রবিবার ● ১৯ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের গা ঢাকা
কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের গা ঢাকা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: সদ্য জাতীয়করণকৃত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মাহতাব উদ্দীন কলেজের কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল গা ঢাকা দিয়েছেন। বেতন বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষকদের জনরোষ ও বৈধ অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুবর রহমানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে এই আশংকায় তিনি শনিবার থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। এর আগে তিনি ননএমপিও ভুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার মল্লিকের কাছে দায়িত্ব দেন। সুব্রত একদিনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। সরকারী কলেজ হওয়ায় দায়িত্ব হস্তান্তরের এই প্রক্রিয়া যদিও অবৈধ তবুও ছাত্রদের মার্কসিট ও সনদপত্র প্রদানের জন্য চলতি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন ওই কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শশাংক কুমার ছানা। শনিবার বিকালে তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। শশাংক কুমার ছানা বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। কলেজে এসে দেখি আমার কাছে চলতি দায়িত্ব দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল চলে গেছেন। তিনি জরুরী কাজে খুলনা গেছেন। কবে ফিরবেন তা জানান নি। দায়িত্ব হস্তন্তরের চিঠিতে আব্দুল মজিদ মন্ডল উল্লেখ করেছেন, “অনিবার্য কারণবশতঃ আমার অনুপস্থিতির কারণে ১৮/০১/২০২০ থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত এই কলেজের গণিত বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক শশাংক কুমার ছানা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন”। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহাকারী পরিচালক আব্দুল কাদের সাক্ষরিত (কলেজ-৩) চিঠি সুত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশন ১০৩২/১৬ রায় মোতাবেক কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার পুর্বক তাকে চাকরীতে পুর্নবহাল করা এবং দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু অধিদপ্তরের সেই আদেশ কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল প্রতিপালন করেনি। ফলে মজিদ মন্ডলের সাক্ষরে শিক্ষক কর্মচারীদের আর কোন বেতন না দিতে রুপালী ব্যাংক কালীগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপককে চিঠি দেন শিক্ষা অধিদপ্তর। সেই থেকে কলেজের ১০৭ জন শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ আছে। এদিকে বৈধ অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান দায়িত্ব বুঝে নিতে আসার খবরে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ক্লাস বন্ধ করে উচ্চ শব্দে মাইক বাজিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে পিকনিক করেন আব্দুল মজিদ মন্ডল। সেই পিকনিকে লাঠিয়াল বাহিনী ভাড়া করে আনা হয়। একেতো শিক্ষকদের বেতন বন্ধ তার উপর বৈধ অধ্যক্ষকে যোগদান করতে না দেওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীদের রোষানলে পড়েন কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল। গত দুই মাস ধরেই তিনি কলেজে অনিয়মিত। বিষয়টি নিয়ে তথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেন, আমি কার কাছে দায়িত্ব দেব ? অধ্যক্ষ তো ক্যাম্পাসে আসেন না। তিনি বলেন, আমি অবসরে যাচ্ছি। এবার কে দায়িত্ব নিবে সেটাই দেখার বিষয়। তিনি বলেন আমি সাময়িক কাজে বাইরে থাকার কারণে একজনের কাছে চার্জ দিয়েছি। আমি নিরুদ্দেশ হবো কেন ? তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন।