বৃহস্পতিবার ● ২৬ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » করোনা ভাইরাসের কারণে জনশূন্য গাইবান্ধা
করোনা ভাইরাসের কারণে জনশূন্য গাইবান্ধা
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: করোনা ভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দোকানপাট ও সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে বন্ধ থাকার নির্দেশনা কার্যকরী হওয়ায় গাইবান্ধা জেলা উপজেলা সদর, গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও বন্দরগুলো জনশূন্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দোকান খোলা রাখলে বা মুখে মাস্ক না লাগিয়ে রাস্তায় চলাচল করলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর এ্যাকশন শুরু হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হওয়ায় কেউ আর ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলা শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলো একেবারেই ছিল জনশূন্য। মাঝে মাঝে দু’একটি অটোরিক্সা, অটোবাইক ও বাইসাইকেল নজরে পড়লেও সবাই মাস্ক লাগিয়ে চলাচল করছে। শহরে অটোরিক্সা ও অটোবাইকের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় বাহির থেকে আসা লোকজন পরিবার-পরিজনকে হেঁটেই চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া ঔষুধসহ প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে গিয়েও যানবাহন সংকটে লোকজনরা দুর্ভোগে পড়েছে।
খাবার ও চায়ের দোকান, ঔষুধের দোকান, বাজারে চাল-ডাল, মাছসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানপাট খোলা রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনা থাকলেও ভয়ে খাবার হোটেল, রুটির দোকান ও চায়ের দোকানগুলো বন্ধ রেখেছে।
গাইবান্ধায় গণ হত্যা দিবস স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
গাইবান্ধা :: করোনা ভাইরাসের কারণে গাইবান্ধায় সংক্ষিপ্ত কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে ছিল রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত গোটা জেলায় ব্লাক আউট। এছাড়া আলোর মিছিল, আলোচনা সভা ও গণ সংগীতের কর্মসূচী বাতিল করা হয়।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ সহ সকল অনুষ্ঠান বাতিল করে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। এরমধ্যে ছিল প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের শুভ সূচনা, সূর্যোদয়ের পর সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৮টায় সার্কিট হাউজ চত্বরে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে শুধু রেকর্ডকৃত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর কবির, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের গাইবান্ধা জেলা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার গৌতম চন্দ্র মোদক, ডেপুটি কমান্ডার মো. ওয়াশিকার ইকবাল মাজু, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেরাজত ডেপুটি কালেক্টর এস এম ফয়েজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।