শুক্রবার ● ৩ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নিজ উদ্যোগে গরিবদের পাশে দাঁড়ালেন পিলিপ ত্রিপুরা
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নিজ উদ্যোগে গরিবদের পাশে দাঁড়ালেন পিলিপ ত্রিপুরা
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নিজস্ব উদ্যোগে গরিবদের পাশে আত্মমানবতার সেবায় এগিয়ে এলেন জেলা পরিষদের সদস্য ও এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবানের সভাপতি পিলিপ ত্রিপুরা। শুক্রবার ৩ এপ্রিল বেলা ১২ টার দিকে বান্দরবান শহরের কালাঘাটা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও এপেক্স ক্লাব অব বান্দরবানের সভাপতি পিলিপ ত্রিপুরা নিজ উদ্যোগে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রেখে স্থানীয় গরীব দুঃখী মানুষদের এসব খাদ্য সামগ্রী হাতে তুলে দেন।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রবীণ মুরুব্বী সত্যহা পাঞ্জি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের নেতা কামাল পাশা, জেলা কৃষকলীগ নেতা গাব্রিয়েল ত্রিপুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সন্দেহজনক করোনাভাইরাস রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করতে বান্দরবানে ল্যাব ও নমুনা পরীক্ষার কিট না থাকায় সন্দেহজনক রোগীদের পার্শ^বর্তী কক্সবাজার জেলায় নিয়ে যাওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা বলেন, বান্দরবান সদর হাসপাতলে নমুনা পরীক্ষার কিট নেই। তবে এখনো পর্যন্ত বান্দরবান জেলায় কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ। বান্দরবান সদর হাসপাতালে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের করোনাভাইরাস এর নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব ও কিট না থাকায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গাড়ি ব্যবস্থা করে পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
বান্দরবানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবেভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা দুইদিনব্যাপী বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের দুর্গম আলীকদম উপজেলার পাইনছড়ার আগা, বুচি খাল, ছোট বেতি, বড় বেতি নামক স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং অভিযানে দেড় লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়। দুর্গম এলাকা হওয়ায় একটি পাথর কাটার মেশিন নষ্ট করা হয় এবং একটি মেশিনসহ পাথর ভাঙার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করে আলীকদম থানার হেফাজতে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ে সিনিয়র কেমিস্ট এ,কে,এম, ছামিউল আলম কুরসি। এসময় জুনিয়র কেমিস্ট আবদুছ ছালাম, আলীকদমের ফরেস্টার মিনার চৌধুরীসহ লামা বন বিভাগ ও আলীকদম থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ে জুনিয়র কেমিস্ট আবদুছ ছালাম বলেন, অভিযানের পর মামলা করার প্রস্তুতি চলছে, শীঘ্রই আমরা পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করবো।
সিনিয়র কেমিস্ট এ,কে,এম, ছামিউল আলম কুরসী বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক ঝিড়ি মরে যাচ্ছে। ফলে পাহাড়ে পানির উৎস কমে যাচ্ছে। অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী এবং এদের সাথে জড়িত সবার বিরুদ্ধেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি আরো বলেন, বান্দরবানের বিভিন্ন ঝিড়ি-ঝর্না থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।