শুক্রবার ● ২৭ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় সেনা টহল, জনশূন্য রাস্তাঘাট
গাইবান্ধায় সেনা টহল, জনশূন্য রাস্তাঘাট
সাইফল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার রাস্তাঘাট অনেকটাই জনশূন্য। বাস টার্মিনাল-নদী বন্দর, এমনকি জেলা শহরের ভেতরে সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ওষুধ এবং মুদী দোকান ছাড়াও বন্ধ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। করোনা এড়াতে মানুষকে নিজ নিজ ঘরে রাখতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। বিভিন্ন স্থানে চেক পোস্ট স্থাপন করে জনসমাগম রোধে কাজ করছে পুলিশ ও র্যাব। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দোকানপাট ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে গাইবান্ধা।
বিশেষ করে দোকান খোলা রাখলে বা মুখে মাস্ক না লাগিয়ে রাস্তায় চলাচল করলে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হওয়ায় কেউ আর ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাইবান্ধা জেলা শহর সহ সর্বত্র জোরদার টহল শুরু করে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ প্রশাসন। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর তিনটা পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলা শহরের ব্যস্ততম সড়কগুলো একেবারেই ছিল জনশূন্য। তাদের কঠোর অবস্থানের কারণে গাইবান্ধার রাস্তাঘাট অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তায় হাতেগোনা কিছু রিকশা এবং ব্যক্তিগত যান ও মোটরসাইকেল ছাড়া কিছুই চলছে না। ওষুধ এবং মুদী দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, হোটেল রেস্তোরা এমনকি চায়ের দোকানও। অনেকটা ভূতুরে পরিবেশ চারিদিকে।
অপরদিকে মাইক দিয়ে প্রচারাভিযান অব্যাহত থাকলেও কোনভাবেই কমানো যাচ্ছেনা গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে লোক সমাগম। সাম্প্রতিক সময়ে লোক সমাগমের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছে না কেই। ফলে গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে সারাক্ষণ লোক সমাগম লেগেই থাকছে।
করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে যেখানে সরকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছেন, সেখানে গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে অবাধে চলছে জনসমাগম। বিষয়গুলো দেখভালের কেউ না থাকায় এটি আরও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এলাকার মানুষ রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। তাই গ্রামাঞ্চলে প্রশাসনের নজরদারি খুবই জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।
করোনার হাত থেকে নিজেকে এবং অপরকে নিরাপদ রাখতে সরকারি নির্দেশ মেনে সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের জন্য অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন।