শুক্রবার ● ৩ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সুদখোরদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
সুদখোরদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: সুদখোরদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইতাহার আলী (৩৫) নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দহকুলা গ্রামে। গাড়াগঞ্জ বাজারের মিয়া ফার্মেসির মালিক ইতাহার আলী দহকুলা গ্রামের জহুরুল হক পায়রা মিয়ার ছেলে। পারিবারিক সুত্রে বলা হয়েছে, এসএমসির ডিলারশীপ নেওয়ার জন্য এক ব্যক্তির কাছে ২৫ লাখ টাকা দেয় ইতাহার। এই টাকা তিনি এলাকার বিভিন্ন সুদখোরদের কাছ থেকে নেয়। এদিকে ডিলারশীপ না দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় এসএমসিতে চাকরীরত ওই ব্যক্তি। হতাশ হয়ে পড়ে ইতাহার। এদিকে সুদ এবং আসল টাকার জন্য ইতাহার আলীর উপর চাপ দিতে থাকে এলাকার প্রভাবশালী সুদখোররা। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়। ইতাহার আলী যে টাকা সুদখোরদের কাছ থেকে নিয়েছিল তার চেয়ে বেশি তার কাছ থেকে আদায় করে বলে অভিযোগ। তারপরও টাকা শোধ হচ্ছিল না। সুদের টাকার চাপে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ইহাতার। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুঃশ্চিন্তায় বিষ পান করে ইতাহার। তাকে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভার্তি করা হলে মৃত্যুবরণ করেন। ইতাহার আলীর চাচা ঝিনাইদহের বিশিষ্ট আইনজীবী সাদ্দাতুর হাদী জানান, তার ভাতিজা এলাকার বহু সুদখোরের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। তাদের অত্যাচারে মুলত সে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমানের কাছে জানতে বৃহস্পতিবার তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রসিভি করেন নি।
ঝিনাইদহে নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে সাবান, মাস্ক ও সেনিটাইজার বিতরণ
ঝিনাইদহ :: ইতিপুর্বে করোনা ভাইরাস জনিত কারনে ঘরে থাকা অসহায়, গরীব ও নিন্ম আয়ের মানুষদের মাঝে সিও সংস্থার পক্ষ থেকে চাল, ডাল,আলু, পিয়াজ ও রসুন বিতরণ করা সহ অন্যান্য খাদ্য বিতরন করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার ০৩/০৪/২০তারিখ বুধবার সিও প্রধান কার্যালয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ৫০ জনের মাঝে সাবান, টি মাস্ক, প্রচারপত্র ও সেনিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। সে সময় সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বলেন-করোনা ভাইরাস জনিত কারনে ঘরে থাকা নিন্ম আয়ের মানুষদের মাঝে সিও সংস্থার পক্ষ থেকে সর্বদা খাদ্য বিতরন অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আসুন আমরা সবাই দেশের এই সংকটময় সময়ে আমাদের সকলেরই যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে করোনাদূর্গত মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করি। আসুন আমরা অধিকতর সচেতন হই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলি। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল শ্রেনীর মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার আহব্বান জানান তিনি। সিও’র প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ খাবার বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলম, ওহিদুর রহমান, পরিচালক (সার্বিক), বদরুল আমিন, প্রধান হিসাব রক্ষক সহ সিও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্যানেল মেয়রকে পিটিয়ে ত্রাণের টাকা ছিনতাই
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভার প্যানেল মেয়র খাইরুল ইসলামকে মারধর করে ত্রাণের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুপুরে হরিণাকুন্ডু পৌরসভার সামনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে পৌরসভার মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টুসহ অন্যানারা অংশ নেয়। এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের ত্রান দেওয়ার জন্য হরিণাকুন্ডু পৌরসভার পক্ষ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে টাকা নিয়ে পৌরসভায় যাচ্ছিল প্যানেল মেয়র খাইরুল ইসলাম। এসময় হরিণাকুন্ডু পৌর এলাকার সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক ও কামাল মল্লিকসহ আরও কয়েক জন খাইরুলের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে ও তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মানববন্ধন থেকে টাকা উদ্ধার ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় পৌর মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু বাদি হয়ে কয়েকজেনর নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কালীগঞ্জে ব্যবসায়ী তার বাসা ভাড়ার অর্ধেকটা নিবেন না
