বৃহস্পতিবার ● ১২ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » সাম্প্রদায়িক শাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ায় জনগণের মৈত্রী ও সংহতি জোরদার করতে হবে : সাইফুল হক
সাম্প্রদায়িক শাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ায় জনগণের মৈত্রী ও সংহতি জোরদার করতে হবে : সাইফুল হক
ঢাকা :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিবাদ ও অগণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এগিয়ে নেবার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন উভয় দেশের জনগণকে সাম্প্রদায়িক বিভাজন, হিংসা, বিদ্বেষ ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে গণসংগ্রামকে বিজয়ী করতে হবে। তিনি বলেন, শাসকশ্রেণী তাদের কায়েমী স্বার্থে ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করতে হয়। এই ধরনের হিংসাশ্রয়ী বিভাজনের রাজনীতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্রমিক শ্রেণীসহ শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষ। তিনি পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী শোষণ-লুন্ঠন, স্বৈরতন্ত্র, ফ্যাসিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলের জনগণের নতুন মৈত্রী, ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলার ডাক দেন।
বাংলাদেশ সফররত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি-এম.এল লিবারেশন কেন্দ্রীয় নেতা এবং সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন এআইসিসিটিইউ এর ন্যাশনাল সেক্রেটারী বাসুদেব বসু’র সম্মানে আয়োজিত অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
আজ ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আকবর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আবু হাসান টিপু, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাপোলো জামালী, নারী নেত্রী স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের পবিত্র কুমার একবর ও শ্রমিক নেতা নাইম খান প্রমুখ।
সভায় বাসুদেব বসু সম্প্রতি দিল্লীতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস এবং অসংখ্য মানুষের হতাহত হওয়া ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন, জনগণের সাহসী প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত ভাড়া করার সন্ত্রাসীদেরকে পালাতে হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতের জনগণ বিজেপি’র ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে জনগণের এক নতুন ধরনের ঐক্য ও সম্প্রীতি গড়ে তুলছে। ঢাকার শাহবাগের অনুসরণে ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনেকগুলো শাহীনবাগ গড়ে উঠেছে। মোদি-অমিত শাহ এর হিন্দুত্ববাদী অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এক অভূতপূর্ব জনজাগরণের মধ্য দিয়ে এক নতুন ভারতের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আমাদের এই অভিযাত্রায় বাংলাদেশের মানুষ আমাদের পরম বন্ধু। উভয় দেশের মানুষের এই বন্ধুত্বকে আমরা পারস্পরিক সম্মান-মর্যাদা আর ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে আমরা নতুন গণতান্ত্রিক ও মানবিক ভবিষ্যত তৈরী করতে চাই। ভারতের ছাত্র-তরুণদের পাশাপাশি শ্রমিকশ্রেণী এই সংগামে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে।