সোমবার ● ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাদী হলো আসামী আর বিচারক হলেন বাদী
বাদী হলো আসামী আর বিচারক হলেন বাদী
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে নেগোশিয়েবল ইন্সষ্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের (চেক ডিসঅনার) মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য ও চেক টেম্পারিং করার দায়ে ওই মামলার বাদী আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে এক দৃষ্টান্তমুলক রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। রবিবার ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট মোঃ হাসানুজ্জামান পৃথক দুটি ধারায় আসামী আব্দুল জলিল (বাদী ও পরবর্তীতে) কে দোষি সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। আব্দুল জলিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে। আসামীর আইনজীবী এড এসএম মশিয়ূর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে আব্দুল জলিল ১৫ লাখ টাকার নেগোশিয়েবল ইন্সষ্ট্রুমেন্ট এ্যক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করেন জনৈক হাসান আলীর বিরুদ্ধে, যার মামলা নং ৯৮/২০১৫। ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ঝিনাইদহ যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালতে সাক্ষ্য প্রদানের সময় মামলার বাদী আব্দুল জলিল শপথ পুর্বক জানান যে, তিনি আসামী হাসান আলীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা বুঝে পেয়েছেন। অন্যদিকে মামলার আসামী হাসান আলী আদালতকে জানান, তর্কিত চেকটিতে প্রকৃত পক্ষে ৫০ হাজার টাকা লেখা ছিল। বাদী আব্দুল আজিজ চেক কাটাকাটি করে ৫০ হাজারের স্থলে ১৫ লাখ বানিয়েছেন। আসামী হাসান আলী এও জানান যে, তিনি ৫০ হাজার টাকা আব্দুল জলিলকে ইতিমধ্যে পরিশোধ করেছেন। আদালতের সন্দেহ হলে চেকটি পরীক্ষার জন্য ঢাকার সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইডির পরিদর্শক রুহুল আমীন পরীক্ষান্তে আদালতে রিপোর্ট দেন যে প্রকৃত পক্ষে ৫০ হাজার টাকার স্থলে কাটাকাটি করে ১৫ লাখ লেখা হয়েছে। আসামীর ৫০ হাজার টাকা প্রদানের স্বীকারোক্তি ও সিআইডির রিপোর্টের সাথে মিল থাকায় তৎকালীন ঝিনাইদহ যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সালেহুজ্জামান নিজেই বাদী হয়ে নেগোশিয়েবল ইন্সষ্ট্রুমেন্ট এ্যক্টের ১৩৮ ধারার মামলার বাদী আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য ও চেক টেম্পারিং এর মামলা করেন। আসামী আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে বাদী তথা দায়রা আদালতের বিচারক, হস্তলিপি বিশারদ, আদালতের বেঞ্চ সহকারী ও অফিস সহায়কের মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে দন্ডবিধির ১৯৩ ও ৪৬৫ ধারার অপরাধ সংঘটিত করেছেন মর্মে প্রমানিত হয়। ফলে দালিলিক সাক্ষ্য দ্বারা দোষ প্রমানিত হওয়ায় ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট মোঃ হাসানুজ্জামান আসামীকে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানের জন্য ১৯৩ ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং চেক টেম্পারিং করার দায়ে দন্ডবিধির ৪৬৫ ধারায় দোষি সাব্যস্ত করে আরো দুই বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। দুইটি সাজার একটির পর আরেকটি কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। আদালত তার পর্যবেক্ষনে উল্লেখ করেন, প্রায় চেক জালিয়াতির মাধ্যমে সাধারণ জনগনকে মিথ্যা মামলায় ফেলে আর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। এই মামলার ঘটনাটি তারই একটি উজ্জল প্রমান। ফলে আসামীকে দৃষ্টন্তমুলক শাস্তি না দিলে সমাজ থেকে এই রোগ নির্মূল হবে না।
ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই চলছে অবাধে ফসলি জমিতে পুকুর খনন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই চলছে অবাধে ফসলি জমিতে পুকুর খনন। ফসলি জমিতে পুকুর খননের কারনে শেষ হয়ে যাচ্ছে ফসলী জমি! এাঠের মধ্যে ফসলি জমির পুকুর থেকে মাটি খেঁকো সেসব ব্যাবসায়িরা লাখ লাখ টাকার পুরো মাটিই বিক্রয় করে ফেলছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। মাটি ব্যাবসায়িরা ও ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ার কারনে গ্রামবাসিরা মুখ খুলতে সাহস পাইনা মর্মে অভিযোগ রয়েছে সাংবাদিকদের নিকটে। জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলায় চাঁদপুর, হাকিমপুর, গিলাবাড়িয়া সহ ঐ এলাকায়ও চলছে অবাধে ফসলি জমিতে পুকুর খনন। আবার সেসব পুকুর থেকে লাখ লাখ টাকার পুরো মাটি বিক্রয় করছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। মাটি বোঝায় করে