সোমবার ● ২৩ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » হোম কোয়েরেন্টাইন না মানায় রাজাপুরে ১ প্রবাসীসহ ৪ ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড
হোম কোয়েরেন্টাইন না মানায় রাজাপুরে ১ প্রবাসীসহ ৪ ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড
গাজী গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির রাজাপুরে ১ প্রবাসীসহ ৪ ব্যবসায়ীকে নগদ ৯৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। স্থানীয়দের কাছ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত এ দন্ড প্রদান করেন।
জানাগেছে, উপজেলা সদরের বাইপাসমোড় এলাকায় অপূর্ব ডিজিটাল স্টুডিও এর প্রোপাইটর ১৯ মার্চ ভারত থেকে দেশে আসেন। তার ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও স্থানীয়দের কাছে ভারত ভ্রমনের তথ্য গোপন করে তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছিল। ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বাজার মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করে বাজার অস্থিতিশীল করার অপরাধে উপজেলার গালুয়ায় আঃ ছত্তার হাওলাদার এর পুত্র মোঃ মনির হোসেন (৪৫)কে ৫০ হাজার টাকা, বাগড়ি বাজার এলাকায় সুখরঞ্জন সাহার পুত্র গৌতম সাহা (৪৭)কে ২০ হাজার টাকা, মোঃ শাহজাহান এর পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪৬)কে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মোঃ সোহাগ হাওলাদার জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১ প্রবাসীতে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম মেনে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে এই মর্মে অঙ্গিকার নামায় স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয়ের অপরাধে ৩ ব্যাসায়ীকে ৮০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করি।
ঝালকাঠিতে পথচারী মাস্ক বিতরণ করলেন ব্যবসায়ী শামিম আহমেদ
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠি শহরের সদর চৌমাথায় পথচারীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাস্ক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল। শাহী কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শামীম আহেমদ’র অর্থায়নে ও আয়োজন এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল হোসেন মিঠু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি সুমন তালুকদার, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মানিক আচার্য প্রমুখ। এসময় পথচারী, অটো চালক, রিক্সা চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ২হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়। আয়োজক শামীম আহমেদ জানান, মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে ঝালকাঠিবাসী ও শিক্ষার্থীদের মুক্ত রাখতে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। রোববার বিকেলে ২হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো ১০হাজার মাস্ক প্রদান করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে শিক্ষার্থীদেরকেও মাস্ক প্রদান করা হবে। এছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন তৈরী করে জনসাধারনের বিতরণ করা হচ্ছে। কারণ বাজারজাত হ্যান্ড স্যানিটাইজার উধাও হওয়ায় বিকল্প হিসেবে ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যক্তিদের মাধ্যমে এ উপাদান তৈরী করা হচ্ছে।
ঝালকাঠি জেলা ধান-চাল ক্রয়ে খাদ্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠি জেলা ধান-চাল ক্রয়ে খাদ্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি এসব পণ্য ক্রয়ের কথা থাকলেও তা নামে মাত্র ক্রয় করেছে। ঝালকাঠি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) গাজী মাজাহারুল আনোয়ারের একটি আস্থাভাজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে, বিভিন্ন প্রকল্পের ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) সমন্বয় করে এসব পণ্য ক্রয় করা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এ সকল র্দূনীতির খবর ছড়িয়ে পরলে সোমবার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসনের এসিল্যান্ড,এনডিসি খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়েছে। উক্ত অভিযানে সরকারি বরাদ্দের ১৫শ ৪২টন ধান ক্রয়ের কথা কাগজ কলমে দেখালেও বাস্তবে পুকুর চুরির অভিযোগ রয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তারা সরেজমিনে গননা করে ৩৪০ টন উধাও।
এব্যাপারে ঝালকাঠি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) গাজী মাজাহারুল আনোয়ার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন বাহানাকরে বলেন,আমি একহাজার ৪০টন জেলার বিভিন্ন মিলে পাঠিয়েছি চাউল বানিয়ে তারা দিয়ে যাবে। এর উত্তরে তারকাছে জানতে চাওয়া হয় কোথা কোথায় রাইচমিল আছে বলেন,সে কোন সদউত্তর দিতে পারেনি।
গুদামের কর্মরত কয়েকজন কর্মচারি নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন,আসলে কোন রাইচমিলে ধান পাঠানো হয়নি। সে কৃষকদের কাজথেকে ধান ক্রয়করার কথা থাকলেও নামে মাত্র কিছু ধান ক্রয় করেছে। এসকল কৃষদেরও দালাল আছে,ঐসকল দালালদের মাধ্যমে একাউন্ট করে পাঠানো হয়েছে। তারা আরো বলেন,সকাল বেলা কিছু সাংবাদিকরা আসলে তাদেরকে ম্যানেজ করেছে আমাদের সারে।
এ ছাড়াও ওই গুদাম কর্মকর্তার ৭টি পরিত্যক্ত রাইস মিলের সঙ্গে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ধান ছাঁটাইয়ের চুক্তি করা আছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মিল মালিকরা চুক্তির ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানা গেছে। এমন লাগামহীন দুর্নীতির কারণে সরকারের ক্রয় অভিযান ভেস্তে যেতে বসেছে।