সোমবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » আর্থিকখাতে সরকারের অব্যবস্থাপনা, নৈরাজ্য ও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ শাস্তি পেতে পারে না : সাইফুল হক
আর্থিকখাতে সরকারের অব্যবস্থাপনা, নৈরাজ্য ও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ শাস্তি পেতে পারে না : সাইফুল হক
ঢাকা :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার এক বিবৃতিতে ডাকঘর সঞ্চয় স্কীমের সুদের হার অর্ধেকে কমিয়ে আনার সরকারি সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারি ও লক্ষ লক্ষ মানুষকে পথে বসানোর সামিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন এই সিদ্ধান্ত স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জন্য এক বড় আঘাত। ডাকঘর সঞ্চয় স্কীমে সুদের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনায় লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের জীবনে বাড়তি দুর্ভোগ ও দুর্গতি সৃষ্টি হবে। তিনি উল্লেখ করেন এই স্কীমের সুদের হার ১১.২৮ শতাংশ থেকে হঠাৎ ৬ শতাংশে কমিয়ে আনায় সবচেয়ে বিপদে পড়বেন গ্রামাঞ্চলের স্বল্প আয়ের অসহায়, অবসরে যাওয়া এবং একেবারে নিন্মবিত্ত সাধারণ মানুষ।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন এর আগে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে সরকার বাড়তি করা আরোপ করায় সেখানেও লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার যেভাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রমবর্ধমান হারে ঋণ করে চলেছে তা ইতিমধ্যে বিরাট উদ্বেগ-উৎকন্ঠার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশন থেকে সরকার অব্যবহৃত হিসেবে চিহ্নিত প্রায় দুই লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে নেবার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটাও অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবার আশঙ্কা তৈরী করেছে।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের এই সমুদয় তৎপরতা আর্থিকখাতে সরকারের চরম অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও নৈরাজ্যের বহিঃপ্রকাশ। সরকারের অকার্যকরি ভূমিকার কারণে প্রতিবছর ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাইরে পাচার হচ্ছে। এসব রোধ করতে সরকারের অর্থবহ কোন পদক্ষেপ নেই।
বিবৃতিতে তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন সরকার কথিত উন্নয়নের নামে ‘ঋণ করে ঘি খাওয়ার’ যে নীতি গ্রহণ করেছে তার এক বড় অংশ অপচয় হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের কারণে সাধারণ মানুষ, ছোট ছোট বিনিয়োগকারীরা কেন শাস্তি পাবে। তিনি বলেন, সরকারের ভুল নীতির খেসারত সাধারণ মানুষ দিতে পারে না।
তিনি অনতিবিলম্বে ডাকঘর সঞ্চয় স্কীমের সুদের হার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। পাশাপাশি গোটা আর্থিক খাতে সীমাহীন অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য রোধেও তৎপর হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।