বৃহস্পতিবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » কোটচাঁদপুরের পৌর মেয়র ও ২ ক্লিনিক মালিকসহ ৬ জনের নামে ধর্ষন মামলা
কোটচাঁদপুরের পৌর মেয়র ও ২ ক্লিনিক মালিকসহ ৬ জনের নামে ধর্ষন মামলা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে মোহাম্মদ আজাদ ও আসমত হোসেন নামে ক্লিনিক মালিক ও কোটচাঁদপুরের পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরেসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার দুই নারী পৃথক ভাবে মামলা দুইটি করেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে বুধবার ধর্ষিতাদের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু শহরের হাসপাতাল মোড়ের ভাই ভাই ক্লিনিকের মালিক আসমত হোসেন ও তার ভাই আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে একই ক্লিনিকের এক নার্স ধর্ষন মামলা করেন। বুধবার সকালে হরিণাকুন্ডু থানায় উপস্থিত হয়ে ওই নারী মামলাটি করেন, যার মামলা নং ১৩/২০২০। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান মামলা রেকর্ডের কথা স্বীকার করে বলেন, ক্লিনিকের এক নার্সকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিনিক মালিক দৌহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ওই নার্স আইনের আশ্রয় নেন। বুধবার দুপুরে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানান। এদিকে জেলার কোটচাঁদপুর শহরের নার্সিং হোম ক্লিনিক মালিক মোঃ আজাদ হোসেন ও স্থানীয় পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরেসহ চারজনের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন স্বামী পরিত্যক্তা (৩৫) এক নারী। আদালতের নির্দেশ পেয়ে মঙ্গলবার কোটচাঁদপুর থানা ধর্ষণ মামলাটি রেকর্ড করে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন নার্সিং হোমের নার্স রুমা এবং নার্স গোল বানু। এদের মধ্যে গোল বানুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোটচাঁদপুর থানার ওসি মাহাবুবুল আলম বুধবার বিকালে বলেন, সোমবার ভুক্তভোগী ওই নারী ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে আমরা নার্সিং হোম ক্লিনিক মালিক মোহাম্মদ আজাদ, কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামসহ চারজনের নামে মামলা রেকর্ড করি। মামলার এজাহার বলা হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মহেশপুর উপজেলার ঘুগরি পান্তাপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী দুবাই থাকতেন। সেখান থেকে ফেরার পর কোটচাঁদপুরের নার্সিং হোম ক্লিনিক মালিক মোহাম্মদ আজাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামের সহযোগিতায় ক্লিনিক মালিক তাকে ধর্ষণ করে।
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রসহ ৩ জন নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে পৃথক দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো চারজন। জেলার কালীগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রনি আহমেদ ও মহেশপুরে কারেন্টের খাম্বাবাহি লরির চাপায় কামাল হোসেন (৩৪) ও খলিলুর রহমান নামের দুই শ্রমিক নিহত হয়। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার কোটচাঁদপুর সড়কের শাহপুর নমাকস্থানে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামি পিকআপ স্কুল ছাত্র রনিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়। রণি শাহাপুর স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খেলতে এসেছিল। নিহত রনি কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের ধলাপাড়ার বাহাজ্জেল হোসেনের ছেলে ও দাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। একই দিন বেলা ১১টার দিকে কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের মহেশপুর উপজেলার বজ্রাপুর নামক স্থানে যাত্রীবাহি ইঞ্জিনচালিত আলমসাধুর সাথে বিদ্যুতের পোলবাহী লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কামাল হোসেন (৩৪) নামে ওই শ্রমিক ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেয়ার পথে খলিলুর রহমান নামে দুই শ্রমিক নিহত হন। চারজনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত কামাল হোসেন মহেশপুর উপজেলার আজমপুর গ্রামের আদম আলীর ছেলে। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস খবরের সত্যা স্বীকার করেছেন।
