শনিবার ● ৪ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কাপ্তাইয়ে সেনাবাহিনী দেখে পালালো দোকানদার
কাপ্তাইয়ে সেনাবাহিনী দেখে পালালো দোকানদার
কাপ্তাই প্রতিনিধি :: কাপ্তাইে ইউএনও এবং সেনাবাহিনীর গাড়ী দেখে দোকান বন্ধ করে পালিয়েছে দোকানদার। বাজারের ৬ থেকে ৭টি চায়ের দোকান কেন্দ্রীক আড্ডা দেয়া অর্ধ শতাধিক মানুষও দ্রুত দৌড়ে পালায় এসময়।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনা বৃদ্ধি লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে চন্দ্রঘোনার কেপিএমের কলাবাগান বাজার সেনাবাহিনীকে নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের ১০’তম অভিযান চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার, বড়ইছড়ি বাজার, বারঘোনিয়া বাজার, মিশন বাজার সহ কয়েকটি বাজারে অভিযান চালান, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কেপিএমের কলাবাগান বাজারে ঢুকতেই প্রায় অর্ধ শতাধিক লোক এক সাথে চোখে পড়ে। সামনে যেতেই সকলে পিছু হাটা শুরু করে। গাড়ী থেকে নেমে তাদের ডাক দিলেও তারা ফিরেনি। অন্যদিকে বাজারের অধিকাংশ দোকানই ছিলো খোলা। আমাদের গাড়ী দেখে দোকানদাররা ঝাফ ফেলে চলে যায়।
তিনি বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় এসময় পালিয়ে যাওয়া দোকানদারদের ডেকে এনে মুচলেকা নিয়েছি। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে চায়ের দোকান যেন বন্ধ রাখে এ বিষয়ে তাদের অনুরোধ করি। পাশাপাশি উপজেলার সকল বাজারের তরকারী ও মুদি মালের দোকান বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া ফার্মেসীর দোকান রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে গত কয়েকদিন স্থানীয়রা প্রশাসনের তৎপরতায় বাড়ী থেকে বের না হলেও আজ হঠাৎই এমন কান্ড করে বলে জানান তিনি।
এসময় অযথা কেউ যেনো বাড়ীর বাহিরে না আসে সে বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ বার্তা। অপ্রয়োজনে কাউকে বাহিরে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে সেনাবাহিনী কঠোর হবে বলেও জানানো হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে কাপ্তাই তথ্য অফিসের প্রচারনা কার্যক্রম নিরন্তর চলছে
কাপ্তাই :: তথ্য অফিসের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গণসচেতনামূলক প্রচারণা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কাপ্তাই তথ্য অফিসের কর্মীরা প্রতিটি ইউনিয়ন এ গিয়ে বিশ্ব মহামারি কোভিট - ১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গণসচেতনা মূলক লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করছেন। এসময় তারা করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বাইরে ঘোরাফেরা না করে বাড়িতে থাকা, সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোঁয়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার করছেন।
কাপ্তাই তথ্য কর্মকর্তা মোঃ হারুন জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এলাকাবাসীদের সচেতন করার লক্ষে আমরা নিয়মিত মাইকিং এবং প্রচার পত্র বিলির মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এই ক্ষেত্রে আমাদের কোন কর্মীর ছুটি নাই, সকলে মিলে এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছি।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, জনগণকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে সচেতন হবার লক্ষে প্রচার কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা করে আসছেন কাপ্তাই তথ্য অফিস।