কাঁচা পাকা রাস্তায় চলছে ৮/১০টি ট্রাক্টর। এতে করে নতুন পুরাতন রাস্তা গুলো নিমিষেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আবার সারা দিনে একটি রাস্তায় ৮/১০ টি ট্রাক্টর একটানা চলার কারনে ব্যাপক ধুলাবালির সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে গ্রামের ছোট বড় সবাইকেই বাড়ির জানালা দরজা বন্ধ করে খাওয়া দাওয়া করতে হচ্ছে। অসুস্থ্য হয়ে পড়ার প্রচন্ড সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে শিশুসহ বয়স্কদের। এদিকে পাকা রাস্তায় মাটি বোঝায় ট্রাক্টর থেকে খসে পড়া মাটির উপরে একটু বৃষ্টি পড়লেই সেসব সড়কে স্লিপ কেটে সারা দিন ধরেই ঘটতে থাকে সড়ক দুর্ঘটনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার চাঁদপুর ও হাকিমপুর সহ ঐ এলাকার চিহ্নিত মাটি ব্যাবসায়ি হাবিল, গঞ্জের, হাফিজ ও কাশেম নামক ব্যাক্তিরা কয়েকটি ভেকু ম্যাশিন দিয়ে ঐ এলঅকার বেশ কিছু ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে। আবার সেসব পুকুর থেকে লাখ লাখ টাকার পুরো মাটি বিক্রয় করছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। মাটি বোঝায় করে কাঁচা পাকা রাস্তায় চলছে ৮/১০টি ট্রাক্টর। মাটি বোঝায় ট্রাক্টরের আঘাতে নতুন পুরাতন রাস্তা গুলো নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালী মাটি ব্যাবসায়ি ও ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে জোর অনুরোধ জানিয়েছেন গ্রামবাসি। এব্যাপারে অভিযুক্ত চিহ্নিত মাটি ব্যাবসায়ি হাবিল, গঞ্জের, হাফিজ ও কাশেম অভিযোগ স্বীকার করে পুরনো পুকুর খনন করছে মর্মে সাংবাদিকদের জানায়। তবে এ বিষয়ে হরিনাকুন্ডু ইউএনও যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সাংবাদিকদের।
শৈলকুপার কবিরপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তোরাপ আলীর বিরুদ্ধে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপার কবিরপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তোরাপ আলীর বিরুদ্ধে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেই প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের যায়গা দিয়ে নিজের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা তৈরী করছে, শিক্ষকরা বাধা দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও চাকুরী থেকে বরখাস্তের হুমকি এমনই অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে তিনি পিছু হটেন সভাপতি গ্রুপের লোকজন। তবে তোরাপ আলী জানান তিনি ইউএনও’র কাছে রাস্তার জন্য দরখাস্ত করেছেন। তিনি তাকে পৌর মেয়রের কাছে যেতে বলেছেন। পৌর মেয়র তাকে রাস্তা করার অনুমোতি দিয়েছেন। কবিরপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি তোরাপ আলী স্কুলের পিছনের তার সাথে অ-মিমাংশিত যায়গা থেকে একটি মেহগনি গাছ কেটে স্কুলের যায়গা দিয়ে তার বাড়ি যাওয়ার রাস্তা শুরু করেন। তারা ঘটনাটি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে থানায় একটি জিডি করার পরামর্শ দেন। তিনি শনিবার থানায় একটি জিডি করেন। এরপর সভাপতি রোববার দুপুরে তার নামে থানায় জিডি করার কারণে স্কুল প্রাঙ্গনে এসে শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এ ছাড়া চাকুরী থেকে বরখাস্তের হুমকি দেন তিনি। প্রধান শিক্ষক সোহেলী খাতুন জানান, সভাপতি তোরাপ আলী শনিবার সকালে স্কুলের পিছন থেকে একটি মেহগনি গাছ কেটে স্কুলের যায়গা দিয়ে তিনি রাস্তা নির্মান শুরু করেন। তারা বাধা দিলে না শুনলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়। এরপর তিনি রোববার দুপুরে জিডি করার কারণে স্কুল প্রাঙ্গনে এসে শিক্ষিকাদেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং চাকুরী থেকে বরখাস্তের হুমকি দেন। এ ঘটনায় সভাপতি তোরাপ আলী জানান স্কুলের পিছন দিয়ে একটি রাস্তার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে ইউএনওকে তিনি জানিয়েছি্েরলন। তারপর তিনি তাকে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। মেয়রের সাথে দেখা করে একটি দরখাস্ত দিলে তিনি আমাকে রাস্তা নির্মানের অনুমোতি দেন এবং বলেন পরে টাকা দিয়ে দেবেন তিনি। জনস্বার্থে তিনি এ রাস্তা নির্মান করছেন শুধু নিজের বাড়ি যাওয়ার জন্য তিনি এ কাজ করছেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি তোরাপ আলীকে রাস্তা নির্মানের অনুমোতি দেননি। স্কুলের যায়গা দিয়ে কখনও রাস্তা নির্মান করা যাবে না। এ ঘটনায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন বলেন, কবিরপুর মডের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তোরাপ আলী স্কুলের যায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মান