শনিবার ● ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত
বিশ্বনাথে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে এক অজ্ঞাতনামা ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন থানা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমানসহ তিন পুলিশ সদস্য। শুক্রবার দিবাগত রাত (২২ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ৩টায় উপজেলার বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের সুড়িরখাল নামকস্থানে এঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় ১০/১২ জনের একটি ডাকাতদল বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্ততি চলাকালে একজন মোটরসাইকেল আরোহী ব্যক্তি বিষয়টি টহলরত পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে ডাকাত দলকে প্রতিহত করতে তাৎক্ষণিকভাবে থানার ওসি সহ একদল পুলিশ এগিয়ে গেলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এসময় একজন অজ্ঞাতনামা ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং আহত হন থানা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান, কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাস। একপর্যায়ে ডাকাতদলের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করে পুলিশ। আহত পুলিশ সদস্যদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, নিহত ডাকাতের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
বিশ্বনাথে বন্ধুক যুদ্ধে নিহত ডাকাতের পরিচয় সনাক্ত
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের বন্ধুক যুদ্ধে নিহত ডাকাতের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম ফটিক এলাইছ লিটন (৩৫)। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার গ্রামের ইদ্রিস আলী পুত্র। থানার অফিসার ইন-চার্জ শামীম মূসা জানান, নিহত ডাকাত সর্দারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি ডাকাতি মামলা, ৩টি অস্ত্র ও ১টি অন্যান্য মামলা রয়েছে। তার এক ভাই ক্রসফায়ারে ও অপর আরেক ভাই পুলিশ গুলিতে দুই পা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের সুড়িরখাল নামক স্থানে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় ফটিক এলাইছ লিটন (৩৫)।
বিশ্বনাথে বাসিয়া নদী সৃষ্টিকর্তার গচ্ছিত আমানত : সুলতানা কামাল
বিশ্বনাথ :: বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, বাসিয়া নদী আপনাদের কাছে সৃষ্টিকর্তার গচ্ছিত আমানত। আমানতের খেয়ানত যেন আপনাদের হাতে না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনারা দখলের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যান। আমরা পাশে আছি। যেকোনো অবস্থায় বাসিয়া নদীকে তার আদি রুপে ফিরিয়ে আনতে হবেই। যারা আজকের জনসভায় যোগ না দিয়ে দুরে সরে রয়েছেন, তারা মনে রাখবেন-বাসিয়া নদীর দূষিত বাতাস আপনারাও গ্রহণ করছেন। আপনাদের সন্তানেরাও এই বাতাস গ্রহণ করছে। যে কারণে উপজেলাজুড়ে নিত্যপণ্যের দোকানের চেয়ে ফার্মেসী-ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মানুষের ভীড় বেশি। বাসিয়া নদীর দখল উচ্ছেদে আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালতের কোনো নির্দেশ থাকলে আমরা সেটা মানতে বাধ্য। যদি সেটা না মানি, তাহলে সেটা হবে আদালত অবমাননা। কিন্তু আদালত যদি কখনো অন্যায্য রায় দেয়,
সিলেটের বিশ্বনাথের বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ‘বাসিয়া নদী দখল ও দুষণমুক্ত করার দাবী’তে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে উপজেলা সদরের নতুনবাজারের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্যে সুলতানা কামাল আরও বলেন, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী আসছে। তার সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণ বলে আসছেন, এই দেশ বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত-নির্দেশিত নীতিতে পরিচালিত হবে। যার সারা জীবনের রাজনীতি ছিল জনস্বার্থের রাজনীতি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা রাখতে চাই, আপনি প্রমাণ করুন, সত্যিকারার্থে তার সুযোগ্য সন্তান হয়ে
বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ফজল খানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুল বাতিনের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটার কিপারের সমন্ময়ক শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম, হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল, কেন্দ্রীয় সদস্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাংগঠনিক সম্পাদক ছামির মাহমুদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন ইমরান, বাঁচাও হাওর আন্দোলনের আহবায়ক সাজিদুর রহমান সুহেল, উপজেলা জাতীয়পার্টির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক জয়নাল আবেদীন, বিশ্বনাথ পুরানবাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আহমদ মিয়া, বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক শোয়েব বিন হেলালী, শামসুল ইসলাম মোমিন, উপজেলা বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী প্রমুখ।
বিশ্বনাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ডাকাত ফটিক ১৮ মামলার আসামী
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে শনিবার ভোরে ডাকাত-পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুলাগুলির ঘটনায় নিহত ডাকাতের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। নিহত ফটিক ওরফে লিটন উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার (উত্তরপাড়া) মৃত ইদ্রিছ আলীর পুত্র।
আজ শনিবার দুপুরে ডাকাত সর্দার ফটিকের স্ত্রী হালিমা বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ফটিকের লাশ সনাক্ত করেন। বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে ফটিকের লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন।
পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ফটিক ওরফে লিটনের স্ত্রী হালিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দুই বছর দুই মাস পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে জামিনে মুক্ত করি। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হওয়ার দুই মিনিটের মাথায় জেলগেট থেকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ দুপুরে স্বামীর লাশ ফেসবুকে দেখে শনাক্ত করি। থানায় এসে শুনি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি মারা গেছেন।’
এদিকে ডাকাত সর্দার দুর্ধর্ষ ফটিক ওরফে লিটনের মৃত্যুর খবর শুনে বিশ্বনাথ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানের লোকজনের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, ডাকাত সর্দার ফটিক ওরফে লিটনের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় থাকা ১৮টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ১১টি ডাকাতির মামলা, ৩টি অস্ত্র মামলা, ১টি ছিনতাই মামলা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা ও ১টি অন্যান্য মামলা। তার বিরুদ্ধে থাকা এসব মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বিশ্বনাথে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাহিদুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন
বিশ্বনাথ :: বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহিদুজ্জামান আর নেই। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাতকস্থ সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর কোয়াটারে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন। মৃত্যকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ১ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছে। তাহিদুজামান বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কর্মকলাপতি মাধবপুর (কাজিবাড়ী) গ্রামের মরহুম আব্দুর রইছ ৪র্থ পুত্র। আজ শনিবার (২২ফেব্রুয়ারী) মুক্তিযোদ্ধা তাহিদুজ্জামানকে মাধবপুর শাহী ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জানাযার নামাজে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়াহিদ আলী, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, সিলেট জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ময়নুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংধস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।