বৃহস্পতিবার ● ২ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় » করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবী করেছে দেশের ৮৫ বিশিষ্টজন
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবী করেছে দেশের ৮৫ বিশিষ্টজন
ঢাকা :: ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটির পক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্যর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবী করেছে দেশের ৮৫ বিশিষ্টজন।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৮ মার্চ সরকারি দফতর আইইডিসিআর ঘোষণা দিয়ে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করেছে।
আইইডিসিআর এখন পযর্ন্ত জনগণকে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য অবহিত করে আসছে। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, আইইডিসিআর প্রদত্ত তথ্যাদি নিয়ে মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন ও সন্দেহ জাগতে শুরু করেছে। তার কারণ দফতরটির ব্রিফিংয়ে দেয়া তথ্যর সাথে মানুষের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার অমিল; এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে ব্রিফিংয়ে প্রদত্ত তথ্যও পার্থক্য চোখে পড়ার মতো উদ্বেগজনক। উপরন্তু, ব্রিফ্রিংটিতে তথ্য যাচাই ও ব্যাখ্যা চাইবার কোনো সুযোগ নেই; যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে ক্ষুন্ন করে বলে আমরা মনে করি।
আমাদের দেশে দুর্যোগে মানুষের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সরকারি এবং সরকার বহির্ভূত মহলের হিসাবের মধ্যে ব্যাপক গড়মিল পাওয়া যায়। বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময়ও আমরা এমন সম্ভাব্য গড়মিল, ব্যাখ্যার ভিন্নতা এবং রোগের উপসর্গকে মৃত্যুর কারণ হিসাবে উপস্থাপন করার প্রবণতা লক্ষ করছি। এমনকি একাধিক ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোতে রুগীকে ফিরিয়ে দেবার গুরুতর ঘটনায় আমরা উদ্বিগড়ব ও নিরাপত্তাহীন বোধ করছি।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আশঙ্কা করোনা ভাইরাস থেকে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর যে হিসাব দেওয়া হচ্ছে, প্রকৃত হিসাব তার থেকে অধিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে । বিদেশ প্রত্যাগত মানুষজনসহ বিপুলসংখ্যক মানুষের গণস্থানান্তর, সঙ্গ নিরোধব্যবস্থা বাস্তবায়নে শিথিলতা, এবং নমুনা পরীক্ষার অপ্রতুলতার কারণে সংক্রমণের একই সাথে আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানে দুর্বলতায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়ছে। আক্রান্ত ও মৃতের বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি হিসাবে ব্যাপক পার্থক্য জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নমুনা পরীক্ষা এবং মূল্যবান চিকিৎসা প্রদানকেও উপেক্ষা করার পরিবেশ তৈরি করবে বলে আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তাই কালবিলম্ব না করে সকল মৃত্যুর কারণ ও প্রকৃত সংখ্যা স্বচ্ছভাবে জনগণের নিকট প্রকাশ করার দাবি করছি আমরা।
বিবৃতিদাতারা হলেন : রাজনীতিবিদ ও লেখক বদরুদ্দীন উমর, সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ড. আকমল হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম, শিক্ষক বিশ্ব বিদ্যালয়, ড. আনু মুহাম্মদ, মানবাধিকার কর্মী শিরীন প. হক, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, আইনজীবী, সুপ্রীম কোর্ট সারা হোসেন, নারী অধিকার আন্দোলন কর্মী ফরিদা আক্তার, সভাপতি, বাঙলাদেশ লেখক শিবির হাসিবুর রহমান, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবায়েত ফেরদৌস, জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ ডা. হারুনুর রশীদ, মায়ের ডাক আফরোজা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য, সিপিবি রতন,শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় ড. ফাহমিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সাদিয়া আরমান, আইনজীবী সুপ্রীম কোর্ট রুশাদ ফরিদী, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তানজীমউদ্দিন খান, গবেষক ও সাংবাদিক সাইদিয়া গুলরুখ, শ্রমজীবী নারী কেন্দ্র বহ্নিশিখা জামালী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএলএম) ডাঃ আব্দুল হাকিম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী নিরূপা চাকমা, গণসংহতি আন্দোলন বাচ্চু ভুঁইয়া, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র তসলিমা আখতার গবেষক আইনজীবী মাহা মির্জা , গবেষক, ক্লার্ক ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান, শিক্ষক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সেউতি সবুর, শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আ-আল মামুন, শিক্ষক, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি পারভীন হাসান, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় নাসরিন খন্দকার, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সৌভিক রেজা, সাংবাদিক গোলাম মোতোর্জা, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন স্বপন আদনান সোয়াস, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় মির্জা তাসলিমা, শ্রমিক সংগঠক ও আলোকচিত্রী তাসলিমা আক্তার, শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় সাঈদ ফেরদৌস, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাদাফ নূর নারী আন্দোলন সংগঠক তাহেরা বেগম জলি, লেখক, গবেষক নূর মোহাম্মদ, কবি ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী, হাসান ফকরী, সামাজিক আন্দোলন কর্মী, ইফতেখার আহমেদ বাবু,চলচিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ কাইউম, মানবাধিকার কর্মী নাসিরউদ্দীন এলান, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মাইদুল ইসলাম, শিক্ষক ইসহাক সরকার, লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল কালামরঘু,, সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী অভিজিৎ রায়, আইনজীবী ভুলন ভৌমিক, আইনজীবী আহসানুজ্জামান ফাহিম, বাঙলাদেশ লেখক শিবির অধ্যাপক কাজী ইকবাল, আইনজীবী মোশাররফ হোসেন, গণসংস্কৃতি পরিষদ ম. নূরুন্নবী শিক্ষক, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মাহবুব হোসেন কাইউম হোসেন, সাংস্কৃতিক কর্মী, মুক্তির মঞ্চ মুঈনুদ্দীন আহ্মদ ভাসানী ফাউন্ডেশন আব্দুল গাফফার খান চিকিৎসক ডাঃ বরকত উল্লাহ, খেতমজুর ইউনিয়ন আকবর খান বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) আমীর আব্বাস, বাংলাদেশ কৃষক ও গ্রামীণ মজুর ফেডারেশন, মজিবর রহমান, বিপ্লবী কৃষক সংহতি আনসার আলী দুলাল, শ্রমজীবী ফ্রন্ট প্রমোদ জ্যোতি চাকমা বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন মাসুদ রেজা গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোট, সজীব রায় বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি আবু হাসান টিুপ, সংহতি সংস্কৃতি সংসদ এপোলো জামালী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ফয়জুল হাকিম, জয়ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশন হেমন্ত দাস, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সুস্মিতা রায় সুপ্তি,, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম বরুন চাকমা, ছাত্র অধিকার পরিষদ মোহম্মাদ বিন ইয়ামিন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন পারভেজ লেলিন, বিপ্লবী ছাত্র সংহতি জোনায়েদ হোসেন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সুনয়ন চাকমা, গবেষক রোজিনা বেগম ও লেখক-অনুবাদক ওমর তারেক চৌধুরী।