বুধবার ● ২৭ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » বিশ্বনাথে শীত উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা
বিশ্বনাথে শীত উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা
মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে কৃষকরা ঋতু বৈচিত্রের শীতকালের সময় পার করছেন বোরো ধান চাষে৷ প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে প্রবাসী অধু্যষিত উপজেলার কৃষকরা এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো জমিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে৷
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৭হাজার হেক্টর বোরো ধান চাষ হবে৷ এর মধ্যে হাইব্রীড ৩শ ৬০ হেক্টর, উফসী ৬ হাজার ৩শ ৪০ হেক্টর ও স্থানীয় বোরো চাষ হবে ৩শ হেক্টর জমিতে৷
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চাউল ধনী হাওরে কৃষকদের কেউ বীজ তলা থেকে চারা তুলছেন, অনেকে চারা রোপন করছেন৷ প্রচন্ড শীত থাকায় আবার হাওরাঞ্চলে পানিতে নামতে দেরি করছেন৷ সূর্য্যের দেখা পেলে তারা চারা রোপনে নামছেন৷ আগাম তৈরি বীজতলা থেকে এবারও কৃষকরা শীতের শুরুতেই আগাম চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন৷ ক্ষেত প্রস্তুত করার লক্ষ্যে জমিতে সেচ ও হাল চাষের কাজেও ব্যস্ত দেখা গেছে কৃষকদের৷ যার ফলে কৃষকরা কালবৈশাখীর ভয়াল থাবা থেকে তাদের কষ্টার্জিত ফসল আগে ভাগে কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন৷ উপজেলার প্রত্যনত্ম অঞ্চল জুড়ে এখন চলছে বোরো ধানের চারা রোপনের মহোত্সব৷ তবে কৃষকরা চিনত্মিত, পানি সংকটের জন্য৷ মধ্যখানে যদি হাওর ও খালের পানি শেষ হয়ে গেলে কোন বিকল্প পানির ব্যবস্থা নেই৷ তাই তাদের দাবী ভরাট হওয়া খাল ও বিল খননের ব্যবস্থা করা৷ অবৈধভাবে দখল হওয়া এবং কোথাও পলি জমে ভরাট হওয়া খাল বিল খনন করা হলে পানি সারা বছর থাকবে৷ এতে পানির কোন সমস্যা হবে না৷ স্থানীয় কৃষকদের দাবী কৃষি অফিসারের জনবল বৃদ্ধি করে কৃষি চাষে আরো বেশি সেবা দিতে৷ বোরো চাষীরা সঠিকভাবে চাষ করতে পারে সে জন্য উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন৷ মাঠে রয়েছেন ৮জন কৃষি অফিসার৷
কৃষক ওয়াহাব আলী বলেন, জমি প্রস্তুত৷ চারা উত্তোলন করছি জমিতে রোপনের জন্য৷ বোরো ফসলটি ভালো হলে, পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবো৷ তাই যত্ন সহকারে জমি তৈরি করেছি৷ রোপন করা শুরু হয়েছে৷ তবে তিনি সার ও পানি নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন৷
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মনুজ কান্তি বলেন, এবার উপজেলা ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হবে৷ তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, রাসায়নিক সার পরিহার করে সঠিকভাবে জৈব সার ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেয়া, সঠিক বয়সে (৩০/৪০ দিনের বয়সের চারা) সঠিক সময়ে চারা রোপন করা৷ পরামর্শ দিচ্ছেন পোকা থেকে বাচতে পার্চিং ব্যবস্থা করার৷ তবে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২৪জন কৃষি অফিসার থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছেন ৮জন কৃষি অফিসার৷ যার ফলে কৃষি সেবা দিতে অফিসারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে৷
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী নূর রহমান বলেন, ইউনিয়নে এবার ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো উত্পাদন করা হবে বলে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে৷ আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে৷
আপলোড : ২৬ জানুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১১.৩০মিঃ