শুক্রবার ● ৩ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পটুয়াখালীতে জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে নিহত -১
পটুয়াখালীতে জমির বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষে নিহত -১
হাসান আলী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের বিঘাইহাট এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায়ে হাসান প্যাদা (২৭) নামের একজন নিহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারজন আহত হবার খবর পাওয়া গেলেও তাদের নাম জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খান মুকিত হাসান জানান, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে প্রায় ১০কিলোমিটার দুরে চিকনতলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত সালাম গাজীকে আটক করে। এছাড়া ঘটনার সময় ব্যবহৃত বেশ কিছু আলামত পাওয়া গেছে যা জব্দ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর থানার এসআই আঃ হাই জানান, দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে তাতে হাসান নামের একজন মারা গেছে। আমরা প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করছি এবং অভিযুক্তদের বাড়িঘর তল্লাশি করছি তাদের গ্রেফতারের জন্য।
নিহত হাসানের আত্মীয় জহির ও শহিদ জানান, বাড়ীর সামনের রাস্তার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাশের বাড়ীর গাজী বংশের লোকজনের সাথে প্যাদা বংশের লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি এ নিয়ে কয়েকদফা শালিসি বৈঠকও হয়েছে। ওই শালিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকালে হাসান প্যাদাসহ তার বংশের আরো চার-পাঁচজন মাটি কেটে সেই বিরোধপূর্ণ রাস্তায় দিতে থাকে। খবর শুনে গাজী বাড়ীর জলিল গাজী, সুজন গাজী, সালাম গাজী ও আজগর গাজীসহ আরো ১০\১৫জন লোক লাঠি সোটা সেখানে হাজির হয়ে কাজ করতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল কথাকাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতি পর্যন্তও গড়ায়।
জহির জানায়, একপর্যায়ে জলিল ও সুজনগাজীসহ আরো তিন-চারজন আচমকা হাসান প্যাদার উপর হামলা চালায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসানকে পড়ে থাকতে দেখে গাজী বাড়ীর লোকজন চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে হাসান মারা যায়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে অন্যান্য অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টাও চলছে বলে তিনি জানান।
পটুয়াখালীতে করোনা সংকটে অসহায় ও দুঃস্থদের পাশে সেচ্ছাসেবী সংগঠক ও জনপ্রতিনিধিরা
পটুয়াখালী :: করোনা সংকটে পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি নিষেধ মেনে চলতে গিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন শ্রমজীবীসহ নিম্নআয়ের মানুষ। এই শ্রেণির মধ্যে রয়েছে, চায়ের দোকানদার, রেস্টুরেন্টের মালিক ও শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা, ভ্যানচালক, অটোড্রাইভার, মটরসাইকেল ড্রাইভার এবং দৈনিক শ্রম দেয়া পরিবার। এই শ্রেণির কাজকর্ম না থাকায় তাদের আয়-বাণিজ্যিও নেই। ফলে পরিবারের ভরণ-পোষণে চলছে খাদ্য সংকট। এমতাবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা, সরকারি কর্মকর্তারা এবং জনপ্রতিনিধিরা।
মহামারি করোনা সংকটে রাঙ্গাবালী উপজেলায় খেটে খাওয়া কর্মহীন শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্টগার্ড। উপজেলার ছোট - বাইশদিয়া ইউনিয়নের ফুলখালী গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দুই দিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়।
এদিকে বাউফলের উত্তর কলতা যুব সমাজ নামের একটি সংগঠন শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে দেয়া হয়েছে চাল, ডাল, পিয়াজ, আলু, সোয়াবিন তেল ও সাবান। তাদের এ কার্যক্রম সাধ্য মতো চালানো হবে বলে জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের পক্ষ থেকে সমাজের বিত্তবানদের এই দু:সময়ে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।
এদিকে মহিপুরে করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন শতাধিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে মহিপুর থানা পুলিশ। মহিপুর থানার ওসি মো.মনিরুজ্জামেনের নেতৃত্বে কর্মহীন ও হতদরিদ্র ওইসব পরিবারের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন। এসময় থানার অন্যান্য অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন। ওসি বলেন, এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউন থাকায় এ থানার নিন্ম আয়ের মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। তাই নিজ উদ্যোগে অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে চাল, ডাল, আলু, লবন, তেল, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি পারিবারের হতে তুলে দেয়া হয়েছে। গত তিন দিন ধরে পুলিশ সদস্যরা মহিপুর থানার নজিবপুর, মনোহাপুর, সুধিরপুর, ইউসুবপুর, মোয়জ্জেমপুর ও নিজামপুর গ্রামের বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা শতাধিক দুস্থ মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ খাদ্য সয়ায়তা তুলে দেন। এসময় ওসি সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানান।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের এমপি মহিব্বুর রহমান মহিব।করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ঘরবন্দি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবি ওইসব দুস্থ-অসহায় মানুষদের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণসামগ্রী পোঁছে দিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাত শতাধিক পরিবারের মাঝে এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।
উপজেলার কাজির হাওলা আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাহেরচর আশ্রয়ন প্রকল্প, নয়াভাংগুনি আশ্রয়ণ প্রকল্প, নয়াভাংগুনি বেড়িবাঁধের বাহিরে ও নদী ভাঙন কবলিত চালিতাবুনিয়ায় গিয়ে দুস্থ-অসহায় সাত শতাধিক পরিবারের প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, এক লিটার তেল, এক কেজি ডাল ও একটি সাবান বিতরণ করেছেন এমপি মহিব।
এমপি মহিবুর রহমান মহিব বলেন, সবাইকে আমি ঘরে থাকার অনুরোধ করছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি ঘরে ঘরে গিয়ে অসহায়-দুস্থদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পোঁছে দিচ্ছি।