শনিবার ● ২১ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা বিভাগ » ২লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসী সাদ্দাম-আক্তার বাহিনী’র তান্ডব
২লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসী সাদ্দাম-আক্তার বাহিনী’র তান্ডব
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ২লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের ৩জনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে শ্লীলতাহানি ও নগদ দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসী সাদ্দাম ও আক্তার বাহিনী। আহতরা হচ্ছেন নরপদী গ্রামের আহাদ আলী’র স্ত্রী জাহেদা(৫০)মেয়ে সালমা(২৬) ও ছেলে প্রান্ত(২২)। গতকাল শুক্রবার বিকেলে থানার নরপদী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আহত জায়েদার স্বামী আহাদ আলী মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়,তার শ্যালক সাত্তার মিয়া নরপদীস্থ তার নিজ জমি বালু দিয়ে ভরাট করার সময় গত ১৬ মার্চ ওই এলাকার জিয়াবল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম এবং মৃত কালাচান মিয়ার ছেলে আক্তার তার কাছে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সাত্তার তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা তার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে গত ২০ মার্চ বিকেলে সাদ্দাম,আক্তার সাদ্দামের পিতা জিয়াবুল,ভাই মিশু,চাচা এলার হোসেন,চাচাতো ভাই সিজানসহ ১০/১২জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রামদা,চাপাতি ও তলোয়ারসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। মালামাল রক্ষায় আহাদ আলী,তার স্ত্রী জাহেদা বেগম,পুত্র প্রান্ত,কণ্যা সালমা ও সোনিয়া এগিয়ে এলে সন্ত্রাসী সাদ্দাম ও আক্তার গং তাদেরকে হত্যার চেষ্টায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তাদের ঘরের আলমিরাতে রক্ষিত ৪ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দেড়লাখ টাকা লুটে নেয়। এ সময় আহতরা ডাক চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। পরে উপস্থিত গ্রামবাসী আহতদেরকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। আহতদের ৩জনেরই অবস্থা আশংকাজনক। এদেরকে ২৪/২৫টি করে সেলাই দেয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। সন্ত্রাসী সাদ্দাম-আক্তার বাহিনী ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় আহতের পরিবারে চরম শংকা বিরাজ করছে।
বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালতে নিষিদ্ধ অষুধ ব্যবসায়ী’র অর্থদন্ড
নারায়ণগঞ্জ :: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শরীয়ত উল্লাহ নামে এক অষুধ ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও অতিরিক্ত অষুধ মজুদ এবং ড্রাগ লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় শনিবার দুপুরে তাকে ওই অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। দন্ডিত শরীয়ত উল্লাহ বন্দর থানার নবীগঞ্জস্থ বাগবাড়ী এলাকাা সামসুল হুদা মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। দীর্ঘ দিন ধরে সে নবীগঞ্জ বাজার এলাকায় মাহিন ড্রাগ হাউজ নামে একটি ডিসপেনসারী পরিচালনা করে এ সকল নিষিদ্ধ অষুধ বিক্রি করে আসছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা প্রথম শ্রেণীর বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট শুক্লা সরকার ও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-১১এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বের একটি চৌকশ টীম ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে নিজ বাড়িতেই তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ঘটনাস্থলেই অভিযুক্ত অষুধ ব্যবসায়ী শরীয়ত উল্লাহকে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও অতিরিক্ত অষুধ মজুদ এবং ড্রাগ লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার দায়ে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। এ সময় বন্দর উপজেলা মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান এবং বন্দর থানার এসিষ্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর মাহফুজ রানাও উপস্থিত ছিলেন।
‘‘করোনা’’ রোধে ২২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্পটে কাউন্সিলর সুলতানের বেসিন স্থাপন
নারায়ণগঞ্জ :: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমান বেসিন স্থাপন করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মদ ভূইয়া। জনসাধারণকে হাত ধোয়ার মাধ্যমে ভয়াবহ ভাইরাস ‘‘করোনা’’থেকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যেই তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। শনিবার ভোর বেলা থেকেই কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মদ এসব স্থাপনে ব্যস্ত সময় পার করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাছির,বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস মীর,বন্দর বাজার জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ নাছিরউদ্দিন,সমাজ সেবক সৈয়দ মশিউর রহমান,শিক্ষানুরাগী মোঃ পনির ভূইয়া,দেলোয়ার হোসেন মোঃ ফারুক আক্তার মোঃ আমিন ওয়ার্ডের বন্দর ১নং খেয়াঘাট হতে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,বন্দর বাজার মোড়,জামাইপাড়া ও রাজবাড়ি পর্যন্ত এলাকায় এ সকল বেসিন স্থাপন করা হয়। প্রতিটি বেসিনের পাশাপাশি হ্যান্ড ওয়াশ ও পানি সরবরাহ করা হয়।