বুধবার ● ১৮ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » ঝিনাইদহে হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৭৪ জন : অনেকেই মানছে না আইন
ঝিনাইদহে হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৭৪ জন : অনেকেই মানছে না আইন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঝিনাইদহের ৫ উপজেলায় ১৮ মার্চ বুধবার দুপুর পর্যন্ত ২৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে বিদেশ ফেরত ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। ইতালি, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে প্রবাসিরা আসার পর তাদের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদেরকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থা গ্রহন করা গয়েছে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানবিদ জাহাঙ্গীর হোসেন বুধবার দুপুরে জানান, গত ১০ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ এই ৮ দিনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৬জন, কোটচাঁদপুরে ১৫ জন, কালীগঞ্জে ১২জন, শৈলকুপায় ৮জন ও মহেশপুর উপজেলায় ২৩৩ জনকেহোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা জারী করা হয়েছে। এদিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, হোম কোয়ারেন্টাইনে মানুষগুলো নিয়ম মানছে না। বিশেষ করে প্রবাসীরা নিজের ইচ্ছেমতো চলা ফেরা করছেন। নজরদারী না থাকায় তারা হোম কোয়ারেন্টাইনের সকল নিয়ম ভঙ্গ করে চলাফেরা করে বেড়াচ্ছেন, যাচ্ছেন আত্মীয় বাড়িতেও। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, বিদেশফেরত ব্যক্তি দেশের মনিুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। স্বাস্থ্য বিভাগের একার পক্ষে এটা মানানো সম্ভব নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে ঝিনাইদহে এখন পর্যন্ত কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি বলেও তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের জানান। এদিকে ইতালি, জার্মানি, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে যে সব প্রবাসিরা বাড়ি ফিরছেন তাদের পরিচয় গোপন রাখার কারণে তারা স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রশাসনের নজরদারী এড়িয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে।
হরিণাকুন্ডুতে ছেলের নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা মায়ের মামলা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাছারীতোলা গ্রামে ছেলের নির্যাতনের শিকার এক বৃদ্ধা মা বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছেন। কুলাঙ্গার ছেলের বিচার চেয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ মার্চ কাছারী তোলা গ্রামের মৃত কোরবান শাহ’র স্ত্রী ছামিরা বেগমকে তার মেজ ছেলে লাভলু শাহ মারধর করে। এতে তিনি আহত হন। ১০ মার্চ ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন মা ছামিরা বেগম। মামলার আরজি থেকে আরও জানা যায় ছেলের নেশার টাকা দিতে অস্বীকার করায় মাকে প্রায় মারধর করতো লাভলু। এর আগে তিনি বিধবা মায়ের গচ্ছিত ৮০ হাজার টাকা ও একটি কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মা ছমিরা বেগম বলেন আমার স্বামীর মৃত্যুর পর মেজ ছেলে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সে জুয়া খেলে ঘরের জিসিন নষ্ট করে। নেশার টাকা না পেয়ে আমাকে মারধর ও নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে। এর আগেও আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হরিণাকুন্ড থানায় অভিযোগ করি এবং ওসি মিমাংশা করে দেয়। এখন আমি এই নেশাখোর ছেলের বিচার চাই। বৃদ্ধার মেজ ছেলে লাভলু শাহ বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় আমার বড় ভায়ের ইন্ধনে মা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমি মাকে নির্যাতন করিনি।
করোনা প্রতিরোধে জরুরি সভা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে করোনা প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসক ও স্বাস্থ্য বিভাগ। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালেদা খানম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান (পিপিএম) সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগমসহ সরকারি সকল দপ্তরের কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিরা।এসময় জানানো হয়, জেলার ৬ উপজেলায় এ পর্যন্ত চীন, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কুয়েত, সৌদি আরব, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীসহ তাদের পরিবারের ২’শ ৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের বাড়ি থেকে বের না হতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ এ নির্দেশ না মানলে জেল জরিমানা করা হবে। এছাড়াও করোনা প্রতিরোধে তৃণমুল পর্যন্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারপত্র ছড়ানো হচ্ছে।
অগ্নিদগ্ধ শিশু কন্যা সাথীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র মিন্টু
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোতাহাটি গ্রামের আব্দুল হান্নান শেখের অগ্নিদগ্ধ শিশু কন্যা সাথীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। ৫ বছর বয়সী শিশু সাথী অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সাথি অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর তার পিতা আব্দুল হান্নান শেখ দেশবাসীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে নজরে পড়ে পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর। তিনি ছুটে যান হাসপাতালে। হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে সাথীর চিকিৎসার খোজ নেন এবং চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় বহর করা হবে বলে ঘোষনা দেন। এর আগেও পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর মানব কল্যানে অসহায় পরিবারের পাশে দাড়ানোর অসংখ্য নজীর রয়েছে। তার আর্থিক সহায়তায় বহু ছেলে মেয়ে কলেজ ভার্সিটিতে পড়ছেন।