শুক্রবার ● ২০ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৮৪
গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৮৪
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা জেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৮৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৮৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের উপর কড়া নজরদাড়ি রাখা হয়েছে।
গাইবান্ধার সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশফেরত ৫০ ও গত ৭ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ৩৪ জন মোট ৮৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা যাতে নিয়মের বাইরে না চলে সেজন্য তাদের উপর কড়া নজরদাড়ি রাখা হচ্ছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ১১, সুন্দরগঞ্জে ১৭, সাদুল্লাপুরে ৭, গোবিন্দগঞ্জে ১১, ফুলছড়িতে ১৭, সাঘাটায় ১৯ ও পলাশবাড়ীতে ২ জন।
তিনি আরও জানান, ওইসব ব্যক্তিদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্যকর্মীরা ম্যাক্স ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যবহার করে এসব ব্যক্তির নিয়মিত নজরদাড়ি রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, কোয়ারেন্টাইনের জন্য গাইবান্ধা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যালয় ও জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ৫ শয্যার কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেসন ইউনিট খোলা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকার কারণে এখন পর্যন্ত গাইবান্ধায় কারো জরিমানা হয়নি।
এছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গাইবান্ধায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতোমধ্যে জেলা ও সাত উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠিত হয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র্যাপিড রেসপন্স টিমও গঠিত হয়েছে।
গাইবান্ধা শহর কাঁপিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কাঁকড়া চরম ভোগান্তিতে শহরবাসী
গাইবান্ধা :: অনিয়ন্ত্রিত কাঁকড়ার বেপরোয়া চলাচলে বুক কাঁপছে গাইবান্ধা শহরবাসীর। সকাল থেকেই দিনমান এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত চলে কাঁকড়ার চলাচল্। জমি চাষের জন্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে ট্রাক্টর আমদানি করে থাকে। এই ট্রাক্টর শুধু কৃষি কাজেই ব্যবহার করার কথা। কিন্তু একশ্রেণির ব্যক্তি কৃষি কাজে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়ে ট্রাক্টর কিনে তার সাথে একটি ডালা লাগিয়ে মাল পরিবহনের জন্য অদ্ভুত যান তৈরি করছেন যা গাইবান্ধায় কাঁকড়া নামে পরিচিত।
গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কাঁকড়া নামে অদ্ভুত যান ট্রাক্টর। কিছু দিন আগেও গাইবান্ধা শহরে কাঁকড়া চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এই নিয়ন্ত্রণ অজ্ঞাত কারণে শিথিল হয়ে পড়ায় কাঁকড়ার চলাচল অবাধ ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গাইবান্ধা শহরের ভিএইড রোড, কলেজ রোড়, ব্রীজ রোড ও বালাসি রোডে কাঁকড়ার বেপরোয়া চলাচলে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের চালকরা। বিশেষ করে ভিএইড রোডের খন্দকার মোড় এমনিতেই শহরের ব্যস্ততম এলাকার অন্যতম। এর উপর প্রতিদিন ওই রোডে ৮/১০টি কাঁকড়া চলাচল করার কারণে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগে থাকছে। এছাড়া কাঁকড়ার বিকট শব্দে ওই এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
গাইবান্ধার সাত উপজেলাতেই গ্রামীণ কাঁচা-পাকা ও আঞ্চলিক সড়কে আদিপত্য বিস্তার করেছে ইট, বালু ও মাটিসহ মালবাহী ট্রাক্টর। জমি চাষের এসব ট্রাক্টরে ভাঙছে সড়ক। বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়ছে মানুষ।
মালবাহী ট্রাক্টরের চালকদের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নেই। হঠাৎ চালকের আসনে বসে চালক সাজে। এগুলো চলাচলে কোনো নিয়ম মানে না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।