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের মত মফস্বল শহরেও এক ব্যবসায়ী তার বাসায় ভাড়ায় বসবাসকারীদের নিকট থেকে ভাড়া অর্ধেক নেওয়া ও বাকি অর্ধেক টাকা তার এলাকার অসহায় গরীব মানুষের খাবারের জন্য ব্যয় করবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে এমন ঘোষনা দিয়েছেন শহরের বিশিষ্ট ভূষিমাল ব্যবসায়ী মোঃ মকবুল হোসেন। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের কোলা নিয়ামতপুর ভ্যান স্ট্যান্ডে বসবাস করেন। মকবুল হোসেন জানান, কালীগঞ্জ শহরের কোলা রোডে দুটি বাড়ি আছে তার। একটিতে নিজেরা বসবাস করেন অন্যটিতে ৩ টি পরিবার ভাড়ায় বসবাস করে। পরিবারের কর্তারা বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। বর্তমান সারাদেশের করোনার সতর্কীর জন্য তাদের কাজ নেই। ফলে তাদের রোজগার না হলেও সংসারে খরচ বসে নেই। এমন অবস্থায় তাদের কথা চিন্তা করে তিনি বাসা ভাড়ার অর্ধেকটা না নেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। আর বাসাভাড়ার বাকি অংশ তিনি তার প্রতিবেশিদের মধ্যে যারা গরীব অসহায় কর্মহীন আছেন তাদের জন্য ব্যয় করছেন। তিনি বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য মানুষ কাজে না যেতে পেরে আর্থিকভাবে খুব কষ্টে আছে। শুক্রবার সকালে তার মহল্লায় যারা গরীব আছেন তাদের মধ্যে মোট ২৩ জনকে ৫ কেজি চাউল ও ২ কেজি করে আলুসহ খাদ্য সামগ্রীর একটি প্যাকেট করে বাড়ি বাড়িতে পৌছে দিয়েছেন। মকবুল হোসেনের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা নাজমুন্নাহার জানান, করোনা পরিস্থিতির কাটিয়ে উঠতে না পারলে আগামী মাস থেকে বাকি অর্ধেক ভাড়াও নিবেন না। মানুষ মানুষের জন্য তাই তিনি বলেন সাধ্যমত গরীব প্রতিবেশিদের সাহায্যও করে যাবেন। তিনি আরও বলেন, শুধু সরকারী সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বিত্তবানেরা সাধ্যমত নিজ নিজ প্রতিবেশীদের দিকে একটু সুদৃষ্টি দিলে সবাই মিলে ভালো থাকা যাবে।
ঝিনাইদহ ৬ উপজেলায় সরকারী বরাদ্দের বন্টন চলছে যেভাবে
ঝিনাইদহ :: দক্ষিণাঞ্চালের অন্যতম জনবহুল ঝিনাইদহ জেলাতেও এ সকল ত্রান সামগ্রী ইতোমধ্যে পৌছে গেছে। ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর এ ৬ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ জেলা। এ ত্রান সামগ্রী গুলো অসহায় মানুষের হাতে পৌছে দিতে সকল জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কর্মকর্তারা দরিদ্র জনগোষ্টির হাতে পৌছে দিতে তালিকা চুড়ান্ত করতে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঝিনাইদহ জেলা দুর্যোগ ও ত্রান কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, ঝিনাইদহ জেলার জন্য এ পর্যন্ত মোট সরকারি বরাদ্দ পৌছেছে ৫’শ ২৮ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ১৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৫’শ টাকা। এরমধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলাতে প্রথম দফায় ৫৯ মেট্রিক টন চাউল ও ১ লক্ষ টাকা দ্বিতীয় দফায় ২৯ মেট্রিক টন চাউল ও ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকাসহ মোট ৮৮ মেট্রিক টন চাউল এবং ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা পৌছেছে। শৈলকুপা উপজেলাতে প্রথম দফায় ৩৬ মেট্রিক টন চাউল ও ১ লক্ষ টাকা,দ্বিতীয় দফায় ১৪ মেট্রিক টন চাউল ও ১ লক্ষ ২৪ লক্ষ টাকাসহ মোট ৫০ মেট্রিক টন চাউল মোট ২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা এসেছে। কালীগঞ্জ উপজেলাতে প্রথম দফায় ৩০ মেট্রিক টন দ্বিতীয় দফাতে ১১ মেট্রিক টন মিলে মোট ৪১ মেট্রিক টন চাউল এবং নগদ মোট ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পৌছেছে। মহেশপুর উপজেলাতে প্রথম দফায় ৩২ মেট্রিক টন, দ্বিতীয় দফাতে ১২ মোট্রক টন মোট ৪৪ মোট্রক টন চাউল দু’দফা, নগদ মোট ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পৌছেছে। হরিনাকুন্ড উপজেলাতে দু’দফা মিলে মোট ৩১ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এছাড়াও কোটচাঁদপুর উপজেলাতে দু’দফা মিলে মোট ২২ মোট্রক টন চাউল ছাড়াও নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পৌছেছে। যা বিতরনের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে ত্রান সামগ্রী কিছুকিছু বিতরনও শুরু হয়েছে। কালীগঞ্জ দায়িত্বে থাকা ত্রান ও দুর্যোগ কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ জানান, এ পর্যন্ত আমরা কালীগঞ্জ উপজেলাতে সরকারি ভাবে ৩ মোট্রক টন চাউল ও ৫ হাজার টাকা বিতরন করেছি। যা চলমান রয়েছে। শৈলকুপা উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী ও বর্তমান ত্রান ও দূর্যোগ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মলয় বিশ্বাস জানান, এ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের প্রত্যেক টিতে ৩ টন করে চাউল ও নগদ ১০ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। আর শৈলকুপা পৌরসভার জন্য ৪ টন চাউল ও ১ লক্ষ টাকা জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে বিতরন করা হচ্ছে। হরিনাকুন্ডু উপজেলা ত্রান ও দূর্যোগ কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, এ পর্যন্ত তিনি পাওয়া ২৩ মেট্রিক টন চাল ও ১ লক্ষ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ৮০ হাজার টাকা বিতরন করেছেন বলে তিনি জানান। মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার দায়িত্বে থাকা ত্রান কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা জানান, এ পর্যন্ত মহেশপুর উপজেলাতে হাতে পাওয়া ৮ মোট্রক টন চাউল ও নগদ ১ লক্ষ টাকার মধ্যে সব গুলোই বিতরন করে দিয়েছেন। এখনও অনেক প্রয়োজন হাতে আসলে আবার বিতরন করবেন। এছাড়াও কোটচাঁদপুর উপজেলাতে প্রাপ্ত ৭ মোট্রক টন চাউল ও নগদ ১ লক্ষ টাকার মধ্যে সব বিতরন করে দিয়েছেন। পরের বরাদ্দ আসলে আবার বিতরন করা হবে। তবে জেলা থেকে বরাদ্দ দেয়া ত্রানের সাথে মহেশপুর ও কোটচাদপুরের প্রাপ্তির হিসাবে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। এ সম্পর্কে এ দুটি উপজেলাতে দায়িত্ব প্রাপ্ত মেহেরুন্নেছা জানান, আমি যতটুকু হাতে পেয়েছি ততটুকুর কথা জানালাম। তবে ঝিনাইদহ জেলা ত্রান ও দুর্যোগ কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, আগেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ফলে হাতে না পাওয়ার কোন কারণ দেখছি না।
জীবনের ঝুকি নিয়ে কালীগঞ্জের অলিতে গলিতে যাচ্ছেন নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুবর্ণা রানী সাহা
ঝিনাইদহ :: করোনা দুর্যোগের সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুবর্ণা রানী সাহা। গত দেড় বছর আগে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলায় যোগদান করার সামাজিক এবং রাষ্ট্রিয় বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করে বেশ আলোচনায় এসেছেন। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে বাংলাদেশে যখন করোনো ভাইরাস নিয়ে তোড়জোড়,সরকার যখন সকল মানুষকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তখন থেকে ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা নিজে কখনো প্রশাসনের লোকজন সাথে নিয়ে আবার কখনো একা ড্রাইভারকে নিয়ে মানুষকে সচেতনতার কাজ করছেন। কখনো আবার দ্রব্য মুল্যে দাম যেন ব্যবসায়িরা বাড়াতে বাড়াতে না পারে সে জন্য ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করে জেল জরিমান করছেন ব্যবসায়িদের। এ উপজেলার একটি মানুষ যেন করোনায় আক্রান্ত না হয় সে জন্য তিনি রাত দিন প্রচার প্রচারনায় রয়েছেন। ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছেন। তারা যেন বাইরে বের না হয়। এ ছাড়া ও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সামাজিক দুরুত্ব মানতে এবং অসহায় খেটে খাওয়া মানুষদের খাবারেে পৗছে দিচ্ছেন তিনি। তার এই কাজকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কালীগঞ্জের মানুষ। যেখানে করোনো পরিস্থিতি নিয়ে অন্যান্য প্রশাসনের লোকজন হিমশিম খাচ্ছেন তখন তিনি এ মোকবেলায় অকা¬অন্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। স্যালুট ইউএনও মহোদয়কে।