শিরোনাম:
●   কুষ্টিয়ায় সমিতির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবকের হাত কর্তন ●   অপহরণ, ধর্ষণ ও নির্যাতনে নয় পাপিয়া মারা গেছে ক্যান্সারে ●   রাউজান পৌরসভা যুবলীগের নেতাকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি ●   নান্দাইলে এক হাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ●   শ্রমিকরা স্বস্তিতে না থাকলে সরকারেও স্বস্তি আসবেনা : সাইফুল হক ●   খাগড়াছড়িতে ভূমিখেকো সহোদর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ●   ঈশ্বরগঞ্জে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন ●   বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হামিদ শরীফ আর নেই ●   কুষ্টিয়াতে ওয়াজ করবেন মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ●   লামায় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজধানীতে পিসিপির বিক্ষোভ ●   নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   আত্রাইয়ে হলুদ বর্ণে সেজেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ●   অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি ●   সচিবালয়ে আগুন ●   মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার ●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
রাঙামাটি, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে সওজ এর আড়াই’শ কোটি টাকার কাজে চরম অনিয়ম দুর্নীতি
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে সওজ এর আড়াই’শ কোটি টাকার কাজে চরম অনিয়ম দুর্নীতি
সোমবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝিনাইদহে সওজ এর আড়াই’শ কোটি টাকার কাজে চরম অনিয়ম দুর্নীতি

---ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের আড়াই’শ কোটি টাকার কাজে চরম ভাবে অনিয়ম করা হচ্ছে। সওজের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে অতি নিন্মমানের কাজ করে যাচ্ছে কয়েকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজের মান এতোটাই নিন্মমানের হচ্ছে পুরানো রাস্তার পাথর উঠিয়ে মেশিনে ভেঙ্গে তা আবার নতুন রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ সওজ ঠিকাদারদের চিঠি দিয়েও কাজের মান ভাল করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে মৌখিক ভাবে দুইটি কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদাররা তাদের নিজ ক্ষমতাবলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সড়ক বিভাগে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের অধীন ৮টি রাস্তা ও ৮টি ব্রীজে প্রায় আড়াই শ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। কাজ গুলো হচ্ছে ঝিনাইদহের মহেশপুর-খালিশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর-যাদবপুর সড়কটি ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর কাজ শুর হয়। এ কাজে বরাদ্দ রয়েছে ২৮ কোটি ৭১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। কাজটি এখনো শেষ হয়নি। কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একই সড়কের আরেক অংশের কাজ ২০১৭/১৮ অর্থ বছরে ১১ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যায়ে অনিয়মের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছে। আরাপপুর বাসষ্ট্যান্ড হয়ে টার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তাটি ১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যায়ে শুরু হয়েছে। শুরুতেই রাস্তার কাজটি খুবই নিন্মমানের করা হয়। ইটের খোয়া কম দিয়ে তার পরিবর্তে নিন্মমানের বালির পরিমান বেশি দিয়ে কাজ করার কারণে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যায়ে মাগুরা ঝিনাইদহ সড়কটির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ৩ ডিসম্বর। ২০১৯ সালের ৩১ মে তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি। অভিযোগ উঠেছে এ সব বড় বড় কাজ সবই পাচ্ছেন খুলনার ঠিকাদার মেসার্স মোজাহার এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু তিনি নিজে কোন কাজ করছেন না। ঝিনাইদহ এবং চুয়াডাঙ্গার চিহ্নত কিছু বড় বড় ঠিকাদারের কাছে কাজ বিক্রি করে দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদাররা কাজ পেয়ে সওজের প্রকৌশলী ও কার্য সহকারীদের যোগসাজসে অতি-নিন্মমানের বালি, পাথর ও ইট দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। রহস্যজনক বিষয় হচ্ছে ৮টি কাজের মধ্যে বড় বড় ৫ টি কাজই এই মোজাহার এন্টারপ্রাইজের নামে। তিনি কি ভাবে এই কাজ নিজের নামে করিয়ে আনেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঝিনাইদহ শহরের আলহেরা মোড় থেকে শেখপাড়া বাজার পর্যন্ত ৯ কিঃ মিঃ রাস্তা নির্মানে ২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করা হলে কাজটি পাই এম,এ ইজ্ঞিয়ারিং আবেদ মুনসুর কনষ্ট্রাকশন। ২০১৯ সালের ৬ জুন থেকে কাজ শুরু হয়েছে, শুরুতেই তিনি বেশি পরিমান ধুলোবালি ও এই রাস্তার মাটির নিচ থেকে তোলা আমা ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করায় ব্যাপক সমালোচিত হন। রাস্তার কাজ দেখে মানুষ ছি ছি করতে থাকে। এই কাজটির শুরুতেই বেষ্ট ওফ ওয়ান এ ৩ ঝুড়ি খোয়া ও ১ ঝুড়ি বালির মিশ্রনে কাজ করার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার তা না মেনে ২ ঝুড়ির বেশী বালি ও ২ ঝুড়ির চেয়ে কম খোয়ার মিশ্রন করিয়ে কাজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করায় অফিস থেকে চিঠি দিয়ে কাজের মান সিডিউল মাফিক ভালো ভাবে করার জন্য তাকে তাগাদা দেওয়া হয়। তারপরও কাজের মান সঠিক না করায় মৌখিক ভাবে কাজটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদার আবেদ মুনসুর কাজ বন্ধ না করে তিনি তার নিজ দায়িত্বে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠিকাদার আবেদ মুনসুরের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কাজ সিডিউল মোতাবেক করছি। কোন নিন্মমানের জিনিস ব্যবহার করছি না। নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউল হায়দার আমার নিকট মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়াই উনি আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার জন্য আমার কাজের মান নিয়ে অপপ্রচার করছেন। আমি ১০% সিকিউরিটি মানি জমা দিয়ে ৩ বছরের গ্যারান্টিতে কাজ করছি। কাজ নষ্ট হলে আমি পূনরায় এই কাজ করে দিতে বাধ্য থাকবো বলে চুক্তি বদ্ধ আছি। সরজমিনে গিয়ে এই রাস্তা সংলগ্ন শহরের উপশহর পাড়ার আব্দুল লতিফ মিয়া ও পাগলকানাই এলাকার এনামুল হোসেন জানান, এই রাস্তায় যে পরিমান নিন্মমানের কাজ হচ্ছে তা আমি এর আগে কখনো রাস্তার কাজ এতো নিন্মমানের দেখি নাই। ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ থেকে এই কাজে নিয়োজিত কার্যসহকারী মোঃ ফারুখ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার কাজ খুবই নিন্মমানের হচ্ছে। এই রাস্তার পিচয্ক্তু পাথরের ছালোট ট্রাকে করে নিয়ে তাদের নিজস্ব ইয়ার্ডে খোয়া ভাঙ্গা মেশিন দিয়ে নতুন পাথরের সাথে মিশিয়ে রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পাথর দিয়ে রাস্তা নির্মান করলে ৩ মাসের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া ইরানি বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কালীগঞ্জ উপজেলার দুলালমন্দিয়া বাজার থেকে খাজুরা-রায়পুর-যশোর শেখ ইটভাটা পর্যন্ত ১৪.৭৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মানে ৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকার কাজটি করছেন যশোরের মেসার্স মঈনউদ্দীন বাশি লিমিটেড। এই কাজটি শুরু থেকেই নিন্মমানের হচ্ছে বলে রাস্তা সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ সড়ক বিভাগের অফিসে অভিযোগ করেন। নিন্মমানের আমা ইটের খোয়া এবং ধুলাবালির মিশ্রনে ইটের চেয়ে বালির পরিমান বেশী দিয়ে ঠিকাদার রাস্তার কাজ করছেন ঠিকাদার। সরজমিনে রাস্তার কাজ পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় বেষ্ট ওফ ওয়ানে যে বালি এবং ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে তা খুবই নিন্মমানের