মঙ্গলবার ● ২৪ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » তৈরী হয়েছে মরন ফাঁদ খাদে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
তৈরী হয়েছে মরন ফাঁদ খাদে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়নকান্দী গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবৈধ ভাবে উত্তোলন। বালুর গর্তে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে । মৃত ব্যক্তি একই গ্রামের বেলেপাড়ার মৃত গফুর মন্ডলের পুত্র আনসার মন্ডল (৮৫) । একালাবাসি ও মৃতের স্বজনেরা জানান সকাল ১১টায় প্রকৃতির ডাকে সড়াদিয়ে আনসার মন্ডল বাড়ীর কাছাকাছি আক্তার মেম্বরের বালুর গর্তের ধারে যায়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও সে ফিরে না আসায় লোকজন খোজ নিলে বালির গর্তের পানিতে মৃত অবস্থায় তাকে পায়। বালির গর্তের পাড় ধ্বসে গর্তের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মৃত্যের স্বজন ও স্থানিয়রা ধারণা করছে । ইতিপূর্ব বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ সহ অভিযোগ পাওয়ার পর এই অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ব্যবস্থা নিলে অল্পকিছুদিন বালু উত্তোলনকারীরা থেমেছিল , কিন্তু অদৃশ্য কারণে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে আবার শুরু হয় উৎসবমূখর পরিবেশে বালু উত্তোলন । যার ফলশ্রুতিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটলো। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন আমরা এখন করোনা নিয়ে ব্যস্ত। বালু উত্তোলন বন্ধে কয়েক বার ভাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছি স্পটে কারও পাওয়া যায়না। ব্যবস্থা নেওয়ার পর উত্তোলন বন্ধছিল। আক্তার এবং লাল এ কাজে জড়িত বলেও তিনি জানান। কেউ মামলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া সুবিধা হয়। আমরা অভিযান আব্যাহত রাখবো। এ ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে বলেন এ বিষয়ে নারায়নকান্দী ফাঁড়ীর আইসির মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি , মৃতের আতœীয় স্বজনরা অভিযোগদিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । এলাকাবাসীদের ধারনা যেভাবে কয়েকবছর ধরে এই বালি উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে নারায়নকান্দী গ্রামের শতশত একর জমি পানির নিচে বিলিয়ন হয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে গোটা গ্রাম অতলগহ্বরে নিমজ্জিত হতে পারে , এলাকাবাসী এই নিশ্চিত ধ্বংস ও অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ সহ হরিণাকু-ু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানার আসু হস্তক্ষেপ কামোনা করেছে ।
শৈলকুপা নসিমন নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ২ জন নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে নসিমন নিয়ন্ত্রন হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ২ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার তেলপাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাতিয়া আব্দালপুর গ্রামের হাসমত আলী ও ঝাউদিয়া গ্রামের মিনা হোসেন। শৈলকুপা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, কাঁচামাল ব্যবসায়ী ওই দুই জন দুপুরে আব্দালপুর থেকে সবজি নিয়ে ঝিনাইদহে আসছিল। পথে ঘটনস্থলে পৌঁছালে নসিমনের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত হয়। খবর পেয়ে শৈলকুপা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ঝিনাইদহে করোনার লক্ষন থাকায় যুবক আইসোলেশনে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্তের লক্ষন থাকায় এক যুবককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের শিশু হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিভাগের তৈরী করা আইসোলেশনে রাখা হয়। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, গত ১৪ মার্চ শৈলকুপার ওই যুবক ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছে। কয়েকদিন আগে থেকে সে ঠান্ডা কাশিতে ভুগছিল। সোমবার প্রচন্ড জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। করোনার আক্রান্তের আরও কয়েকটি লক্ষন থাকায় পরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু হাসপাতাল আইসোলেশনে পাঠানো হয়। ঢাকা থেকে আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষের নিদের্শনা মোতাবেক তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কালীগঞ্জে চার ব্যবসায়ীকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার থানা রোডের চার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের থানা রোডে ধান ব্যবসায়ী শাহিন ট্রেডার্সে ধানের ক্রয়মূল্য তালিকা না থাকায় ৫ হাজার টাকা, নিষিদ্ধ প্রসাধনী বিক্রি করায় মালতী স্টোরের মালিক নন্দ দুলালকে ২০ হাজার টাকা ও সুজল স্টোরের সুজল সাহাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ধানের ব্যবসায়ীকে জরিমানা প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভূপালী সরকার ও দুই কসমেটিক্স ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন ঝিনাইদহ ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মল্লিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এছাড়াও কাঁচা বাজারে মূল্যতালিকা না থাকায় আলু ব্যবসায়ী লিটু মিয়াকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা। সহকারী কমিশনার ভূপালী সরকার জানান, ধানের ক্রয় মূল্য তালিকা না থাকায় থানা রোডের শাহিন ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মল্লিক জানান, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ করা প্রসাধনী ও কুষ্টিয়ার ঐতুবৃ ক্রীমের নকল পণ্য বিক্রি করায় মালতী স্টোর ও সুজল স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিআরটিএ ঝিনাইদহ সার্কেল অফিস চত্বর স্প্রে ব্যাবহার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিআরটিএ ঝিনাইদহ সার্কেল অফিস চত্বর পরিস্কার রাখতে প্রতিনিয়ত হ্যান্ড ওয়াশ, হাত ধোয়া সাবান ও স্প্রে ব্যাবহার শুরু হয়েছে। বিআরটিএ ঝিনাইদহ সার্কেলের সহকারী পরিচালক এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিআরটিএ অফিসে আগত সব শ্রেনীর মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরন ও মাস্ক ব্যাবহারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিএ ঝিনাইদহ সার্কেল এর পরিদর্শক এফ এইচ এম মঈদুর রহমানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কালীগঞ্জের ৩শ জন চাষী বিকল্প পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ শুরু
ঝিনাইদহ :: ধান উৎপাদন করে কৃষকরা ন্যায্য মূল পাচ্ছেন না। ফলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ৩শ জন চাষী বিকল্প পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ শুরু করেছেন। তারা স্থানীয় এনজিও সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় “পানি সাশ্রয়ী কার্যকরী কৃষি অনুশীলন প্রকল্প এর আওতায় ধান রোপন করা জমির এক কোনায় মিনি পুকুর খনন করছেন। সেই পুকুরে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সেখানে করছেন মাছ চাষ। পাশাপাশি পুকুরের পানি সেচ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া পুকুরের চারি পাশে রোপন করছেন লাউ, বেগুন, পেঁপে, কচু, কলা, সীম, টমেটোসহ নানা প্রজাতির শাকসবজী। পুকুরের মাছ ও শাক সবজি বিক্রি করে তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। পাশাপাশি জমিতে উৎপাদন হচ্ছে ধান। ধানের লোকসান পুষিয়ে উঠতে কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ও সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ২টি ইউনিয়নের ২০ টি গ্রামের ৩শ জন চাষী বিকল্প এ পদ্ধতিতে চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদ শুরু করেছেন। সুন্দরপুর গ্রামের কৃষক চান্দু বিশ্বাস জানান, ৪৬ শতকের এক বিঘা জমিতে চাষ দেওয়া বাবদ ৩৪শ টাকা, বীজ ও বীজতলা খরচ বাবদ ৮৫০, সেচ বাবদ ২০০০ হাজার টাকা, সার, কীটনাশক, আগাছ পরিস্কার, ধানকাটা, পরিবহন, ধানঝাড়া, শ্রমিক খরচ দিয়ে মোট খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। অবশ্য আমনে সেচ খরচ কম অর্থাৎ ১ হাজার টাকা লাগে। এক বিঘা জমিতে ধান পাওয়া যায় ৩৩ মণ। যার বাজার মূল্য ৭০০ টাকা করে পাওয়া যায় ২৩ হাজার ১০০ টাকা। উৎপাদন খবর বাদে ধান থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৩১০০ টাকা। অনেক সময় এর কমবেশি হয়ে থাকে। তাহলে ধান চাষ করে কৃষকের আর কয় টাকাই থাকে? এমনটি জানান তিনি। তাই তিনি সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পানি সাশ্রয়ী কার্যকরী কৃষি অনুশীলন প্রকল্পের আওতায় জমির এক কোনায় ১ শতকের একটি মিনি পুকুর খনন করেছেন। ওই পুকুরে তিনি বৃষ্টির পানি ধরে রেখেছিলেন। সেই পানি দিয়ে জমিতে সেচ দিয়েছেন। তাতে তার সেচ খরচ ২ হাজার টাকা বেঁচে গেছে। এ ছাড়া ওই পুকুরে তিনি মাছ চাষ করেছেন। পুকুরের চারিপাশে লাগিয়েছেন, কলা, বেগুন, পেঁপে,সীম, টমেটোসহ নানা প্রজাতির শাকসবজী। