রবিবার ● ২৬ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » পিতা স্কুলের সভাপতি তাই পিয়ন ছেলের দাপট
পিতা স্কুলের সভাপতি তাই পিয়ন ছেলের দাপট
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: পিতা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিয়মিত স্কুলে আসেন না ছেলে রবিউল ইসলাম। স্কুল না এসেই মাসের শেষ দিকে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের স্বাক্ষর করে চলে যান। ভয়ে স্কুলের কোন শিক্ষক প্রতিবাদ করার সাহস পান না। ক্ষমতা অপব্যবহারের এমন ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ৪৬নং পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক পিয়ন পদে চাকরি নেন একই গ্রামের ইসরাইল মেম্বরে ছেলে রবিউল ইসলাম। চাকরিতে যোগদান করার পর থেকেই অনিয়মিত পিয়ন রবিউল। পুরো মাসে অনুপস্থিত থেকে একদিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। কারণ তার পিতা ইসরাইল মেম্বর ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বরিউল চাকরির শুরু থেকেই অনিয়মিত। স্কুলের হাজিরা খাতায় ২০১৯ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে কয়েকদিন উপস্থিতির স্বাক্ষর পাওয়া গেলেও চলতি বছরের জানুয়ারী ১৫ তারিখ পর্যন্ত হাজিরা খাতায় কোন স্বাক্ষর নেই। আগরে বছরের হাজিরা খাতা দেখাতেও ব্যর্থ হন প্রধান শিক্ষক দিলরুবা আক্তার। চাকরী নেওয়ার সময় অষ্টম শ্রেনী পাশ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক পিয়ন রবিউলের প্রত্যয়নপত্র ছাড়া কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা আক্তার বলেন, গত বছরে রবিউল ১৫/৯/২০১৯ থেকে ১৭/১০/২০১৯ তারিখ পর্যন্ত মোট ২৮ দিন শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ছুটি ভোগ করেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও স্কুলে নিয়মিত আসেন না। অনেকবার সভাপতির কাছে বলেছি তবুও কোন সুরাহা মেলেনি। ওর বাবা স্কুলের সভাপতি ও ইউপি সদস্য হওয়ায় শিক্ষকদের পরোয়া করেন না। বিপ্রবগদিয়া মাধ্যমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান সাচ্চু প্রত্যয়নপত্র দেওয়া সম্পর্কে বলেন, আমি রবিউলকে যে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি সেটি ২০১২ সালে স্বাক্ষরকৃত। যেহেতু সে চাকরীতে ২০১৪ সালে যোগদান করছে, সেহেতু ওই প্রত্যয়নপত্রের কোন মুল্য নেই। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইসরাইল হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন বাইরে আছি। এবিষয়ে পরে কথা হবে। শৈলকুপা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসরাইল হোসেন বলেন, পিয়ন রবিউলের বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ পেয়েছি। যার কারণে তার বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। আর ভুয়া প্রত্যয়নপত্র নিয়ে চাকুরীর বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমানিত হলে অবশ্যই তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।