বৃহস্পতিবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » ফেঞ্চুগঞ্জ পুকুরিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির অনিয়মের অভিযোগ
ফেঞ্চুগঞ্জ পুকুরিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির অনিয়মের অভিযোগ
ফেঞ্চুগঞ্জ :: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাধীন দনারাম, রোকনপুর, নোয়াগাঁও, নারাইনপুর, মান্দারখাল, চানপুর, মল্লিকপুর, ইলাশপুর হইতে ২৮৭ সদস্যকৃত পুকুরিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি যার রেজিঃ নং ফেঞ্চুগঞ্জ ০১/১২-১৩, তারিখ ১৭/০২/২০১৩ইং, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সাইদুর রহমান শামীম’র পরিচালনায় সমিতির প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৫/১০/২০১৬ইং তারিখে সমিতির নিজ কার্যালয়ে কমিটির মেয়াদ ছিল তিন বছর মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ ১৫/১০/২০১৯ইং, কিন্তু বর্তমান নির্বাচন না দিয়ে ভুয়া নির্বাচন দেখানো হয়, যাহা সমিতির কোন সদস্যই জানেন না, যার তারিখ ১৩/১০/২০১৯ইং এবং এই ভুয়া নির্বাচনের জন্য সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের কপি সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদেরকে বন্ধু চোলা ও সেলাই মেশিন এবং ট্রেনিংয়ে পাঠানোর জন্য কিন্তু তা না করে তারা ভুয়া নির্বাচন কাগজপত্রাদি তৈরি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এদিকে সদস্যরা বলছেন উপজেলা সমবায় অফিসার সাইদুর রহমান শামীম ঘুষের বিনিময়ে এই ভুয়া কমিটি রেজিষ্ট্রার করতে উঠে পড়ে লেগেছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জের দনারামে ২২ জানুয়ারী (বুধবার) বেলা-১২ ঘটিকার সময় পুকুরিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর নিজ কার্যালয় অফিসে জেলা সমবায় অফিস থেকে পরিদর্শক মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন’র মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিব্য তদন্ত কার্যক্রমে দুই গ্রুপের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এসময় পরিদর্শক মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন উভয় পক্ষকে ঝামেলা ও কথা কাটাকাটি এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি গত তিন বছরের কার্যক্রমের কাগজপত্রাদি দেখতে চাইলে বর্তমান কমিটি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৪নং উত্তর কুশিয়ারা ইউ/পি চেয়ারম্যান এবং সমিতির সদস্য সহ প্রায় দুইশতাধিক জন-সাধারণ।
জেলা সমবায় পরিদর্শক মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন আরো বলেন পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকার জন্য আহবান জানান।
সংবাদকর্মীরা উপজেলা সমবায় অফিসার সাইদুর রহমান শামীমের কাছ থেকে উক্ত সমিতির নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে এবং কাগজপত্রাদি দেখতে চাইলে তিনি বলেন- আমার কাছে কোন কাগজপত্র/ডকুমেন্টস নাই! সব ডকুমেন্টস জেলা সমবায় কার্যালয়ে থাকে, উপজেলায় কোন ডকুমেন্টস থাকেনা এবং আমরা প্রশ্ন করি আপনি এবিষয়ে অবগত আছেন কি না? তিনি বলেন মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর দেওয়া আমার দায়িত্ব এর চেয়ে বেশি কিছু আমার দায়িত্বে নেই, তিনি আরো বলেন- নির্বাচিত সদস্যরা আমাকে নির্বাচনী নোটিশ ও তফসিল প্রেরণ করেছে, পরে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে বলে আমাকে ফলাফল প্রেরণ করে। আমি উক্ত নির্বাচনে সক্রিয় ভাবে ছিলাম না।
সংবাদকর্মীরা মুঠোফোনে জেলা সমবায় পরিদর্শক মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- স্থানীয় সমবায় কর্মকর্তা সমবায় সমিতির নির্বাচন পরিচালনা করা তাহার নৈতিক দায়িত্ব আর যদি খেলাপ করে থাকে এবং প্রমানিত হলে তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য : জেলা সমবায় পরিদর্শক মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন’র মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত সভাস্থলে উপস্থিত বেশিরভাগ সদস্যসহ জন-সাধারণ পুকুরিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচন করার জন্য আহবান জানান।