রবিবার ● ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে ওরুসের নামে অশ্লিলতা আল্টিমেটাম এলাকাজুড়ে টানটান উত্তেজনা
বিশ্বনাথে ওরুসের নামে অশ্লিলতা আল্টিমেটাম এলাকাজুড়ে টানটান উত্তেজনা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারের দোপাখোলা গ্রামের চমক আলী, ওরপে (চমক শাহ) নামে বার্ষিক ওরুস মাহফিলের ঘোষণা দিয়েছে কিছু মাজার ব্যবসায়ীরা। এর প্রতিবাদে গতকাল ১ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় কালিগঞ্জবাজারে মিছিল ও সমাবেশ করে কর্মসূচি ঘোষনা করেছিল এলাকার মুসলিম জনতা। তাদের ১২ ঘন্টার আল্টিমেটামে উল্লেখ্য ছিল, ভন্ড চমক আলী (তথাকথিত চমক শাহ) এর বাড়িতে ওরুস নামের অশ্লিলতা বন্ধ না করলে তার বাড়িঘরসহ তাকে এলাকা থেকে অবাঞ্চিত করাসহ বড় ধরনের প্রদক্ষেপ নিতে স্থানীয় মুসলিম জনতা সোচ্চার। সমাবেশে এলাকার সকল ইসলামী প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্থরের মানুষ ভন্ডপীরের ওরুস বন্ধের দাবী জানান। এজন্য রাতেই থানা পুলিশের সহযোগীতার পাশাপাশি তারা তারা সমাজের অপকর্ম দূর করার লক্ষ্যে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত আছেন বলেও ঘোষনা প্রদান করেন বিক্ষোভ সমাবেশে। প্রতিবাদ সভা শেষে রাতেই বিশ্বনাথ থানার (ওসি) শামীম মূসা’র বরাবরে স্বারক লীপি দেওয়া হয়, এবং ২ ফেব্রুয়ারি সকালে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া ও বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এবং জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বরাবরের স্বারক লীপি দেওয়া হয়। স্বারক লীপি দেওয়ার পরথেকে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে, স্থানীয়দের মতে ওরুস নামে অশ্লিলতা বন্ধ না হলে রাতেই ঘটতে পারে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংগর্ষ। পূর্বের ঘোষনা অনুযায়ী স্থানীয় মাইকিং করে স্থানীয় মুসলিম জনতা সবাইকে প্রতিবাদের জড়ো হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কালীগঞ্জবাজার জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা ওবায়েদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি ওরস নামের অশ্লিল এবং বেহায়পনা কাজ দোপাখোলা গ্রামে অনুষ্টিত হয় , তাহলে যে কোন ধরনে সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে কেননা মুসলীম জনতার স্রোত কারো পক্ষে থামানো সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, তার মতো কিছু ভন্ড ও কিছু রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে এবং ওরুসসহ নাচ গানের ঘোষনা দিয়েছে। তার পাশেই দুটি মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মসজিদ রয়েছে। ঈমানী দায়িত্ব হিসাবে, ধর্মপ্রাণ তৌহিদী জনতা এ ধরনের ভন্ড পীরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তার মাজার উচ্ছেদ করা হবে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মূসা বলেন, দোপাখোরা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, এখানে ওরুস হবে, তবে গান বাজনা হবে না বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে দুর্বৃত্তের হামলায় ব্যবসায়ী আহত
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে আনোয়ার আলী (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীর ওপর মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের মো. মজর আলীর ছেলে ও ‘স্বাদ এন্ড কোং’-মিয়ার বাজার শাখার সত্ত্বাধিকারী। শুক্রবার রাতে তার নিজ বাড়ীর সামনেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
হামলায় আহত আনোয়ার আলী জানান, স্থানীয় মিয়ারবাজারে ‘স্বাদ এ্যান্ড কোং’ নামে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ব্যবসা পরিচালনা শেষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, খালাতো ভাই সাহেদ আহমদসহ (২৩) মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। বাড়ির নিকটবর্তী হওয়া মাত্র পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা মুখোশধারী দুই অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত আমাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়। পরে আরো চার মুখোশধারী হামলায় যুক্ত হয়। অন্ধকারে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এসময় আমি আমার ডান ও বাম পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হই। এক পর্যায়ে আমি তাদের হাত থেকে একটি ধারালো অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হই। তারা লুটে নেয় ব্যবসার নগদ ৩১ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজাদি। পরে আমাদের শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। আমার ধারণা, পূর্ব বিরোধের জের ধরেই আমাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাদের বাড়িতে এর আগেও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।