মঙ্গলবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে মোটরবাইক চোর পুলিশের হাতে আটক
রাউজানে মোটরবাইক চোর পুলিশের হাতে আটক
স্টাফ রিপোর্টার :: অভিনব কায়দায় মোটরবাইক চুরি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে এক ব্যক্তি । আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালের দিকে চুরির ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সদর রাউজান ইউনিয়নের রমজান আলী হাট বাজারে। জানা যায়, মোহাম্মাদ পুর এলাকার জাফর আহমেদের পুত্র মোহাম্মাদ জামাল (২৬) বাইক নিয়ে ঔরসের জন্য মহিষ ক্রয় করতে রমজান আলী হাটে যায়। তার মোটরবাইক রেখে গরু বাজারে প্রবেশ করে মহিষ দর-দাম করার ফাঁকে চোরের দল জামালের গাড়ীটি একটি মিনি ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর এসে জামাল দেখে তার বাইকটি নেই। এসময় স্থানীয় লোকজন জানান, একটি বাইক মিনি ট্রাকে তুলতে দেখেছে। এমন সময় জামাল পূর্বগুজরা তদন্ত ফাঁড়ি পুলিশকে বাইক চুরির ঘটনা অবহিত করলে এস আই মহসিন রেজা ট্রাকটির পিছু নিয়ে ধাওয়া করে। সাথে সাথে তিনি নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা এসআই জাবেদ আলী ও ট্রাফিক পুলিশকে অবহিত করে। ট্রাফিকপুলিশ ও নোয়াপাড়া পুলিশের সহায়তায় নোয়াপাড়া চৌমুহনী থেকে ট্রাকটি আটক ও মোটরবাইক চট্ট মেট্রো -হ - ১৪-৩১৪৫ উদ্ধার করে। এসময় ট্রাক চালক পালিয়ে গেলেও এক চোরকে আটক করে পুলিশ। আটক মোটরবাইক চোরের নাম মোহাম্মাদ সুমন (২৬)। সেই ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলার চর কুড়াল পাড়া এলাকার ছিদ্দিকুর রহমানের পুত্র। বর্তমানে সেই নগরীর ডাবলমুরিং থানার ঈদগাঁ এলাকার একটি কলোনিতে বাসা বাড়িতে বসবাস করে। এ প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ জানান আটকের পর চোরকে জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে। তার সাথে আরো কয়জন ছিল তাহা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চুরির ঘটনায় বাইকের মানিক জামাল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
রাউজানে নিবিচারে কাটা হলো অর্ধশত চারা গাছ
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানের বিনাজুরী ইউনিয়নের ইদলপুর কুণ্ডেশ্বরী সড়কের পাশে সরকারি ভাবে রোপন করা প্রায় অর্ধশত চারা গাছ নিবিচরে কেটে ফেলা হয়েছে। ওই গ্রামের তিন বাসিন্দা রূপাল বড়ুয়া, উজ্জল বড়ুয়া ও কানু বড়ুয়া নামে কেটে ফেলা গাছ গুলো তাদের দাবি করে বলেছেন চেয়ারম্যান সুকুমার বড়ুয়া তাদের জানিয়েছেন সড়কটি বড় করার কাজ শুরু হবে। সড়ক পাশের গাছ গুলো দ্রুত কেটে নিতে। গতকাল ১৭ ফেব্র“য়ারি সোমবার গাছ কেটে নেয়ার স্থান পরিদর্শন কালে দেখা যায় কয়েকজন শ্রমিক কাটা গাছ গুলো টুকরো করছে। মুল সড়ক থেকে চার ফুট দুরুত্বে থাকা কচি গাছ গুলো কাটা হয়েছে। খবর নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সড়কটির উন্নয়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায় কাজের সিডিউল অনুসারে সড়কটি ১১ ফুট প্রসস্থ করে কার্পেটিং করা হবে। গাছ কাটা বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান সুকুমার বড়ুয়ার বক্তব্য চইলে তিনি বলেন, সড়কটি উন্নয়নে কাজ শুরু হচ্ছে সত্যি, কিন্তু গাছ কাটা না কাটা নিয়ে অমার সাথে কারো কথা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন রাস্তার গাছ কেটে নেয়ার নির্দ্দেশ কোনো চেয়ারম্যান প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া দিতে পারে না। গাছ কাটতে হলে আইনী প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করতে হবে। তিনি বলেন গাছ কাটার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।