মঙ্গলবার ● ২৪ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় ২৪ ঘন্টায় ৮৮ জনসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে ২২৬
গাইবান্ধায় ২৪ ঘন্টায় ৮৮ জনসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে ২২৬
আইইডিসিআর ৪ সদস্যের টিম নমুনা সংগ্রহ করেছে ৮৯ জনের : গাইবান্ধা :: করোনা সনাক্ত আমেরিকা প্রবাসী মা-ছেলের সংস্পর্শে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর’র প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার সকালে রোগ তত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) চার সদস্যর প্রতিনিধি দলটি সাদুল্যাপুর উপজেলার হবিবল্লাপুর প্রামে গিয়ে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে। এছাড়া সদর, সাদুল্যাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রতিনিধি দলটি।
সোমবার বিকেলে আইইডিসিআর’র চার সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ঢাকা থেকে গাইবান্ধা পৌঁছান। পরে সন্ধ্যার দিকে শহর এলাকায় বাসা-বাড়ির কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের রক্ত, কফসহ ৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদেশ ফেরত ২২৬ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ২০২ জনই বিদেশী। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৩৪ জনের। তারা যাতে নিয়মের বাইরে না চলে সেজন্য তাদের উপর কড়া নজরদাড়ি রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে আইইডিসিআর এর ৪ সদস্যের একটি টিম গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কোয়ারেন্টাইন রাখা বাড়ির সদস্যদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। আইইডিসিআর ৮৯ এছাড়াও তারা গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা সন্দেহভাজন কিছু ব্যক্তির পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কথা রয়েছে। ং
জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসন সহ সরকারি ও বে-সরকারি উদ্যোগে গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিনামুল্যে মাস্ক ও জন সচেতনতা মূলক প্রচার পত্র শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান, বানিজ্যি কেন্দ্র, হাট বাজার সহ বাসা বাড়িতে প্রবেশ দ্বারে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গাইবান্ধায় যুবকের লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে একটি ইটভাটার পার্শ্বে থেকে মঙ্গলবার সকালে পলাশ দাস (২৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিড়াডাঙ্গা শেরপুর জেলেপাড়া গ্রামের সুনীল দাসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পলাশ দাস গত সোমবার বিকেলে পাওয়ার টিলার নিয়ে ভাড়া খাটতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং তার মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একই গ্রামের একটি ইটভাটার কাছে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে ধারণা করা হচ্ছে কে বা কারা তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।