মঙ্গলবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে র্যাব অভিযানে ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য ও তার ৭ সহযোগী গ্রেফতার
ঝালকাঠিতে র্যাব অভিযানে ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য ও তার ৭ সহযোগী গ্রেফতার
ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় ৪৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মাদক বিক্রির ৪৮হাজার ৪’শ টাকাসহ এক ইউপি সদস্য ও তার ৭ সহযোগীকে র্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় গোপন সংবাদে নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের একটি নির্মাণাধীন একতলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানায়।
মঙ্গলবার সকালে তাদের নলছিটি থানায় সোপর্দ করে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন বরিশাল র্যাব-৮ এর ডিএডি মো. আব্দুল মোন্নাফ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নলছিটি উপজেলার উত্তর মগর গ্রামের সাত্তার হাওলাদারের ছেলে এবং মগড় ইউপি সদস্য মোঃ জসিম হাওলাদার (২৮), আমিরাবাদ গ্রামের প্রয়াত সকান্দার খানের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জামাল খান (৬০), আমিরাবাদ গ্রামের প্রয়াত আওয়াল মৃধার ছেলে আওলাদ হোসেন মৃধা (৪৮), উত্তর মগর গ্রামের মোতালেব হাওলাদারে ছেলে মোঃ মিরাজ হাওলাদার (৩৪), আমিরাবাদ গ্রামের প্রয়াত ইনসাফ আলী তালুকদারের ছেলে মোঃ জলিল তালুকদার (৬২), বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের প্রয়াত নুরুল হক মৃধার ছেলে মোঃ কামরুল ইসলাম (৩৯), বরিশাল শহরের রূপাতলী এলাকার রফিজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মোঃ সেলিম হাওলাদার (৪০) ও পূর্ব রায়াপুর বটতলার তোতা মিয়ার ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (৩৬)।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। গোপন সংবাদে অভিযানকালে এদের দেহ তল্লাশী করে ৪৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মাদক বিক্রির নগদ ৪৮হাজার ৪ শ টাকা, ১২ টি মোবাইল এবং ১৯টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
নলছিটিতে ধর্ষণ মামলায় এক যুবকের যাবজ্জীন কারাদন্ড
ঝালাকাঠি:: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে সোহেল ঘরামী (২৮) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শেখ. মো. তোফায়েল হাসান আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। ধর্ষণের কারণে কিশোরী অন্তসত্ত্বা হয়ে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। ৫ বছর বয়সী ওই সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত সোহেল ঘরামী তেতুলবাড়িয়া গ্রামের আইয়ুব আলী ঘরামীর ছেলে।
মামলার বিববরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩ মে সকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তেতুলবাড়িয়া গ্রামের এক কিশোরীকে (সাবানা আক্তার) তার বাড়িতে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী সোহেল ঘরামী। এতে ওই কিশোরী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সোহেল। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা (আবদুস সোবাহান) ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত নলছিটি থানার ওসিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আদালত সোহেলের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন। পরে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু।