বৃহস্পতিবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় » পিএইচডি জালিয়াতি’র সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ‘মূর্খ’ বললেন ভিসি ড. মীজানুর রহমান
পিএইচডি জালিয়াতি’র সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ‘মূর্খ’ বললেন ভিসি ড. মীজানুর রহমান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রক্টর মোস্তফা কামালের নিয়োগ ও তার পিএইচডি ‘জালিয়াতি’র সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ‘মূর্খ’ বললেন উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান।
অন্যদিকে মোস্তফা কামালের পিএইচডি জালিয়াতির সংবাদকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে দুটি পত্রিকা পুড়িয়েছে জবি ছাত্রলীগের একাংশ। বুধবার ক্যাম্পাসে মিছিল করে রফিক ভবনের সামনে পত্রিকা পোড়ায় তারা।
এদিকে এক বিবৃতিতে প্রক্টরের নিয়োগ ও পিএইচডি ডিগ্রির অনিয়মে প্রশাসনের স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে প্রগতিশীল ঐক্যজোট ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জবি শাখা। অন্যদিকে উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান সাংবাদিকদের ‘মূর্খ’ বলায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন জানেন না, এমন মূর্খ সাংবাদিকরাই এ ধরনের সংবাদ লিখতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের নিয়ম ছিল- যদি কোনো বিভাগের শিক্ষক ওই বিভাগেই পিএইচডি করেন তবে তিনি দুই বছর পরেই পিএইচডি জমা দিতে পারবেন। সে নিয়ম অনুসারে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুল ইসলামকে ৩৭তম একাডেমিক কাউন্সিলে পিএইচডি প্রদান করা হয়। এর এক বছর পর একই নিয়মে মোস্তফা কামালকে পিএইচডি দেওয়া হয়। এ নিয়মটি শুধু ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের জন্যই প্রযোজ্য। তাছাড়া বর্তমান প্রক্টর মোস্তফা কামালকে পিএইচডি দেওয়া হয়েছে ৩৯তম একাডেমিক কাউন্সিলে। সুতরাং তার পিএইচডি যাবতীয় নিয়ম মেনেই হয়েছে।’
জবি ছাত্রলীগের একাংশ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের অনুসারীরা বলেন, যুগান্তর ও ইনকিলাব পত্রিকা জামায়াত ও বিএনপির এজেন্ট। তাদের অবস্থান প্রগতিশীল চিন্তার বিরুদ্ধে, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। ওই পত্রিকা দুটি স্বায়ত্তশাসিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে অবমাননা করেছে।
এদিকে বিবৃতিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোট নেতারা বলেছেন, প্রক্টরের মতো দায়িত্বশীল পদে থাকা একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্বেগজনক, যা সমাজে শিক্ষকদের নৈতিক অবস্থানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত এ ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। একই দাবি জানিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জবি শাখার সভাপতি মোনায়েম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তানজিম সাকিব।
জবি সাংবাদিক সমিতির এক প্রতিবাদ বার্তায় সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের যথাযথ প্রমাণ ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে যাচাই করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার নিয়োগ ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানে অনিয়মের তদন্ত না করেই তার পক্ষে সাফাই গেয়ে উল্টো সাংবাদিকদের মূর্খ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে উপাচার্যের এ বক্তব্যে সাংবাদিক সমাজ হতাশ এবং যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সৌজন্য সমকাল