শুক্রবার ● ২৪ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে ইটের বিকল্প পাকা দালানে পরিবেশবান্ধব সিমেন্টের ব্লক ব্যবহার
রাউজানে ইটের বিকল্প পাকা দালানে পরিবেশবান্ধব সিমেন্টের ব্লক ব্যবহার
স্টাফ রিপোর্টার :: চট্টগ্রামের রাউজানে বিভিন্নস্থানে ইটের বিকল্প কংক্রিটের ব্লক দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পরিবেশবান্ধর পাকা দালান ঘর। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ফলে রাউজানে প্রচুর পাকা দালান নির্মিত হচ্ছে। একারণে ইটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদা বাড়ায় উপজেলার ৩৭টি ইটভাটায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার ও জ্বালানা কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব ইট। উপজেলায় দু’একটি ছাড়া পরিবেশ বান্ধব ইটভাটাও নেই। এসব ইটভাটার কারণে পরিবেশ দূষণ, বৃক্ষনিধন, কৃষিজমি হ্রাসসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে ইটভাটার বিষাক্ত কার্বন গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। তাই পরিবেশ রক্ষায় ইটভাটা বন্ধের দাবি সর্বমহলের। পরিবেশ বান্ধব ইট বা ইটের বিকল্প ব্যবহারের তাগিদ পরিবেশবাদীদের। জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে গিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চার করে উপজেলার বিনাজুরি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নীল বড়–য়া ও তার ছেলে নেমে পড়েছেন ইটের বিকল্প কংক্রিটের ব্লক ব্যবহার করে পাকা দালান নির্মাণে। তারা কংক্রিটের ব্লক তৈরি করে নিজেদের ঘর নির্মাণ করছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্নপ্রান্তের মানুষকে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে তৈরি ঘরের সুবিধার কথা তুলে ধরছেন। জয়নীল বড়–য়া বলেন, কংক্রিটের ব্লক পরিবেশ বান্ধব, ব্যয় কম। লাখে ২০ হাজার টাকা সাশ্রয়, দুইজন শ্রমিক দিনে ২০০ ব্লক তৈরি করতে পারে। ব্লকের মাঝখানে ফাঁকা থাকায় তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।রাউজান পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম.এন আবছার বলেন, আমরা পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা স্থাপন ও ইটের বিকল্প ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছি। আমি জেনেছি রাউজানে জয়নীল বড়–য়া নামে এক ব্যক্তি কংক্রিট ব্লক দ্বারা গৃহ নির্মাণ করছেন। যেহেতু সিমেন্ট আর নুড়ি পাথর দিয়ে ব্লক তৈরি হয় সেহেতু ইটের মতো পুড়াতে হয়না। এটা পরিবেশ বান্ধব। কিন্তু এসব ব্লক এখনো খোলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছেনা। সরকারী বা বেসরকারীভাবে ব্লক তৈরির স্থায়ী কারখানা স্থাপন করা গেলে ইটের ব্যবহার হ্রাস পাবে, পরিবেশ রক্ষা পাবে। এই প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, ‘সরকারি নীতি, আদর্শ এবং সরকারের নিদের্শনা রয়েছে পরিবেশ বান্ধব ইট তৈরি ও ব্যবহার করা। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে প্রচলিত প্রথায় যে ইট তৈরি করা হয় এগুলো বন্ধ করে দিয়ে পরিবেশ বন্ধব ইট তৈরি করার সরকারী নির্দেশনা আছে। সে হিসেবে কংক্রিটের ব্লক ইটের গুরুত্ব বাড়বে। পর্যায়ক্রমে ২০১৫ সালে প্রচলিত ইটের ব্যবহার বন্ধ করা হবে এবং সরকারি কাজের ক্ষেত্রে শতভাগ কংক্রিটের ব্লক বা পরিবেশ বান্ধব ইটের বিকল্প ব্যবহার করা হবে।’
চুয়েট শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২০২০-২১ সম্পন্ন
রাউজান :: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর শিক্ষক সমিতির ২০২০-২১ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন গত ২২ জানুয়ারি বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী নির্বাচিত হন। এছাড়া নির্বাচনে সহ-সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল আচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব এ.টি.এম. শাহজাহান, প্রচার ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে মোঃ নাজমুল ইসলাম অপু নির্বাচিত হন। অন্যদিকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার রায় এবং বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন নির্বাহী সদস্য হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৭৭ জন ভোটারের (শিক্ষক) মধ্যে ২০৮ জন সদস্য তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম গ্যালারিতে সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম প্রধান নির্বাচন কমিশনার, যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রবাইয়াৎ তানভীর সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নির্বাচন পরিচালনা করেন।