অতিরিক্ত ধুলাবালি ব্যবহারের কারনে ইটের খোয়া দেখাই যাচ্ছে না। এই রাস্তায় ১২ ইঞ্চি বালি দিয়ে বেট তৈরি করার নিয়ম থাকলেও সেখানে ৮/১০ ইঞ্চির বেশী বালির থিকনেস কোথাও পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৩ ঝুড়ি খোয়া ১ ঝুড়ি বালির মিশ্রনে দুই ধাপে ৮ ইঞ্চি বেষ্ট ওফ ওয়ান বেড তৈরির নিয়ম থাকলেও প্রকৃত পক্ষে বিভিন্ন জায়গাই রাস্তা খুড়ে থিকনেস পাওয়া গেছে ৫/৬ ইঞ্চি। এই কাজটিতে চরম দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে নির্মান কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও নির্বাহী প্রকোশলীকে ম্যানেজ করে কাজটি আবার শুরু করেছে ঠিকাদার। এই রাস্তার কার্যসহকারী মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন জানান, এই রাস্তার কাজ খুবই নিন্মমানের হচ্ছে, ৩ ঝুড়ি ইটের খোয়া ও ১ঝুড়ি বালির মিশ্রনে দুই ধাপে বেষ্ট ওফ ওয়ান বেড তৈরি করার নিয়ম থাকলেও তারা নিন্মমানের ধুলাবালির পরিমার বেশী দিয়ে রুলার দিয়ে পিটে দিচ্ছে,্ আমাদের কোন নিষেধ তোয়াক্কা করছে না। এই কাজের ঠিকাদার যশোরের মঈনউদ্দিন বাসির সাথে মুঠোফোনে বলেন, আমি এই কাজের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না, আপনি কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাইডে রেজাউল আছে তার সাথে কথা বলেন বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন। তথ্যমতে, মেসাস মঈনউদ্দিন বাশি লিমিটেড ও মেসাস ইনজিনিয়ারিং আবেদ মুনসুর কনচট্রাকশন জেভির কাজ পরীক্ষা করে চরম দুর্নীতি ধরা পড়লে তাদের কাজের মান ভাল করার জন্য চিঠি দিয়ে তাগিদ দেওয়া হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়। ঝিনাইদহে আড়াই’শ কোটি টাকার রাস্তার কাজের মান নিয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউল হায়দার বলেন, ঠিকাদারদের চাপ দেওয়ার পর তারা আগের তুলনায় এখন কাজ ভাল করছে। আর আবেদ মুনসুর সাহেব আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা। তিনি কাজের শুরুতেই খুবই নিন্মমানের কাজ করছিলেন যে কারনে আমি উনার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম।

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের জায়গা দখল করছে মহেশপুর পৌরসভা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের স্থাপনা গুড়িয়ে জায়গা দখল করে নিচ্ছে মহেশপুর পৌরসভা। এ নিয়ে জেলা পরিষদের কোন উচ্চবাচ্য নেই। মহেশপুরে ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে নির্মান করা হয়েছিল জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার। উদ্বোধনের পর থেকে নিয়মিত সভা-সমাবেশসহ নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে এই অডিটরিয়ামে। অডিটরিয়ামের জায়গায় দখল করতে মহেশপুর পৌরসভা সেখানে থাকা উদ্বোধন ফলকটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। ভেঙ্গে ফেলেছে উদ্বোধনের নামফলকটি। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছেন, এখানে বসার জন্য বেঞ্চ তৈরী হবে। এছাড়া পাশ^বর্তী জায়গাগুলো মাটি ফেলে সমতল করা হচ্ছে। এলাকাটি সুন্দর করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে কারনে নামফলকটি ভাঙ্গতে হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, ২০০৫-০৬ অর্থ বছরে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই অডিটরিয়াম নির্মান করা হয়। ২০০৬ সালের ৭ মে এই অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মন্ত্রী মরহুম আব্দুল মান্নান ভুইয়া। উদ্বোধনের সময় সেখানে একটি নামফলক নির্মান করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে অডিটরিয়ামের জায়গা দখল করতে স্থানিয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সেখানে থাকা নামফলকটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে মাটি ফেলা শুরু করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় মানুষ জানান, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যে জায়গাটুকু দখল করছেন তার সবই অন্যের জায়গা। জেলা