রবিবার ● ৫ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » লকডাউনের ভিতরে বিধবা শাশুড়ীকে নিয়ে ধর্ম জামাই উধাও
লকডাউনের ভিতরে বিধবা শাশুড়ীকে নিয়ে ধর্ম জামাই উধাও
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: দেড়ে বছর আগে আকারুল ও আসমার সাথে ধর্ম জামাই-শাশুড়ী সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিজ নিজ ঘরে সাবালক সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু স্ত্রী ছেড়ে বিধবা ধর্মশ্বাশুড়ির প্রতি আকারুলের আসক্তির খবর কেও টের পায়নি। সুযোগ বুঝে স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে বিধবা ধর্ম শ্বাশুড়ি নিয়ে উধাও হয়ে গেলেন আকারুল। তারপর থেকে ৩ সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছে আকারুলের স্ত্রী ববিতা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। আকারুল হোসেন (৪০) ওই গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে ও ধর্ম শাশুড়ী আসমা খাতুন (৩৫) একই গ্রামের মৃত ফারুক হোসেনের বিধবা স্ত্রী। আকারুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। গ্রামবাসী জানায়, গত ১ বছর আগে আকারুলের সাথে ধর্ম জামাই সম্পর্ক গড়ে বিধবা আসমার। আসমার স্বামী না থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। শাশুড়ী আসমার পরিবারে কর্মক্ষম ব্যক্তি না থাকায় সংসারের সব কাজ ধর্ম জামাই আকারুলই করতো। ফলে তার বাড়িতে রাতে দিনে যাতায়াত ছিল অবাধ। বিধবা আসমার দেবর মিলন হোসেন জানান, তার ভাই দেড় বছর আগে মালেশিয়ায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সেই থেকে ভাবি দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের সংসার নিজেই দেখভাল করতে থাকেন। মিলনের ভাষ্যমতে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কোন আলাপ আলোচনা তার ভাবি করে না বরং ধর্মজামাইকে নিয়ে তার ওঠাবসা। তিনি আরো বলেন, ভাবি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে মায়ের বাড়িতে যাই। সেখান থেকেই লম্পট আকারুলের সাথে পালিয়েছে। রাজমিস্ত্রী আকারুলের স্ত্রী ববিতা খাতুন জানান, আমার স্বামী বাইরে কাজ করার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়েছে। যাওয়া সময় নগদ টাকা নিয়ে গেছে। বিধবা আসমা সংসার ভাঙার জন্য আমার স্বামীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমি সন্তানদের নিয়ে পানিতে পড়েছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমরা গ্রামের মানুষ বিব্রত। লোকমুখে শুনেছি রাজমিস্ত্রী আকারুল বিধবা ধর্মশাশুড়ী পাতিয়ে আসমাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। নিত্যানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জানান, ৩ মাস আগে ওদের বিষয়ে পরিষদে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠে। তারা সমাজে সুন্দরভাবে বসবাস করবে এমন মুচলেকা দিলে ঘটনাটি মিমাংশা হয়। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, জামাই ধর্ম শাশুড়ী নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি কেউ থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে দেখা যাবে।
পথচারীদের মাঝে সাবান, মাস্ক, প্রচারপত্র ও সেনিটাইজার বিতরণ
ঝিনাইদহ :: করোনা ভাইরাস জনিত কারনে ঘরে থাকা অসহায়, গরীব ও নি¤œ আয়ের মানুষদের মাঝে ইতিপূর্বে ধারাবাহিকভাবে সিও সংস্থার পক্ষ থেকে চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, রসুন, সাবান, টি মাস্ক, প্রচারপত্র ও সেনিটাইজার সহ অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী বিতরন করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ০৪/০৪/২০২০ তারিখ শনিবার সিও’র প্রধান কার্যালয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অন্তত ১৬৩ জনের মাঝে সাবান, টি মাস্ক, প্রচারপত্র ও সেনিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। সে সময় সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বলেন-করোনা ভাইরাস জনিত কারনে ঘরে থাকা নিন্ম আয়ের মানুষদের মাঝে সিও সংস্থার পক্ষ থেকে সর্বদা খাদ্য ও সাবান, টি মাস্ক, প্রচারপত্র ও সেনিটাইজার সহ অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী বিতরন অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আসুন আমরা সবাই দেশের এই সংকটময় সময়ে আমাদের সকলেরই যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে করোনাদূর্গত মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করি। আসুন আমরা অধিকতর সচেতন হই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলি। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল শ্রেনীর মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার আহব্বান জানান তিনি। সিও’র প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ খাবার বিতরনকালে উপস্থিত ছিলেন আমির হামজা বিপ্লব, মিরাজ হোসেন ,শামিম আহমেদ ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
লকডাউনের ভিতরে ঝিনাইদহে ছিনতাইকারীদের আনাগোনা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক হোমিও ডাক্তারকে হাতুড়ী পেটায় মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এক ছিতাইকারী। মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শহরের নিমতলা বাজারের ধান হাটায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিল কমল পাল নামের আহত ওই হোমিও ডাক্তারের বাড়ি যশোরের বকচর এলাকায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হোমিও ডাঃ নিল কমল পাল জানায়, কালীগঞ্জ শহরের ধান হাটায় ভৌমিক শান ঘরের উপর তলাতে তার একটি চেম্বার আছে। সেখানে প্রতিমাসে তিনি ১বার রোগী দেখতে কালীগঞ্জে আসেন। সে মোতাবেক শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে তিনি তার চেম্বারে বসে ছিলেন। শহরে লকডাউনের কারনে এ সময়ে চেম্বারে কোন রোগীও ছিলনা। এমনি মুহুর্তে মাথায় গামছা বাধা এক ছিনতাইকারী যুবক তার চেম্বারে প্রবেশ করে। তাকে কিছু জিজ্ঞাসার আগেই গামছার মধ্যে থেকে হাতুড়ী বের করে তার মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার চিৎকারে নিচে থাকা লোকজন ছুটে আসার আগেই ওই যুবক পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। সে জানায়, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই ওই যুবক তাকে আক্রমন করতে পারে বলে তার ধারনা। কালীগঞ্জ হাসপাতালের ডিউটিরত ডাক্তার আঞ্জমান নেছা জানান, হাতুড়ীর আঘাতে তার মাথায় কয়েকটি ক্ষত দেখা গেছে। চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে সে শংকামুক্ত বলে জানান তিনি।