মঙ্গলবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাইসছড়িতে এক নারীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ
মাইসছড়িতে এক নারীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির মাইসছড়িতে জমিজমা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক নারী আহত ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত নারী মর্জিনা খাতুন (৫৫), মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নের নুনছড়ি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোঃ লুৎফর রহমানের স্ত্রী। এ সময় হামলাকারীরা তার পরিধেয় বস্ত্র ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানী ঘটায় বলে জানা গেছে।
গত শনিবার বিকাল ৫টায় একই এলাকার মোঃ রহিমের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মোঃ লুৎফর রহমান গতকাল ১০/০২/২০২০ইং তারিখে বাদী হয়ে একই এলাকার মোঃ আবু(৩২) পিতা- মোঃ আব্দুল শহীদ, মোঃ রাজু(২৫) পিতা-মোঃ আব্দুল শহীদ, হাসনা বেগম(২৪) স্বামী- মোঃ আবু, পিয়ারা বেগম(৩৬) পিতা-মোঃ আব্দুল শহীদসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে মহালছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, আসামীগনের সহিত মোঃ লুৎফর রহমানের আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলা অবস্থায় ১নং আসামীর পিতার বিরুদ্ধে সিভিল আপীল মামলা নং-০৫/২০২০ এর সমন আদালত কর্তৃক তাহাদের বরাবরে প্রদান করার কয়েক ঘন্টা পরই অত্র আসামীগন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ০৮/০২/২০২০ ইং তারিখ বিকেলে মর্জিনা খাতুন মাইসছড়ি তাদের দোকান থেকে লেবারের বেতনের ১০,৫০০/= টাকা সাথে নিয়া বাড়িতে যাওয়ার সময় জনৈক রহিমের বাড়ির সামনে আসামীগন লাঠি সোটা নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাথায় ও হাতে পায়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পরে মর্জিনার আর্তচিৎকারে পার্শ্ববর্তী আনসার ফাঁড়িতে কর্তব্যরত মোঃ খায়ের ও এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে পূর্বের মামলার জের ধরে মারধর হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হয়েছি। ভিকটিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, আদালতে উভয় পক্ষের দায়ের করা মামলা চলাকালীন ৮৭ নং দাগের ০.৪ শতক জবর দখলকৃত ভূমি থেকে উচ্ছেদ মামলা নং ১১৩/১৮ থাকা সত্বেও ২০১২ ইং সালের যুগ্ম জজ আদালতে মামলার রায় অনুযায়ী দীর্ঘ দিন পর গত ১১/১১/২০১৯ ইং তারিখে খাগড়াছড়ি নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে ৬০ নং হোল্ডিং এর জায়গা উচ্ছেদ করার কথা থাকলেও উচ্ছেদ করা হয় ৮৭ নং দাগের জায়গার ঘরবাড়ী। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় লুৎফরের পরিবার। বর্তমানে ঘরবাড়ী হারিয়ে অসহায় পরিবারটি নিরাশ্রয় মানবের জীবন যাপন করছে। এর পর নতুন করে মর্জিনা খাতুনের উপর হামলার ঘটনায় সর্বদায় আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে।
এমতাবস্তায় লুৎফর রহমান তার বসবাসরত ৮৭ নং দাগের উচ্ছেদকৃত জায়গা ফেরৎ পেতে ও সু-বিচার পেতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।