মহেশপুর সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে বাংলাদেশী যুবকের লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে এক বাংলাদেশী যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়ে। সে মহেশপুরের পলিয়ানপুর গ্রামের সবুর আলীর ছেলে হৃদয় হোসেন। ঝিনাইদহের কোটচাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক জানান, বুধবার সকালে মহেশপুরের পলিয়ানপুর সীমান্তের ইছামতি নদী থেকে এক বাংলাদেশেী যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে নদীতে স্থানীয়রা ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তার লাশ উদ্ধার করে। মৃত হৃদয় হোসেন অবৈধভাবে ভারত থেকে ইছামতি নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারন জানা যাবে বলেও পুলিশ জানায়।
মহেশপুর সীমান্ত থেকে ভারতীয় নাগরিক আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে মঞ্জয় কুমার (৩৫) নামের ১ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। বুধবার ভোর রাতে উপজেলার জুলুলী সীমান্তের মাটিলা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানার কুলিয়া গ্রামের সুশান্ত কুমারের ছেলে। খালিশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খাঁন জানান, বুধবার ভোর রাতে জলুলী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে ১ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। আটককৃত ভারতীয় নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে সে বাংলাদেশে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়ানোর জন্য বাংলাদেশে আসে। তাকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
৭ মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভূক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের ৭ মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় ওই পরিবার গুলো হতাশা ও উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এমন দাবি তুলে একত্রে ওই পরিবার গুলির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এস.কে ফয়েজ আহম্মেদ রিয়ন লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন- তার মামা উপজেলার সাফদারপুর গ্রামের মৃত. মোহম্মদ আলী খাঁন এবং মৃত আবদুর রশিদ খাঁন ছিলেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ৭১ সালে ৮ নম্বর সেক্টরের মেজর এম.এ.মঞ্জুর ও মেজর ওসমানের অধিনে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। নিয়েছিলেন ভারতে প্রশিক্ষণ। তার দুই মামা এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া সাফদারপুর বাজার পাড়া এলাকার আক্কাচ আলী মন্ডল, আবুল হোসেন খোকন, সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী ও সাফদারপুরের পার্শ্ববর্তী দোড়া ইউনিয়নের সুয়াদী গ্রামের সুলতান মোল্যার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন-এই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এখন রাজাকারের তালিকায়। সোমবার সন্ধ্যারাতে সাবদারপুর গ্রামে মৃত মোহম্মদ আলী খাঁনের বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আক্ষেপ করেন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-ওই সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ফিরোজা আলম রেখা, হামিদ খাঁন, হীরন খাঁন, এস কে ফয়েজ আহাম্মেদ রিয়ন, সিহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য স্বজনেরা। সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়-রাজাকারের তালিকায় আনা মোহাম্মদ আলী খাঁনের রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ। আক্কাচ আলী মন্ডল তিনি শুধু দেশের জন্য যুদ্ধ করে থেমে থাকেননি তিনি এলাকার মানুষের জন্য ৯৬ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে সাফদারপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার জন্য ৫ শতক জমিও দান করেছেন। এর বাইরেও একই এলাকার বেনু মিয়া নামে আর এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তিনি ২০১৭ সালে মৃত্যু বরণের পর তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এমনকি যথানিয়মে তার পরিবার রাষ্ট্র প্রদত্ত ভাতাসহ যাবতীয় সুবিধাদি ভোগ করছেন। অথচ এইসব মুক্তিযোদ্ধাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজাকারের তালিকায় রয়েছে। যা মুক্তিযোদ্ধাসহ ওই পরিবার গুলোকে হেয় করাসহ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত তালিকা বাদ দিয়ে সঠিক তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারদের মূল্যায়নের আহ্বান জানান উপস্থিত স্বজনেরা। এব্যাপারে কোটচাঁদপুরের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তাজুল ইসলাম বলেন-এই সাত জন মুক্তিযোদ্ধা না রাজাকার সে সম্পর্কে আমার কিছইু জানা নেই। এ সম্পর্কে মন্ত্রানালয় থেকে যদি কখনো জানতে চাই সে ক্ষেত্রে খোঁজ খবর নিলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত: মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৪৬ জনের নাম এসেছে। এর মধ্যে সাফদারপুর ইউনিয়নেই ২২ জন রয়েছে।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হয়েছে তেজপাতা চাষ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে বাণিজ্যিক ভাবে তেজপাতার আবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলাতে আবাদ হচ্ছে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে। চাষী আছে অন্তত ৬০ জন। তেজপাতার একটি গাছ থেকে বছরে দুবার পাতা তোলা যায়। রোগ বালাই বা ফসলের তেমন ক্ষতি না থাকায় প্রতি বিঘা থেকে বছরে প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা আয় হচ্ছে। কালীগঞ্জের সুন্দর দুর্গাপুর ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদ চার বছর ধরে তেজপাতা চাষ করছেন। তার নিজের ৩৫ শতাংশ জমিতে তেজপাতা চাষের জন্য বেছে নিয়েছেন। খুলনা থেকে তেজপাতার চারা এনেছিলেন। তার জমিতে ১৩০টি তেজপাতার গাছ রয়েছে। বছরে দুই বার সার দিয়ে থাকেন। বছরে প্রতি গাছ থেকে বছরে দুবার তেজপাতা সংগ্রহ করছেন। চার বছর বয়সী গাছ থেকে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি পাতা সংগ্রহ করছেন। প্রতি কেজি তেজপাতা ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তেজপাতা চাষী আবুল কালাম আজাদ জানান, তার বাগানে প্রথম বছর তিন মণ তেজপাতা উৎপাদন হয়। এর পরের বছর ৯ মণ পাতা সংগ্রহ করেন। সর্বশেষ গেল বছরে তেজপাতার বাগান থেকে ২৩ মণ পাতা সংগ্রহ করেছেন। আসছে মৌসুমে ২০ মণ পাতা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। আবুল কালাম আরো জানান, প্রতি কেজি তেজপাতা পাইকারি ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করে বাগান থেকে আয় করেছেন এক লাখ টাকার মতো। খরচ বাদ দিয়ে তার লাভ হয়েছে ৮০ হাজার টাকার মতো। এলাকার অন্য চাষীদের ভাষ্য, তেজপাতা চাষে তেমন খরচ হয় না। চারা লাগানোর পর শুধু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাই প্রধান কাজ। রোগ বালাই নেই বললেই চলে। তবে বসন্তকালে পোকার আক্রমণের আশঙ্কা থাকে। সে সময় ওষুধ প্রয়োগ করলে সে আশঙ্কা থাকে না। বিঘা প্রতি তেজপাতার উৎপাদন খরচ মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো। আরো কয়েকজন চাষী জানান, তেজাপাতার সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে হলুদ, কলাগাছও লাগানো যায়। এতে এক সঙ্গে দুই ধরনের ফসল পাওয়া যায়। তেজপাতা চাষী জাহিদ হাসান বলেন, তেজপাতা চাষে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের পরামর্শেই আমরা তেজপাতা চাষাবাদ করছি। এলাকায় নতুন ভাবে এই মসলা জাতীয় ফসল চাষে আগ্রহ বাড়ছে। জাহিদ হাসান আরো বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে তেজপাতা চাষে খরচ খুব সামান্য। আর ফসলহানির ঝুঁকিও নেই তেমন। সে কারণে দিন দিন এলাকার অন্য চাষীরাও তেজপাতা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। জাহিদ হাসানের আশা অন্য ফসলের চেয়ে তেজপাতায় অনেক বেশি লাভ হবে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, তেজপাতা একটি নতুন অর্থকারী ফসল। সঠিক নিয়মে তেজপাতা চাষ করলে গতানুগতিক অন্য ফসলের চেয়ে তেজপাতায় বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা। তাছাড়া তেজপাতা শুধু মসলা হিসেবেই ব্যবহার হয় না, এর রয়েছে ঔষধি গুণাগুণ। তেজপাতা গাছের বাকল থেকে তেল, ওষুধ, কীটনাশক ও সুগন্ধির উপকরণ পাওয়া যায়। সাথী ফসল হিসেবে তেজপাতার বাগানে নানাবিধ ফসলও চাষ করা যায়। সাধারণত বর্ষার মৌসুমে তেজপাতা গাছ রোপণ করা হয়। দুই বছরের মধ্যেই পাতা সংগ্রহ করা যায়। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া তেজপাতা চাষের উপযোগী। সে কারণে তেজপাতা চাষে এখানকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে তেজপাতা চাষ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ করে ১নং সুন্দপুর দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল, সিনদহ এলাকায় সবচেয়ে বেশি প্রায় ২০ বিঘা জমিতে তেজপাতার আবাদ হচ্ছে। এখানকার অর্ধশত চাষী তেজপাতা চাষে জড়িত। তবে পারিবারিক চাহিদা মেটাতে এখানকার প্রতিটি বাড়িতে দুই একটি করে তেজপাতা গাছ লাগানো হয়েছে।