বৃহস্পতিবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণার লক্ষ্যে রাউজানে মতবিনিময়
হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণার লক্ষ্যে রাউজানে মতবিনিময়
স্টাফ রিপোর্টার :: দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে দেশের ঐতিহ্য (বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ) ঘোষণার লক্ষ্যে ষ্টেকহোল্ডার কনসালটেশন শীর্ষক মতবিনময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাউজান উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। বক্তব্য রাখেন রাউজান বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক হায়দার, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আহাজার আলী, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভা কর, উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক মীর আসলাম, শফিউল আলম, এস.এম ইউসূফ উদ্দিন, ফিল্ড অফিসার বোরহানুল হক চৌধুরী, রুবেল কান্তি। এসময় হালদা পাড়ের জেলে ও ডিম সংগ্রহকারী উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় হালদা পাড়ের জেলে ও ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে হালদা নদীর সমস্য ও সম্ভাবনা নিয়ে মতামত নেয়া হয়। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ৭৬১টি নদী আছে। দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেব হালদা ব্যতিক্রম। ১৯২২ সাল থেকে ১১টা বাঁক কেটে ফেলা হয়েছে। এটার ফলে হালদা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা যেহেতু প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র সেহেতু আমরা বলছি যে ঐতিহ্য হিসেবে হালদাকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করতে হবে। এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। এই বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ১৭ মার্চ এটাকে ঐতিহ্য নদী হিসেবে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজঘোষণা দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
৯৯৯ ফোন পেয়ে আহত কলেজ ছাত্রকে উদ্ধার করে রাউজান পুলিশ
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে ছেলেকে পিটিয়ে মাথা ফাটানোর ঘটনায় বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দেয়ার দুইদিন পর টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে থানায় উল্টো মামলা করেছে আসামীর বাবা। জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শান্ত রায় (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রকে মাথা ফাটিয়ে দেন উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আশীষ কুমার দে’র ছেলে সনজয় কুমার দে (৩৭)। ই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৯ জানুয়ারী রাউজান থানায় মামলা করেন শান্ত রায়ের বাবা প্রদীপ কুমার রায় যার মামলা নং-৪। তারা মামালা করার পর মাত্রা দুইদিন পর উল্টো মামলা লটিয়ে দেন আসামী সনজয়ের বাবা আশীষ কুমার দে যার মামলা নং-৫। এই উল্টো মামলার অপবাদ দেওয়া হয় চুরির। ই মামলায় আহত শান্ত রায় (২০) ও তাঁর বাবা প্রদীপ কুমার দে (৪৮) আসামী করা হয়। বুধবার (২২ জানুয়ারী) দুপুরে মুন্সিরঘাটায় শান্ত রায়ের বাবা প্রদীপ কুমার রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার আপন ভাতিজা সনজয় কুমার দে দুর্গাপূজায় মাদক সেবন করে মাতলামিসহ নানা অপকর্ম করে। এ বিষয়ে আমি তার বাবা-মা ও ভাইকে অবহিত করেছিলাম। বিষয়টি নিয়ে আমার ভাতিজা সনজয় কুমার দে ক্ষিপ্ত ছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর আমাদের বাড়ির বাৎসরিক অনুষ্ঠান থেকে তার বসতঘরের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে দরজা বন্ধ করে বেধরক মরাধর করে। এতে তার মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক যখম হয়। তার শোর চিৎকারে অনুষ্ঠানের লোকজন এগিয়ে গেলে দরজা খুলার পর আমর ছেলে সনজয়ের বসতঘর থেকে দৌড়ে আমার ঘরে গেলে সেখানে গিয়েও মারধর করে। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমর ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে গেলে সনজয় পালিয়ে যায়। এলাকার লোকজন ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। ৯৯৯ এ কল দেয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে রাউজান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠান। আমার ছেলের অবস্থা অশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমরা আমার ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে থাকায় থানায় অভিযোগ দিতে পারিনি। পরে আমার রাউজান থানায় অভিযোগ দিলে, তারাও উল্টো আমাদের মামলা করেন। এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ বলেন, তারা আপন চাচাতো জেঠাতো ভাই। একটি অনুষ্ঠানে সনজয়ের কাছ থেকে ৩ হাজার বা সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সনজয় শান্তরায়কে মারধর করে। এটা সমঝোতা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শান্তরায়ের বাবা মেনে নেয়নি। পরে উনার মামলা নিয়েছিলাম। এসময় সনজয়ের বাবা দাবি করেন তার ছেলের কাছ থেকে টাকা লুট করেছে। পরে সনজয়ের বাবাও মামলা করেন। যেহেতু শান্ত রায়ের বাবা ও সনজয়ের বাবা আপন ভাই সেহেতু আমরা সমঝোতা করতে চেয়েছিলাম। শান্ত রায়ের বাবা মেনে না নেয়ায় পাল্টাপাল্টি মামলা দিয়েছে।