মঙ্গলবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » দখলদাররা নদীর দুই পাড় দখল নিয়ে করেছেন অবৈধ স্থাপনা
দখলদাররা নদীর দুই পাড় দখল নিয়ে করেছেন অবৈধ স্থাপনা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের চিত্রানদীর তলদেশ ভরাটের কারনে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে, এখন সমতল ভুমিতে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে বর্ষায় ছাড়া বছরের অন্য কোন সময় পানি থাকে না। আর কিছু কিছু জায়গায় পানি থাকলেও খুবই কম পরিমাণে, যা নদীর প্রবাহতাকে ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রাকৃতিকভাবে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে নদীতে পলি পড়ে নদীর এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আবার নদী দখলদাররা নদীর দুই পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা, পুকুর তৈরি, নিয়মিতভাবে গৃহস্থলির বর্জ্য, বিভিন্ন নালা-নর্দমার বর্জ্য, বৃষ্টির পানি দিয়ে চুয়ে আসা নানান আবর্জনা, দোকানপাটসহ গরু ছাগল গোসল করানোর সময় পাড় ভেঙ্গে গড়িয়ে পড়ে নদীকে এক প্রকার হত্যা করেছে। একটা সময় ছিল নদীর বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত জোয়ার-ভাটা হত। তখন প্রায় ৮০ হাজার একর জমিতে কৃষকরে সেচ কাজের সমাধান হত। পানির কোন অভাব হত না। বর্তমানে নদীতে পানি না থাকায় উৎপাদন কাজে সেচের ব্যাহতসহ প্রায় ১০ লাখ মানুষ চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও প্রাকৃতিকভাবে নদী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তবে এই প্রতিকূল অবস্থার জন্য মানুষের সৃষ্টি কারণ মুখ্যভাবে দায়ী বলে বিশেষব্যাক্তিরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। যার কারনে নদী হারিয়েছে তার অতীত ঐতিহ্য এবং পরিণত হয়েছে মরা নদীতে। ১৯২৭ সালের মাত্র চিত্রের তথ্যনুযায়ি, চিত্রা নদীটি কুষ্টিয়ার গড়াই নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে চুয়াডাঙ্গার দর্শাণার পাশ দিয়ে ঝিনাইদহ সদর, কোটচাঁদপুর-কালিগঞ্জের মধ্যদিয়ে ১৭০ কিলোমিটার নদীটি, ৮ জেলা ২৬ থানা অতিক্রম করে রূপসা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এক সময়ের উত্তাল প্রমত্ত চিত্রা নদী জীববৈচিত্র হারিয়ে নিজেও যেতে বসেছে। সচেতনব্যাক্তিদের অভিমত, গত শতকের ৬০ এর দশকে দাতা সংস্থার পরামর্শ ও অর্থায়নে কিছু জলকাঠামো নির্মাণ করা হয়। যেগুলোর সবচেয়ে ভয়াবহ প্রভাব পরিলক্ষিত হয় ঝিনাইদহ অঞ্চলের নদী গুলোর উপর। যার ভয়াবহতার কবল থেকে বাদ পড়েনি এক সময়ের প্রমত্ত চিত্রা। এই বাঁধ গুলোই নদীর প্রবাহমান ও গতিময়তাকে গ্রাস করে শীর্ণ দশায় পরিণত করেছে। অতীতে যে নদীতে লঞ্চ, স্টিমার ও জাহাজ চলতো, আজ সেখানে আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। যদিও নদীটি সংস্কারের দাবিতেও অবৈধ দখলমুক্ত করতে জেলাবাসিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন আন্দোলন সংগ্রাম করছে। এরই মধ্যে নদীকে নদীটির পশ্চিমে নব্যতা ফিরিয়ে আনতে চুয়াডাঙ্গার মধ্যে ২৬ কিলোমিটার খননের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে, জেলাবাসিও তাদের অংশে খননের মাধ্যমে নব্যতা ফিরিয়ে আসতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী সরওয়ার জাহান সুজন বলেন, নদীটি খননের বিষয়ে ড্রাফট করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুতই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
কৃষকের ধান বিক্রির চেক ছিনতাইয়ে বাঁধা দেওয়ার বাড়ী-ঘর ভাংচুর
ঝিনাইদহ :: অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহে সরকার সচ্ছতা নিশ্চিত করতে কৃষকের এ্যাপসের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করছে। সারাদেশের ১৬ টি উপজেলার মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা এ কর্মসূচীর একটি মডেল। সদর উপজেলার ২১’শ ২৮ জন কৃষককে এ্যাপসের মাধ্যমে লটারী করে নির্বাচিত করা হয়। যারা সরাসরি গুদামে ধান দিবেন ও কৃষকের নিজের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করবেন। এরপরও যেন থেমে নেই মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌরাত্বা। প্রকৃত কৃষককে ব্যাংকে নিয়ে তার কাছ থেকে জোরপুর্বক চেক স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়নে। চেক ছিনতাইয়ে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। জানা গেছে, সোমবার বিকেলে চুটলিয়া গ্রামের নির্বাচিত কয়েকজন কৃষককে শহরের হামদহ পুবালী ব্যাংকে নিয়ে আসেন সুরাট ইউনিয়নের কবির হোসেন জোয়ার্দ্দার কেবির ভাই শাবু ও কল্যানপুর গ্রামের মৃত. শরাফতের ছেলে জিয়া। শাবু ও জিয়া কৃষকদের ২ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে কৃষক কার্ড ও চেকের পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা চুটলিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান বাঁধা দিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে সোমবার বিকেলে জিয়া ও শাবুর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন লোক মোটর সাইকেল যোগে চঞ্চলের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় তারা ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় চঞ্চল বাদী হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহ সার্কেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারের যোগদান
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সার্কেলে যোগদান করলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে আসা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার । তিনি ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ থানার (সদর সার্কেলে) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে সম্প্রতি যোগদান করেন। মেধাবী এই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে ৩১ তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারি পুলিশ সুপার হিসাবে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন তিনি। তার বাড়ি খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায়। ইতিপূর্বে তিনি ভোলা, বরিশাল ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই ব্যাপারে আবুল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান (পিপিএম) এর নির্দেশনা মোতাবেক এ জেলায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন ও মানুষের সেবা প্রদানের জন্য কাজ করে যাব”। কোন ধরনের অবৈধ কাজ, অস্ত্র, মাদক, নাশকতা, সন্ত্রাসসহ সকল প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকান্ড রুখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে আসামীর মৃত্যুু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে নিজাম উদ্দিন নামে এক মাদক মামলার আসামীর মৃত্যুু হয়েছে। সোমবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজার পাড়ার হিম চাঁদের ছেলে। ঝিনাইদহ জেল সুপার গোলাম হোসেন জানান, নিজাম উদ্দিন মাদক মামলায় জেলাখানায় আটক ছিলেন। সোমবার বিকেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবীর কারাদন্ড
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে কালীগঞ্জে মাদক সেবনের অভিযোগে আয়ুব হোসেন (৪৫) নামের এক মাদক সেবীকে ৫ দিনের কারাদন্ড ও ৫’শ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভুপালী সরকার এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন। আদালত সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে মাদক সেবন করা অবস্থায় উপজেলার বাদেডিহি গ্রাম থেকে আয়ুব হোসেনকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৫ দিনের কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করে আদালতের বিচারক।