পরিষদের জায়গা দখল করতে সেখানে থাকা স্থাপনা ভাঙ্গতে হয়েছে। আর জেলা পরিষদের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করছে। এটা করতে স্কুলের জায়গায় মাটি ফেলা হয়েছে। যে জায়গাটিতে মহেশপুর উপজেলার কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার রয়েছে। স্থানিয়রা বলছেন, এখানে মিনি পার্ক হলে অডিটরিয়ামের ভাড়া কমে যাবে। যারা অনুষ্ঠান করতে আসবেন তারা নানা সমস্যায় পড়বেন। যে কারনে অডিটরিয়ামের দিক থেকে মানুষ মূখ ফিরিয়ে নেবে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সচিব রেজাউ রাফিন সরকার জানান, জেলা পরিষদের জায়গা কেউ দখল করবে এটা হতে পারে না। তাছাড়া সেখানে স্থাপনা রয়েছে। জেলা পরিষদকে এ বিষয়ে কেউ কোনো অবহিত করেননি বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখবেন। এ বিষয়ে মহেশপুর পৌরসভার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, জায়গাটির সৌন্দয্য বৃদ্ধি করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে একটি মিনি পার্ক হবে, যেখানে বসার জায়গা থাকবে। জনসাধারণ এখানে সময় কাটাতে পারবেন।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জমে উঠেছে কালীগঞ্জের খেজুর রসের নলেন গুড়ের বাজার
ঝিনাইদহ :: জমে উঠেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের খেজুর গুড়ের বাজার। এখানকার খেজুর গুড় যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও ঝালকাঠীসহ বিভিন্ন জেলাতে। পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় বাজার এখন সরগরম। ৪৭ বছর ধরে গুড়ের ব্যবসা করছেন দাবি করে কালীগঞ্জের হাটে আসা কুষ্টিয়ার হরিগোবিন্দপুর গ্রামের নিয়ামত আলী জানান, প্রতিবছর এই সময় সোম ও শুক্রবারের হাটে তিনি গুড় কিনতে আসেন। এবার প্রায় ২৫ হাজার টাকা মূল্যে ২৮ ঠিলে (মাটির পাতিল) অর্থাৎ ৭ মণ গুড় কিনেছেন। এসব গুড় কুষ্টিয়ার বাজারে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করবেন। তবে, এ বছর হাটে গুড় অনেক কম আসছে। শীত মৌসুমে বৃষ্টির কারণে গাছিরা ঠিকমতো গাছ কেটে ঠিক সময়ে গুড় উৎপাদন করতে পারেননি। যার কারণে হাটে গুড় ও পাটালি কম এসেছে। বারবাজার থেকে আসা লুৎফর রহমান জানান, তিনি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে ১৬ মণ ঝোলা গুড় কিনেছেন। এসব গুড় ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। দানা গুড়ের দাম বেশি আর ঝোলা গুড়ের দাম কম। এক ঠিলে দানা গুড় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আর ঝোলা গুড় বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা করে। কালীগঞ্জের শ্রীরামপুর গ্রামের আলিনুর রহমান জানান, বরিশাল, যশোর, খুলনা, পাইকগাছা, ঝালকাটিসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মহাজনদের কাছে গুড় পাঠান তিনি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রাম থেকে পাটালি বিক্রি করতে আসা খলিল বিশ্বাস জানান, তিনি সরাসরি গৃহস্থদের কাছ থেকে কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে পাটালি কিনে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি করছেন। কেজিতে তাদের ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ থাকে। ভালো মূল্য পাওয়া গেলে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা লাভ হয়। কালীগঞ্জ গুড় হাটার ইজারাদার আতিয়ার রহমান জানান, কালীগঞ্জের খেজুর রসের গুড় ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধ। এ গুড়ে কাঁচা রসের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। তাই ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের এলাকার গুড়ের অনেক সুনাম রয়েছে।