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে তিনি বাজারে ২ হাজার টাকার মত শাকসবজী ও ৩ হাজার টাকার মত মাছ বিক্রি করেছেন। এতে তার ৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে। আবার সেচ খরচ বেঁচে গেছে ২ হাজার টাকা। চান্দু বিশ্বাসের মত মহাদেবপুর গ্রামের নাছিম মন্ডল, বেজপাড়া গ্রামের সুফল ঘোষ, সুন্দরপুর গ্রামের বজলুর রহমান, আশাদুল ইসলাম, আবদুস সাত্তারসহ দুই ইউনিয়নের ৩শ কৃষক এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছেন। সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী তোফায়েল আহমেদ বলেন, তারা সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর, দুর্গাপুর, পূর্ব মহাদেবপুর, পশ্চিম মহাদেবপুর, আলাইপুর, কমলাপুর, ইছাপুর, পাইকপাড়া, ভাটপাড়া ও বেজপাড়া, এ ছাড়া নিয়ামতপুর ইউনিয়নের কুড়-লিয়া, বারোপাখিয়া, নরেন্দ্রপুর, নিয়ামতপুর, মহিষাডেরা, দাপনা, মোস্তফাবুর, মহেশ্বরচাঁন্দা, হরিগোবিন্দপুর ও আড়-য়াশলুয়া গ্রামে তাদের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছেন। তিনি আরো জানান, ২টি ইউনিয়নের ২০ টি গ্রামের ৩শ জন চাষীকে ভুগর্ভস্থ পানির উত্তোলন কমিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা, রোরোর পরিবর্তে রবি শস্য লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা এবং ভেজা-শুকনা পদ্ধতিতে চাষাদের আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, কৃষকের ৩৩ শতকের বা ৪৬ শতকের এক বিঘা জমির এক কোণে এক দেড় শততে পুকুর কাটা হচ্ছে। এতে তার ফসলের খুব বেশি ক্ষতি হচ্ছে না। বরং ওই পুকুরের পানি তিনি সেচ হিসেবে ব্যবহার করতে পারছেন। এতে তার ২ হাজার টাকার সেচ খরচ কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি মাছ চাষ ও পুকুর পাড়ে শাক-সবজী উৎপাদন করে তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে ওই কৃষক লাভবান হচ্ছেন। মহাদেবপুর গ্রামের কৃষক নাসির মন্ডল জানান, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন তাদের জমির এক কোনায় ১শতকের একটি পুকুর কেটে দিয়েছিল। আর তিনি নিজ উদ্যোগে আরো ২ শতক জমির উপর পুকুর কেটেছেন। তার মোট পুকুরের বর্তমান আয়তন তিন শতক। তিনি আরো জানান, এক দাগে ৯৯ শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন। জমির পরিমান বেশি হওয়ায় তার সেচ বেশি লাগবে। যার কারণে তিনি ৩ শতক জমির উপর পুকুর খনন করেন। বর্ষার সময় ওই পুকুরে পানি সংরক্ষণ করে করে তিনি বর্তমানে জমিতে সেচ দিয়েছেন। এতে তার প্রায় ৫ হাজার টাকার সেচ খরচ বেঁচে গেছে। তিনি আরো জানান, সংস্থাটি তাদের বীজ সংরক্ষণের জন্য ড্রাম ও প্রশিক্ষন দিয়েছেন। যার কারণে তাদের ধানের বীজও কিনতে হয়নি। এতে তারা উপকৃতই হচ্ছেন। এসব খবর কমে যাওয়ায় উৎপাদিত ধান থেকে তিনি লাভবান হবেন। সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাস জানান, জাপান ফান্ড ফর গ্লোবাল এনভাইরমেন্ট (জেএফজিই) আর্থিক সহযোগিতায় ২০১৯ সাল থেকে শেয়ার দ্য প্যানেট অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় কালীগঞ্জের ২০ গ্রামে পানি সাশ্রয়ী কার্যকরী কৃষি অনুশীলন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। তারা নিয়ামতপুর ও সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ২টি ইউনিয়নের ১০০ জন চাষীকে ১০০ টি পুকুর কেটে দিয়েছেন। ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি পুকুর খনন করা হয়েছে। পুকুরে পানি কিভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, কিভাবে ক্ষেতে দিতে হবে, পুকুর পাড়ে কিভাবে সবজী উৎপাদন করতে হবে এসব বিষয়ে তাদের ওরিয়েন্টেশন দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বীজ সংরক্ষণের জন্য তাদের ড্রাম প্রদান ও প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। কৃষকদের লাভজনক সফল উৎপাদনে রোরোর পরিবর্তে রবি শস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহিদুল করিম বলেন, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় যেভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে তাতে কৃষকরাই লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়া ভুগর্ভস্থ পানির চাপও কম হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তারা সেচ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। পুকুরে মাছ চাষ ও পুকুর পাড়ে শাক-সবজি উৎপাদন করতে পারবেন। এটা একটি ভাল দিক। তবে ওই পানি দিয়ে শতভাগ সেচ দেওয়া সম্ভব হবে না বলে তিনি মনে করেন। শুস্ক মৌসুমে কিছুটা সেচ অন্য ভাবে দিতে হবে। কৃষি বিভাগও বিভিন্ন সভা সেমিনারে কৃষকদের এভাবে চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করছেন বলেও তিনি জানান।