শনিবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যানারে কাঠ পাচারের চেষ্টা
খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যানারে কাঠ পাচারের চেষ্টা
আব্দুল্লাহ আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যানার লাগিয়ে বিপুল পরিমাণ কাঠ পাচারের চেষ্টা চালায় পাচারচক্র। বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ আটক করা গেলেও পাচারচক্র পালাতে সক্ষম হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরে এ কাঠ আটকের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে।
অভিনব কায়দায় পাচারকালে খাগড়াছড়িতে ৮ লাখ টাকা মূল্যের ৫শ ঘনফুট বিভিন্ন প্রজাতির অবৈধ কাঠ আটক হয়েছে। একটি বিশেষ বাহিনীর নামে ব্যানার টাঙ্গিয়ে পাচারকালে এ বিপুল পরিমাণ কাঠ আটক হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি বাস টার্মিনাল এলাকায় দেশের স্বনামধন্য একটি বিশেষ বাহিনীর ব্যানার লাগিয়ে কাঠ ভর্তি একটি ট্রাক আটক হয়। জনৈক মো: জামাল এ কাঠ বৈধ বলে দাবী করে। পরে লোকজনের সন্দেহ হলে কাগজপত্র যাচাইয়ের পর ভুয়া বলে প্রমাণিত হলে বন বিভাগ ট্রাকটি আটক করে।
শনিবার সকালে ট্রাক থেকে কাঠগুলো নামাতে গিয়ে দেখা গেছে, উপরে কয়েক টুকরা গোল কাঠ হলেও ভিতরে ছিল চিড়াই কাঠ।
খাগড়াছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবু রাম চাকমা জানান, ট্রাকে ২শ২৯ ঘনফুট ৫৫ টুকরো গোল কাঠ ও ২৭০ ঘনফুট চিড়াই কাঠ পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা।
একটি সূত্র জানায়,আটক হবে আঁচ করতে পেরে বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার কাছ থেকে ইঙ্গিত পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি থেকে প্রতিদিনি বিপুল পরিমাণ কাঠ নানা কায়দায় পাচার হচ্ছে। এসব কাঠ পাচার কাজে বন বিভাগের কর্মকর্তারাও জড়িত। এর ফলে খাগড়াছড়ির বনাঞ্চল যেমন উজাড় হচ্ছে, তেমনি সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার সহযোগিতায় খাগড়াছড়ি দিয়ে বৈধ পারমিটের আড়ালে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ কাঠ অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এতে করে অসাধু বন কর্মকর্তা ও চোরাই কাঠ পাচারকারী। ফলে সাজেকসহ পার্বত্যাঞ্চলের রিজার্ভ ফরেষ্টগুলো এখন প্রায় অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে।
বন বিভাগের একটি সূত্র জানায়, খোদ বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা এ কাঠ পাচারের সাথে জড়িত। ২০১৭ সালে খাগড়াছড়ি-ফেনী সড়কের কয়লামুখ এলাকায় বিজিবি বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ আটক করে। এ চোরাই কাঠের সাথে খাগড়াছড়ির বর্তমান রেঞ্জার বাবু রাম চাকমার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।