বুধবার ● ১ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » পটুয়াখালীতে করোনার কারনে হুমকির মুখে তরমুজ চাষীরা
পটুয়াখালীতে করোনার কারনে হুমকির মুখে তরমুজ চাষীরা
হাসান আলী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে করোনার কারনে হুমকির মুখে পরছে তরমুজ চাষিরা।
এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ জানান , এ বৎসর অনাবৃষ্টি,শিলাবৃষ্টি মতো কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয়নি এবং তরমুজ চাষের সম্পূর্ণ অনুকূল পরিবেশ থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলনে সক্ষম হয়েছে।এবার গলাচিপা উপজেলায় ৬ হাজার ও রাঙ্গাবালী উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপরেও দুই উপজেলায় এবার সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। সরেজমিন দেখাযায় গোটা উপজেলার মধ্যে চর হড়িদেবপুর সহ গোলখালী, কলাগাছিয়া, চিকনিকান্দি, পানপট্টি, রতনদি-তালতলী, গজালিয়া, চরবিশ্বাস ও চরকাজল ইউনিয়ন গুলতে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা।
স্থানীয় চাষী রফিক মৃধা বলেন তিনি ১৫ একর জমিতে ৫ লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে ১০ লাখ টাকা খরচ করে ৬ জন লোক দিন রাত পরিশ্রমের ফলে ভাল ফসল উৎপাদন হলেও করোনা ভাইরাসের কারনে পরিবহন ব্যাবস্থা সহ ক্রেতা না থাকায় রাতের ঘুম হারাম হয়েছে।সরকার যদি আমাদের দিকে না তাকায় তাহলে আমাদে ভিটেমাটি বিক্রি করে পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।
তরমুজ চাষীরা জানান বর্তমান মৌসুমে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে একর প্রতি ৬৫ হাজার টাকা এবং বর্তমান মূল্য উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে একর প্রতি ৩০ হাজার টাকা লাভ হবার কথা। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংকটে হুমকির মুখে তরমুজ চাষিরা।
কৃষকরা আরও জানান, করোনা সংকটে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপর্যয় নেমে এসেছে তরমুজ ব্যবসায়। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই পথে বসবে তরমুজ চাষিরা এবং ক্ষতিগ্রস্থ হবে হাজারো কৃষক