেন তার পুরাতন পাসর্পোটটি (নম্বর ইই-০৪২৭১০৬) নবায়ন করেছেন। এখন ভিসার জন্য চেষ্টা করছেন। ভিসা পেলে ইকবাল হোসেন দেশ ছেড়ে পালাবেন। ইকবাল হোসেন যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন এই বিষয়টি তিনি লিখিত ভাবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরকে অবহিত করেছেন।

ঝিনাইদহে ২০১৯ সালে ধর্ষণ মামলা ৩৯ ও নারী নির্যাতন মামলা ১৩৫টি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে বিদায়ী বছরে বেড়েছে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা। তরুণী, শিশু, মধ্য বয়সী, প্রতিবন্ধী, গৃহবধূরা শিকার হয়েছে এ ধরনের ঘটনার। এদের মধ্যে তরুণীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। জেলা পুলিশের তথ্য মতে, ২০১৬ সালে ধর্ষণ মামলা হয়েছে ১৮টি, নির্যাতন মামলা ৯০টি। ২০১৭ সালে ধর্ষণ মামলা ২৪টি, নির্যাতন মামলা ১১৬টি। ২০১৮ সালে ধর্ষণ মামলা ৩১টি, নির্যাতন মামলা ১০৪টি। ২০১৯ সালে ধর্ষণ মামলা ৩৯টি এবং নির্যাতন মামলা হয়েছে ১৩৫টি। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৬ সালে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১১২টি, ২০১৭ সালে ১০৮টি, ২০১৮ সালে ৯৫টি এবং ২০১৯ সালে প্রায় ৭০টি। অন্য দিকে সদর হাসপাতালের তথ্যে ধর্ষণের ঘটনায় ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে ২০১৬ সালে ৪৭টি, ২০১৭ সালে ৭৭টি, ২০১৮ সালে ৯৮টি এবং ২০১৯ সালে ১২৮টি। জেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিবারের অগোচরে মেয়েরা নানাভাবে বখাটেদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। সাথে সহপাঠী কিংবা নানা বয়সী পুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরেও পাশবিক ও শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। কখনো কখনো খারাপ চরিত্রের বয়স্ক ব্যক্তিরাও জোরপূর্বক তাদের লালসা চরিতার্থ করছে নারীদের দ্বারা। অন্যদিকে পারিবারিক কিংবা সামাজিক ভাবেও নির্যাতন করা হচ্ছে নারীদের। কখনো প্রভাবশালীরা একে অন্যকে ফাঁসাতে থানায় নির্যাতন মামলা করছে। অনেক ঘটনায় গ্রাম্য প্রভাবশালীরা অর্থের বিনিময়ে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করছে ভুক্তভোগী পরিবারকে। এসব ঘটনায় কিছু আসামি গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মুল অপরাধীরা। অভিভাবকরাও অনেক ক্ষেত্রে খোঁজ রাখছেন না তাদের সন্তানেরা কোথায় যাচ্ছে কী করছে। সরকারি নুরুন নাহার মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এন এম শাহজালাল জানান, শিশুদের মধ্যে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের একটা অভাব রয়ে যাচ্ছে পারিবারিকভাবে। যা একটি শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, পরিবর্তন করে দিচ্ছে জীবনধারাকে। তাই অভিভাবকদের তাদের সন্তানের প্রতি বেশ যতœবান হতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে সে কোথায় কী করছে। তাহলেই এ ধরনের অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে। মানবাধিকার নেতা আমিনুর রহমান টুকু জানান, স্বামী-স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে বন্ধনের অভাব, আর্থিক দৈন্যতা, সামাজিক-রাজনৈতিকসহ নানা কারণে ধর্ষণ বা নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলো অহরহই ঘটছে। এক্ষেত্রে গ্রামে গ্রামে, শহরে, পাড়া মহল্লায় ব্যাপকভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে। এক পর্যায়ে দেখা যাবে মানুষ সচেতন হতে থাকবে আর কমে যাবে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শরীফা আক্তার বলেন, আমরা কম সংখ্যক জনবল নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি নারী নির্যাতন প্রতিরোধে। তবে পুলিশ কিংবা জেলা প্রশাসনের মতো আমাদের আইন প্রয়োগের ক্ষমতা না থাকায় সব ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারি না। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জুনিয়র গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. মার্ফিয়া খাতুন জানান, সদর হাসপাতালে ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে যে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয় সেক্ষেত্রে ৩০ ভাগ আলামত পাওয়া যায়। বাকি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ছেলে-মেয়ে নিজেদের পছন্দমতো বিয়ে করছে, এক সাথে থাকছে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ মামলা করা হচ্ছে। ফলে সেগুলোও ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে সেটাকে ধর্ষণ বলা যায় না। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুততার সাথে ভুক্তভোগী পরিবারের ন্যায় বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। অভিযোগ পেলে বা থানায় মামলা হলে আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আর এ ধরনের অপরাধের গ্রাম্যভাবে মীমাংসা কোনো বিধান নেই।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)