সোমবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » নওগাঁ » আত্রাইয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হিসাব রক্ষণ অফিসের কার্যক্রম
আত্রাইয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হিসাব রক্ষণ অফিসের কার্যক্রম
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে মাত্র দুইজন লোক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কার্যক্রম। এতে করে বিপুল সংখ্যক সেবা গ্রহিতারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস একটি জনগুরুত্বপূর্ণ অফিস। প্রতিদিন শত শত লোক তাদের বেতনবিল, ভাতাবিল ও অন্যান্য বিল অনুমোদনসহ বিভিন্ন কাজে এ অফিসে আসতে হয়। এ অফিসে ৭ জন লোক থাকার কথা কাগজে কলমে থাকলেও একজন অফিসার ও একজন অডিটর মাত্র দুইজন লোকদিয়ে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ অফিস। উপজেলার প্রায় ৮ থেকে ৯০০ জন সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন বিল, সাড়ে ৫০০ জন পেনশনধারীর বিল, টিআর, কাবিখা, অনুদান বিল ও জিপিএফ বিলসহ দেড় সহ¯্রধিক বিল এ অফিস থেকে অনুমোদন করতে হয়। মাত্র একজন অডিটরের এসব বিল প্রস্তুত ও ছাড় করতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহিতারা। জনা যায়, এ অফিসে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা একজন, অডিটর একজন, জুনিয়র অডিটর তিনজন, মুদ্রাক্ষরিক একজন ও অফিস সহায়ক একজনের পদ রয়েছে। অথচ ৩ জন জুনিয়র অডিটর ও একজন মুদ্রাক্ষরিকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। জুনিয়র অডিটর ও মুদ্রাক্ষরিকের সমুদয় কাজ সমাধান দিতে হচ্ছে অডিটর একজনকে। ফলে তিনি চরম হিমশিম খাচ্ছেন সেবা গ্রহিতাদের সেবা নিশ্চিত করতে।
এ ব্যাপারে বিশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা বলেন, উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে আমরা বাস করি। বিল সংক্রান্ত ফাইল হিসাব রক্ষণ অফিসে নিয়ে গেলে ওই অফিসে লোকবল সংকটের কারনে একদিনে বিল উত্তোলন করা সম্ভব হয় না। ফলে দিনের পর দিন আমাদের দাপ্তরিক কাজ ফেলে রেখে ফাইলের পিছনে ঘুরতে হয়। এটা আমাদের জন্য খুবই পিড়াদায়ক।
এ ব্যাপারে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর আব্দুল হামিদ বলেন, ৪ জনের কাজ আমার একা করতে হয়। শত কষ্টের পরও গ্রাহকদের যেন ভোগান্তি পোহাতে না হয় এ জন্য অবিরাম পরিশ্রম করে তাদের কাজ সমাধা করে থাকি। সকলের বিল ফাইল যত দ্রুত সম্ভব ছাড় দেয়ার চেষ্টা করি। জনগুরুত্বপূর্ণ এ অফিসে দ্রুত শূন্যপদগুলোতে লোকবল নিয়োগ দিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।