বুধবার ● ২২ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » দৃষ্টিনন্দন চুয়েটের ‘শামসেন নাহার খান হল’ উদ্বোধন কাল বৃহস্পতিবার
দৃষ্টিনন্দন চুয়েটের ‘শামসেন নাহার খান হল’ উদ্বোধন কাল বৃহস্পতিবার
আমির হামজা. স্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিল্প পরিবার এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হল ‘শামসেন নাহার খান হল’-এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। চুয়েটের গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের সহযোগিতায় আবাসিক হলটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বহুল প্রতিক্ষীত হলটি বর্তমানে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রায় ১৮ কোটি ব্যয়ে প্রায় এক লক্ষ বর্গফুট আয়তনের ৬ তলা বিশিষ্ট (বেইসমেন্টসহ) চারদিকে সবুজ ঘাসে ঘেরা হলটি যেন স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব নিদর্শন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগে নির্মিত হলটিতে প্রায় ৫০০ জন ছাত্রীর আবাসনের সুবিধা রয়েছে।
অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব স্থাপত্যশৈলী ও প্রযুক্তিতে নির্মিত এই আবাসিক ছাত্রী হলটির নকশা করেছেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস এবং স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি সজীব পাল। হলের বেইসমেন্টে থাকছে ছাত্রীদের রান্নাঘর, ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বাথরুম, কমন রুম ও টিভি রুম। গ্রাউন্ড ফ্লোরে ওয়েটিং রুম, প্রভোস্ট অফিস, এ.কে. খান গ্যালারি ও আবাসিক কক্ষ রয়েছে। দ্বিতীয় তলায় লাইব্রেরী, দুটি অফিস কক্ষ ও আবাসিক কক্ষ রয়েছে। তৃতীয় তলায় দুটি নামাজের কক্ষ ও আবাসিক কক্ষ এবং চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় আবাসিক কক্ষ রয়েছে। এছাড়া রুফটপে দুটি সিঁড়ি রুম, হলের বাইরে দুটি খেলাধুলার ইনার কোর্ট এবং একটি নিরাপত্তা কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘শিক্ষাবান্ধব বর্তমান সরকারের গতিশীল ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে দেশে নারীদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় ব্যাপক আগ্রহের সঞ্চার হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুসরণে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) কর্তৃপক্ষ নারীদের উচ্চশিক্ষা-গবেষণায় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ফান্ডের আওতায় চুয়েটেও আমরা বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণসহ নানা সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। চুয়েটের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এরইমধ্যে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিল্প পরিবার এ.কে. খান গ্রুপের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ.কে. খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন একটি ছাত্রী হল নির্মিত হয়েছে। এই মহতী উদ্যোগের জন্য এ.কে.খান ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সকল ট্রাস্টিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আগামী কাল ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকালে ৩টায় হল প্রাঙ্গণে হলটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে এ আবাসিক হলের উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আালম।
চুয়েটের সুবর্ণজয়ন্তীর লোগো ডিজাইনার সংবর্ধিত
রাউজান :: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর গৌরবময় পথচলার ৫০ বছর পূর্তি উৎসব সুবর্ণজয়ন্তী-২০১৯ এর অফিসিয়াল লোগো ডিজাইনার কম্পট্রোলার অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার জনাব মোঃ নূর উদ্দিন চৌধুরীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার সকালে ভাইস চ্যান্সেলর কার্যালয়ে বিজয়ীর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক ও পুরষ্কারের অর্থমূল্য তুলে দেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এ সময় বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমন্বয় ও র্যালি উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। চুয়েটের গৌরবময় অগ্রযাত্রার এই মহোৎসবের অংশীদার হওয়ায় ভাইস চ্যান্সেলর মোঃ নূর উদ্দিন চৌধুরীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। উল্লেখ্য, তিঁনি ইতোমধ্যে চুয়েট অফিসার এসোসিয়েশন এবং চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনের অফিসিয়াল লোগোসহ আরো বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের লোগো ডিজাইন করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
চুয়েট ভিসিকে শীর্ষক আলোকচিত্র গ্রন্থ প্রদান
রাউজান :: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দেশ’ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ-এর পক্ষ থেকে “ইতিহাস কথা কয় : বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট (১৯৭৫-২০১৬)” শীর্ষক আলোকচিত্র গ্রন্থ শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। আজ ২২ জানুয়ারি দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে সংগঠনের কর্ণধার ও গ্রন্থটির সম্পাদক সাহাবউদ্দিন মজুমদার স্মারক গ্রন্থটি ভাইস চ্যান্সেলর হাতে হস্তান্তর করেন। এ সময় বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন ও ছাত্রকল্যাণ উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক গ্রন্থটিতে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের দুর্লভ ছবি, ২০০১ সালের সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সহিংসতার ছবি, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে সেনা হত্যাকা-সহ ‘৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রায় ৩৬০ টি দুর্লভ ছবি ও সংক্ষিপ্ত ঘটনা বিবরণী স্থান পেয়েছে।