রবিবার ● ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে বিজয়ী হলে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবেন নাসির উদ্দীন বুলবুল
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে বিজয়ী হলে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবেন নাসির উদ্দীন বুলবুল
ঢাকা :: আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারী (২০২০) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল’ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে অন্যান্যের মধ্যে নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে ( ব্যালট নং ১৬ ) প্রতিদ্বদ্বীতা করছেন জাতীয় ইংরেজী দৈনিক ’দি বাংলাদেশ টুডে’র সিনিয়র সহ সম্পাদক ও ‘ডেইলি গাজীপুর ডট কম’ এর সম্পাদক, সাংবাদিক, কলামিষ্ট নাসির উদ্দীন বুলবুল। ‘দৈনিক আল আমীন’ ভোরের কাগজ, দৈনিক লাল সবুজ, দৈনিক রূপালীসহ বিভিন্ন পাত্রিকা, সংবাদ সংস্থা ( নিউজ পোর্টাল ), অনলাইনে তাঁর রয়েছে দু’যুগেরও বেশি সময়ের পেশাগত দক্ষতা। শুধু সাংবাদিকতাই নয়, তার রয়েছে দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক পরিচয়ও। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ-মাদ্রাসা,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার অসীম ইচ্ছে ও আগ্রহ তার।
নাসির উদ্দীন বুলবুল ঢাকা সাব এডিটরস্ কাউন্সিলের সাবেক কার্য নির্বাহী সদস্য,জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটির মহাসচিব,বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশনের সদস্য এবং টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাবেক আহবায়ক।
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাসির উদ্দীন বুলবুল বলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সাংবাদিকদের রুটি রুজির অধিকার আদায়, ডিইউজকে ডিজিটালাইজ করা ও আবাসন সমস্যা সমাধানসহ ডিইউজকে আরো গতিশীল করতে আমি সকলের ভোট চাই। সেই সাথে নির্বাচিত হয়ে সংগঠন ও সদস্যদের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করার সুযোগের জন্য সকলের অন্তঃস্থল থেকে দোয়া চাই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের মিডিয়াগুলোতে রিপোর্টার থেকে শুরু করে সকল সেক্টরেই যথাযথ মূল্যায়ন হয় না বললেই চলে। এমনকি কোনো কোনো মিডিয়াতো সাংবাদিকতাকে আলাদা একটি সম্মানজনক পেশা হিসেবে গণ্যই করে না। অথচ একটি সংবাদকে পাঠকদের সামনে তুলে ধরার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে থাকেন সাংবাদিকরা। যারা জীবনের ঝুঁকি, অক্লান্ত পরিশ্রম ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে এক একটি সংবাদ পাঠকদের কাছে তাদের খবরের চাহিদা পূরণ করে।
নাসির উদ্দীন বুলবুল বলেন, আমি নিজে দুটি অনলাইন (ডেইলি গাজীপুর ডট কম ও’ ভোরের বাণী ডট কম ) পত্রিকার সম্পাদক। একজন সম্পাদক হিসেবে আমি মনে করি, সাংবাদিকরা সব সময়ই দেশ ও দশের জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দেন। অথচ সেই ত্যাগের তুলনায় তাদের মূল্যায়ন হয়না। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের জন্য অসংখ্য সংগঠন রয়েছে। কিন্তু এদের কেউই কাগজ-কলম ব্যতিত সত্যিকার অর্থে সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না। সেই হিসেবে আমি মনে করি (ডিইউজে) নির্বাচনে জয়ী হলে শুধু কথায়ই নয়, আমি আমার জীবনের বাকী সময় সাংবাদিক বন্ধুদের কল্যাণে কাজ করবো।
তিনি আরো বলেন, আমি কৈশোর থেকে অদ্যাবধি দেশের বৃহত্তম শিল্পাঞ্চল (ট্রেড ইউনিয়ন এলাকা ) টঙ্গীতে বসবাস করছি, ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। আমি দেখেছি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহ্সান রাসেল এমপির বাবা আমার প্রিয় শিক্ষক প্রয়াত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাষ্টার এমপি, সংসদ সদস্য বেগম শামসুন নাহার ভ’ঁইয়া ও প্রয়াত সাবেক প্রধান মন্ত্রী কাজী জাফর আহম্মেদের টঙ্গীতে ট্রেড ইউনিয়ন রাজনীতি। তিনি আরও বলেন, আমার শিক্ষক শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার এমপি‘র সাহসিকতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে। তিনি আমার স্কুল শিক্ষক ও রাজনৈতিক আইডল। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বকে একটি মর্যাদাপূর্ণ জায়গায় নিয়ে যাওয়াই আমার অঙ্গীকার।
