রবিবার ● ৩১ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে সালমান হত্যাকান্ড হদিস মিলছে না তিন লাখ টাকার
বিশ্বনাথে সালমান হত্যাকান্ড হদিস মিলছে না তিন লাখ টাকার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি ::(৩১ জানুয়ারী ২০১৬,বাংলাদেশ,সময় রাত ৯.০০মিঃ) সিলেটের বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যকর সালমান হত্যার অন্যতম মোটিভ সেই তিন লাখ টাকার হদিস মিলছে না ৷ সালমান হত্যার আগের দিন আত্মসাতের উদ্দেশে অন্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে দিয়ে ওই টাকা তোলা হয়৷ বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরদিন সকালেই পাওয়া যায় সালমানের লাশ৷ কারা সালমানকে ব্যবহার করে টাকা তুলেছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
পুলিশ ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের মাদানিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিবি্বরের সত্ ভাই ফখরুল ইসলাম যুক্তরাজ্য থেকে গত বছরের ২৭শে ডিসেম্বর ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখার তার নিজ অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ টাকা জমা করেন৷ জমা হওয়ার তিন ঘন্টার মধ্যেই ৩ লাখ টাকার চেক নিয়ে ব্যাংকে হাজির হয় ওই মাদরাসার ছাত্র সালমান (১৭)৷অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নিজে এই চেক দিয়েছেন কি-না তা নিশ্চিত করতে ব্যাংক থেকে ফোন করা হয় অ্যাকাউন্ট ফরমে দেয়া মোবাইল নম্বরে৷ ওই নম্বর দেশে ব্যবহার করছিলেন অন্য কেউ৷ অপর প্রান্ত থেকে ফখরুল পরিচয় দিয়ে নিশ্চিত করা হয়৷ এদিকে যুক্তরাজ্য থেকে টাকা জমার খবর নিতে গিয়ে ফখরুল জানতে পারেন কে বা কারা তার অব্যবহৃত একটি চেক ব্যবহার করে তিন লাখ টাকা নিয়ে গেছে৷ খবর পেয়ে ফখরুলের হয়ে এ বিষয়ে জানতে ব্যাংকে যান মাওলানা শিবি্বর৷ তাকে টাকা উত্তোলনকারীর বিষয়ে ধারণা দেয় ব্যাংক৷ টাকা উত্তোলনকারী শনাক্ত করতে পরের দিন তাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখানোর কথা ছিলো৷ ব্যাংক ফুটেজ প্রকাশ করার আগেই রাতে খুন হয় সালমান৷ লাশ পাওয়া যায় সালমানের সহপাঠী ফখরুলের ছোট ভাই নাঈমের বাসার সামনে৷ ঘরে পাওয়া যায় তার ব্যবহৃত জুতা৷ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যে পোশাক পরনে দেখা গেছে সালমানের লাশ উদ্ধারের সময়ও সে পোশাকই ছিল৷
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা সালমানই গ্রহণ করে৷ তদন্ত অব্যাহত আছে, আর কে বা কারা জড়িত সময়মতো তা প্রকাশ করা হবে৷
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯শে ডিসেম্বর রাতে খুন হন মাদানীয়া মাদরাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের ছাত্র সালমান আহমদ৷ এ ঘটনায় মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিবি্বর আহমদ, তার বোন জামাই মাওলানা বশির আহমদ, স্থানীয় রুবেল (২৫) ও রাহাত (২০) জেল হাজতে রয়েছেন৷ পুলিশ প্রথমে নাঈমকে গ্রেপ্তার করে৷ বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন৷