শনিবার ● ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় হালচাষে পুলিশের বাধা : প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
গাইবান্ধায় হালচাষে পুলিশের বাধা : প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
গাইবান্ধা :: পলাশবাড়ীর কুমেদপুরে বিবদমান ৪ বিঘা জমির রায় ও আদালত কর্তৃক দখল পেয়ে আজ শনিবার সকালে আমজাদ হোসেন ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে হালচাষ করতে যায়। কিন্তু বিবাদী পক্ষ একই গ্রামের মো.সরোয়ার রায়হান ওরফে রনি, শরিফুর রহমান রিজু, শফিউর রহমান রায়হান ওরফে কাজল এবং তাদের লোকজন স্থানীয় হরিণাবাড়ি পুলিশের এসআই রবিউলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য তাকে জমিতে হালচাষ করতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ হালচাষরত ট্রাক্টরটি আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জমির মালিক আমজাদ হোসেনের ছেলে মাহবুব হাসান শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পলাশবাড়ি থানা কর্তৃপক্ষসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে এই বেআইনী কর্মকান্ডের অবিলম্বে প্রতিকারের দাবি করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ১৯৮৪ সালে ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস সরকার একটি বাটোয়ারা মামলা (৩৯১/৮৪) দায়ের করেন। মামলাটির প্রাথমিক ও চুড়ান্ত ডিগ্রী লাভের পর বাদি নিম্ন তফসিলভূক্ত জমির ছাহাম চেয়ে আদালতে আবেদন করে। আদালত আবেদনকারির আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন তফসিলভূক্ত জমি ভাগবাটোয়ারার আদেশসহ কমিশনের মাধ্যমে ভোগদখলের অনুমতিসহ ঢোলসহরতের মাধ্যমে উক্ত জমি দখল করে দেয়।
ওই জমি ভোগদখলের পর গত ১৯৯৯ সালের ২২ জুলাই ৩৯৯৫ দলিল মূলে ২০ শতাংশ, ৩৯৯৬ দলিল মূলে ২৫ শতাংশ ২০০০ সালের ১৬ অক্টোবর ৭৪৮০ দলিলমূলে ৫০ শতাংশ জমি আব্দুল কুদ্দুস সরকারের কাছ থেকে আমজাদ হোসেন ক্রয় করে। গত মাঠ জরিপকালে তার নামে বিআরএস খতিয়ান প্রস্তুত হয়। বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে অনেক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হলেও বিবাদীরা উক্ত সালিশী বৈঠকে কোন প্রকার কাগজপত্রাদি উপস্থাপন করতে পারেনি। এতদসত্ত্বেও তারা আমজাদ হোসেনের জমিতে চাষাবাদে বাধা দিয়ে আসছিল এবং তাকে ও তার পরিবারজনকে মারপিটসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমজাদ হোসেনের ছেলে মাহবুব হাসান, প্রতিবেশী মো. মামুন মন্ডল, মনোহরপুর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি মো. মফেজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. পাপুল ইসলাম, মো. সুজা মিয়া।
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুকঘোড়াবান্দা গ্রামের খেরাজ উদ্দিনের ছেলে ও সাতারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালযয়র প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম (৪৪) এবং তার ছেলে স্থানীয় ইউনিক কিন্ডার গার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মাহি (৯)। মমিনুল ইসলাম পরিবার নিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলার প্রফেসরপাড়ায় বসবাস করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়ক দিযে মমিনুল ইসলাম পলাশবাড়ী শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায একটি মাইক্রোবাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মাইক্রোবাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই বাবা মমিনুল ইসলাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর ছেলে মাহির মৃত্যু হয়।
পলাশবাড়ী থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।