আমি ১৯৯৩ সাল থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্মকান্ডের সাথে জড়িত। বর্তমান ইউনিয়ন ট্রেড ইউনিয়নের যে কর্মকান্ড হওয়ার কথা তা থেকে আমরা দিন দিন দুরে সরে যাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে, শক্তিশালী ট্রেড ইউনিয়ন গড়তে নেতৃত্বের অবশ্যই প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে, তা নাহলে যারা নেতৃত্ব দেয়ার মনোভাব নিয়ে নির্বাচন করতে আসে,নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের আর সদস্যদের প্রয়োজনে পাওয়া যায় না,, ইউনিয়নের সুনিদৃষ্ট কিছু এজেন্ডা আছে প্রতিশ্রুতির বাইরে এবার সেই সুনিদৃষ্ট এজেন্ডা গুলোর কাজও ঠিক সময় করতে না পারায় ইউনিয়নের প্রতি সদস্যদের আস্থার ঘাটতি চলছে, এখন আমরা কি দেখছি ? ট্রেড ইউনিয়নে নিজের কাজ সম্পর্কে ধারনা নাই, সদস্যদের মুল্যায়ন এবং তাদেরকে ইউনিয়ন মুখী করার ন্যুন্যতম চেষ্টা নাই, যার কারনে ইউনিয়নের কাঙ্খিত সহযোগীতা না পাওয়ার কারনে সদস্যদের অনাগ্রহ ইউনিয়নের প্রতি, নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগে প্রতিশ্রুতি অবশ্যই প্রয়োজন বলে মনে করি।
দ্বিতীয়ত ইউনিয়নের কাজের গতি না থাকায় সদস্যরা সেকশন ভিত্তিক সংগঠন/ সমিতি করার দিকে ঝুকছে , ট্রেড ইউনিয়ন তার কর্মকান্ড দিয়ে সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণে পুরোপুরি সফল না হওয়ার কারনে, ট্রেড ইউনিয়নের গতি ফিরাতে অভিজ্ঞদের নির্বাচিত করতে হবে যারা ইউনিয়নের কাজ জানে।
ডিইউজে এখন সিনিয়র জুনিয়র সমন্বয়ের অভাব,যারা নতুন সদস্য হয়েছে তাদের কর্মকান্ডে মনে হবে তিনি মনে হয় অনেক সিনিয়র সদস্য,যারা সিনিয়র সদস্য তাদের মুল্যায়ন করা সম্মান করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে, আমি নির্বাচিত হলে এসব চিন্তা মাথায় রেখে গতিশীল ইউনিয়ন এবং সদস্যদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাবো।
শুধু তাই নয় বেকার সাংবাদিক বন্ধুদের কাজের জন্য চেস্টা থাকবে আমার,পেশায় বেকারত্ব কমানোর জন্য ইউনিয়ন থেকে এমন কিছু করার চেস্টা থাকবে যেখান থেকে সদস্যরা আপদ বা বিপদকালীন সময়ে কাজ করে চলতে পারবে।আমি নির্বাচিত হলে ইউনিয়নটিকে গতিশীল করতে সকলের সহযোগিতা সুপরামর্শ কাজে লাগাতে সচেস্ট থাকবো।
সাংবাদিকদের বৃহৎ সংগঠন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে এবার কুদ্দুস আফ্রাদ-সাজ্জাদ আলম খান তপু প্যানেল থেকে আমি একজন সদস্য প্রার্থী। ২০১৫সালে আমি ঢাকা সাব এডিটরস্ কাউন্সিল (ডিএসইসি)’র র্কাযনির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বদ্বীতা করেছিলাম। আপনারা আমাকে ভালবেসে ভোট দিয়েছিলেন, সেবার আমি বিজয়ী হয়েছি। সেজন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। বিজয়ী হওয়ার পর সংগঠনের রুটিন মাফিক কাজ (ইফতার পার্টি, প্রতিষ্ঠাবার্ষকী, ফ্যামিলী-ডে) সহ সংগঠনের স্বার্থে সকল কাজে কমিটিকে সহযোগীতা করেছি। তাই এবার (ডিইউজে) সদস্যরা আমাকে পাশে থাকার সুযোগ দেবেন বলে বিশ্বাস করি। সাংবাদিকদের রুটি-রুজির সংগ্রামে পাশে থাকব।’
২০১৬ সদস্য এবং ২০১৮ সালে প্রচার সম্পাদক পদে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রতিদ্বনিদ্বতা করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হই। আপনাদের কাছে আমার সবিনয় আকুল নিবেদন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে একবার আমাকে নির্বাচিত করে পরীক্ষা করুন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি সাংবাদিক সদস্যদের পাশে থেকে কল্যাণে কাজ করব।এবার ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে বরাবরের মতো এখানে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। অনেক সহকর্মী প্রার্থী হয়েছেন। সেই কাতারে আমিও একজন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য পদে যদি আমাকে উপযুক্ত প্রার্থী মনে করেন, তাহলে আপনাদের ভোট, দোয়া, আর্শীবাদ এবং আন্তরিক ভালোবাসা প্রত্যাশা করছি। কারণ আপনাদের ভোট ছাড়া নির্বাচনে আমি আমার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো না । ভোট দেওয়ার বিবেচনা আপনার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। যেখানেই থাকুন ভালো এবং আনন্দে থাকুন।
নাসির উদ্দীন বুলবুল,সদস্য পদ প্রার্থী।