সাংবাদিক কর্তৃক যুবতী নারীকে কু-প্রস্তাব : অভিযোগে সাংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে হলুদ সাংবাদিক কর্তৃক যুবতী নারীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ায় সাংবাদ সম্মেলন করেছে মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের মোঃ হাসান আলীর কন্যা ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার সাথী। গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি/২০২০ বিকালে কোটচাঁদপুর পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে সাংবাদিক রায়হানের বিরুদ্ধে অভিযোগ কওে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ নারী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি রাজশাহী থেকে অপারেশন করে আসার পর হতে বিশ্রাম ও সু চিকিৎসার প্রয়োাজনে কোটচাঁদপুর শহরে বাসা ভাড়া নিই। গত ৩১ জানুয়ারি ২০২০ আমি অসুস্থ থাকায় এবং আমার বাবার বাসা থেকে ফ্রিজ নিয়ে আসায় আমার এক বোনকে বাসায় আসতে বলি এবং বাসার উপরে ফ্রিজ উঠানোর জন্য আমার বন্ধু জিপুকে বাসায় আসতে বলি। আমার বন্ধু তার বড় ভাই জনি হাসানকে নিয়ে আমার বাসায় আসে ফ্রিজটি উপরে উঠিয়ে দেয়ার জন্য। এ সময় স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলেরা বাইরের গেটে তালা লাগিয়ে দেয় এবং হলুদ সাংবাদিক রায়হানকে খবর দেয়। তারা উপরে এসে বলে তোমরা এখানে অনৈতিক কাজ করছো। তাৎক্ষনিকভাবে কথিত সাংবাদিক রায়হান বলে আমাদের কে এক লক্ষ টাকা না দিলে আমি তোমাদের ব্যাপারে লিখবো যে তোমরা অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলে এবং অনেকদিন ধরে এ কাজ করে আসছে। তখন আমি বলি আমরা এখানে খারাপ কিছুই করিনি, আমি কেনো আপনাকে টাকা দিতে যাবো। তখন কথিত সাংবাদিক রায়হান আমাকে গোপনে ডেকে বলে, আমার সাথে ২/৩ দিন সময় কাটালে বিষয়টি কেহ জানবে না। রায়হানের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে পুলিশকে খবর দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে আমাদের থানায় প্রেরণ করে ও মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। পরবর্তীতে ১-২-২০২০ তারিখে আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসি। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন কথিত নামধারী সাংবাদিক রায়হান আমাকে দীর্ঘদিন যাবৎ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ভুক্তভোগী আরও বলেন সাংবাদিক হচ্ছে জাতির বিবেক, তাদের লেখনীর মাধ্যমে অসহায় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। সেই সাংবাদিকদের কাছে যদি মানুষ নিরাপদ না থাকে, তাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ, পশু চিকিৎসক জিপু হাসান, জনি হাসান উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা লিমন হোসেন সহ ভুক্তভোগী মহিলার আত্মীয়-স্বজন। তারা সকলে কথিত নামধারী সাংবাদিক রায়হানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই এবং প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে। এ বিষয়ে সাংবাদিক রাইহানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে কোটচাঁদপুর থানার ওসি জানান, অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে গতকাল শনিবার দুজন ছেলে ও দুজন মেয়েকে আটক করে জলে হাজতে পাঠানো হয়, পরে তারা জরিমানা দিয়ে জামিন নিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে, মুলত তারা অপরাধি। তিনি বলেন, আটকের সময় তারা অসামাজিক কার্যকলাপের কথা স্বিকার কওে ও তাদেও কাছে আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন সংবাদ সম্মেলনে যারা উপস্থিত ছিলেন তারাই মূলত অপরাধের সাথে সর্বদা সংযুক্ত থাকে।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত
ঝিনাইদহ :: ‘জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল রবিবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফ-উজ-জামান এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তারেক আল মেহেদি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ, জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়রুল ইসলাম, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল ইসলাম। বক্তারা, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খোলা স্থানে খাবার বিক্রি বন্ধ ও খাদ্যে ভেজাল রোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)