করার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার ঘটনা তিনি আগামী শিক্ষা কমিটির মিটিংয়ে পেশ করবেন বলে জানান। শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক এমদাদ হোসেন রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তোরাপ আলীকে স্কুলের যায়গা থেকে মাটি সরিয়ে নিতে বলেছেন বলে জানান। এ ঘটনায় পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন কবিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে একটি পুরাতন রাস্তা। বর্ষায় পানি জমে। তাই উঁচু করার জন্য মাটি দেওয়ার অনুমোতি দেওয়া হয়েছে। স্কুলের যায়গাও সেখানে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহে বিনামুল্যে ৩ শতাধিক দুস্থ-অসহায়দের চিকিৎসা সেবা প্রদান
ঝিনাইদহ :: ‘সবাই মিলে করবো কাজ, গড়বো মোরা সুশীল সমাজ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ভাষা শহীদদের স্মরণে ঝিনাইদহে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের বেড়াদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে শহীদ মমিন স্মৃতি সংঘ ক্লাব। দিনব্যাপী এ ক্যাম্পে ওই এলাকার ৩ শতাধিক দুস্থ-অসহায় রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। সেবা প্রদাণ করেন সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহীন ঢালীসহ ঝিনাইদহ সরকারী ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা। এসময় রোগীদের বিনামুল্যে ঔষধ প্রদাণ করা হয়। সেসময় ক্লাবটির সভাপতি সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির, সম্পাদক আলম হোসেন, সদস্য মুজাহিদ পল্লব, হামিদুর, সজিব হোসেন, মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ জেলা জাসদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
ঝিনাইদহ :: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ঝিনাইদহ জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপী ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাক উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শফিউদ্দিন মোল্লা। পরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চন্দন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু,। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন, জাতীয় যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম স্বপন, মাগুরা জেলা জাসদের সভাপতি অহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা অসিত সিংহ রায়, যুবজোট নেতা শামিম আক্তার বাবু, শৈলকুপা উপজেলা শাখার সভাপতি সরাফত ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ খান। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের আলোচনা শেষে ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়।
ঝিনাইদহে ইজিবাইক চালকদের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মতবিনিময়
ঝিনাইদহ :: সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করনীয়, এলইডি লাইট বন্ধসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইজিবাইক চালকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ। সোমবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ, ইজিবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল মোমেন, শ্রমিক নেতা নুরুন্নবী, মেছের উদ্দিন, লিটন লস্কর, শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করনীয়, এলইডি লাইট বন্ধসহ নানা বিষয়ে জেলা শহর ও বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী ইজিবাইক চালকদের নানা পরামর্শ প্রদাণ করেন। ইজিবাইক চালকরা এ বিষয়ে একমত পোষন করে তাদের দাবী উত্থাপন করেন।
ঝিনাইদহে জেলা পর্যায়ে শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে জেলা পর্যায়ে শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার জেলা শিশু একাডেমীতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা ইয়াসমিন, জেলা কালচারাল অফিসার জসিম উদ্দিন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আয়ুব হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় জেলার ৬ উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তুরের ১৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ৯ টি দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। জেলা পর্যায়ের এ বিজয়ী দল আগামী ৫ মার্চ খুলনার পাবলিক কলেজে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। জাতীয় সংগীত চর্চাকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যেই এ আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।