বৃহস্পতিবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে পাবলিক লাইব্রেরী ক্যাম্পেইন সমাপনী
রাঙামাটিতে পাবলিক লাইব্রেরী ক্যাম্পেইন সমাপনী
রাঙামাটি :: “চলো গ্রন্থাগারে চলো-দেখি সম্ভাবনার আলো” এ শ্লোগান নিয়ে রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দুই দিনব্যাপী পাবলিক লাইব্রেরী ক্যাম্পেইন। গত ২২-২৩ জানুয়ারি, রাঙামাটি জেলা সরকারী গণগ্রস্থাগারে ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিজ আন-লিমিটেড প্রকল্প ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় পাবলিক লাইব্রেরি ক্যাম্পেইন।
দুইদিনের অনুষ্ঠানমালায় প্রথম দিন ছিল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, শিশুদের জন্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও টয়ব্রিকস প্রতিযোগিতা।
এবং দ্বিতীয় দিন ছিল, নারীবান্ধব গ্রন্থাগার বিষয়ক আলোচনা সভা, কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্যে ‘ডিজিটালাইজড পাঠ প্রযুক্তি জ্ঞানের আলোয় আনবে মুক্তি’ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা, শিশুদের গল্প বলা প্রতিযোগিতা, উদ্যোক্তা উন্নয়নে সরকারি গণগ্রন্থাগারের ভূমিকা বিষয়ক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সাধন মনি চাকমা। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের আহ্বায়ক মনোয়ারা আক্তার জাহানের সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসলাম উদ্দিন, গণগ্রন্থাগারের সহাকারি লাইব্রেরিয়ান সুনীল ময় চাকমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাঙামাটি বেতারের উপস্থাপক শিখা ত্রিপুরা।
আলোচনাসভায় বক্তরা বলেন, ডিজিটাল যুগ আসার পর জ্ঞান অন্বেষণ থেকে মানুষ দিন দিন সরে যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুনরা ফেসবুক নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকায় লাইব্রেরিমুখী হতে চায় না। সমাজে যারা জ্ঞানী এবং যারা ভালো অবস্থানে রয়েছে তাদেরকেই তরুনদের লাইব্রেরিমুখী করতে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। তা না হলে প্রকৃত জ্ঞান অন্বেষণ হবে না এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হবে না। তাই যে যার অবস্থান থেকে নিজের ছেলে-মেয়ে ও সমাজের তরুণ-তরুনীদের লাইব্রেরিমুখী করতে উৎসাহ প্রদানের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান বক্তরা।
আলোচনাসভা শেষে ২দিনব্যাপী বিভিন্ন ইভেন্টে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিরা পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে।