বৃহস্পতিবার ● ১২ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানে চেমীর মুখ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ
বান্দরবানে চেমীর মুখ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ
মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে কুহালং ইউনিয়নের চেমীর মুখ পাড়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর অর্থায়নে নবনির্মিত চেমীর মুখ আনু মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণে (এলজিইডি)’র প্রকৌশলীদের যোগসাজশে মলিন কনস্ট্রাকশন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই স্কুলের একাডেমিক ভবনের ফাউন্ডেশনে নিয়ম অনুযায়ী সিমেন্টের চেয়ে কম সিমেন্ট ব্যবহার ও (এলজিইডি)’র প্রকৌশলী অনুপস্থিতি থাকা অবস্থায় ভবনটি নির্মাণে স্থানীয় সাঙ্গু নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু মিশিয়ে ভবনের বেইস ঢালাই থেকে শুরু করে গ্রেট বিম পর্যন্ত সিমেন্ট কম দিয়ে ঢালাই করা হয়।
স্থানিয়রা ও এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত (২০ মে) ২০১৯ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হতে ৭৮ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে লক্ষ টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার দুই নম্বর কুহালং ইউনিয়নের চেমীর মুখ আনু মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় বান্দরবানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মলিন কনস্ট্রাকশন। স্কুল ভবনটি নির্মাণ কাজের শুরুতেই অফিসের প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেন মলিন কনস্ট্রাকশনের মালিক মলিন ও এলজিইডির কাজটি দেখাশোনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রকৌশলী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনটির বেইস ঢালাই থেকে শুরু করে গ্রেড বীম পর্যন্ত পরিমাণের চেয়ে সিমেন্ট কম দেওয়া হয় ও লোভ দেখানো কিছু পরিমাণ দৃশ্যমান ভালো বলু রেখে জনকপুর আড়ালে স্থানীয় সাঙ্গু নদীর বালু মিক্স করে ঢালাই কাজে ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে সেমীর মুখ আনু মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাস্টার অভিযোগ করে বলেন, টিকাদার মলিন কাজটি পাওয়ার শুরু থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেছে। শুক্রবারে আমরা স্কুলে না থাকা অবস্থায় সিমেন্ট কম দেওয়া ও লোকাল বালু ব্যবহারের জন্য তিনি ঢালাইয়ের কাজ করে থাকেন। আমার জানামতে ভবনটির গ্রেড বিম করার সময় প্রায় ১শত ব্যাগ সিমেন্ট কম দেওয়া হয়েছে এবং ভবনটিতে নিন্মমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ করলে আগামীতে ছাত্র-ছাত্রীদের মাথার উপর ভবন ধসে পড়তে পারে।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মলিন কনস্ট্রাকশন এর মালিক মলিন বলেন, কাজটি আমি টেন্ডারের মাধ্যমে পেয়েছি কাজটি করতে ব্যয় বহুল অফিস করা যাচ্ছে। আর (এলজিইডি)’র কোন কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি নাই তবুও আমি কাজটি ঠিকভাবে করার চেষ্টা করছি।
কাজটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর উপজেলা (এলজিইডি) অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমানুর রহমান বলেন, আমাদের কাজ ১০০% ভালো হবে তা বলবো না। আমরা কাজ দেখতে সব সময় যেতে পারি না। এই ঠিকাদার মলিনের কাজ দেখতে আমার ভালো লাগছে না। কারণ তার আচার-ব্যবহারও তেমন ভালো না। সেটা ঠিক আমি উপস্থিত না থাকা অবস্থায় ঠিকাদার হয়তো কাজে একটু এদিক সেদিক করতেই পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে (এলজিইডি) জেলা অফিসের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন বলেন, সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার রবিউল অসুস্থ থাকায় কাজটি আমিও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমানুর রহমান দেখছি। কাজটি তো সমস্যা হওয়ার কথা না। রিপোর্ট করলে করেন, আমাদের কাজ আমরা করব, কোন ক্ষতি হবেনা।