সোমবার ● ৬ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » করোনাভাইরাস : পেটের আগুনে পুড়ছে নাপিত সম্প্রদায়
করোনাভাইরাস : পেটের আগুনে পুড়ছে নাপিত সম্প্রদায়
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যাপি চলছে সাধারণ ছুটি। ঝিনাইদহে এই ছুটির আওতায় রয়েছে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপন্যের দোকান ছাড়া বন্ধ আছে সব ধরনের ব্যবসার প্রতিষ্ঠান। ফলে মানুষ খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাচ্ছেনা। এমতাবস্থায় সেবামুলক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি নরসুন্দর (সেলুন) প্রতিষ্ঠানের কর্মিরা পড়েছেন বিপাকে। সেলুনের খরিদ্দারের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা কঠিন। ফলে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে জেলার অধিকাংশ নরসুন্দও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আবার দুই একজন গোপনে খুললেও তারা পাচ্ছেনা খর্দ্দের। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পেটের আগুনে পুড়ছে নাপিত সম্প্রদায়ের কর্মিরা। বেশির ভাগ সেলুন কর্মিরা নিজনিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। তারা অলস সময় পার করছেন। তাদের মধ্যে ক্রমেই নানা কষ্টের দেখা দিচ্ছে। এ বিষয়ে সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়ন পরিসদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েল বলেন, ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের লোকজনকে অতি প্রয়োজন কাজ ছাড়া বাইরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের দরিদ্য লোকজনকে খুঁজে তার বাড়িতে খাবার পৌয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সেলুন পেশার লোকজনদের নিয়ে আলাদা ভাবে সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রতিবন্ধি স্কুলের সভাপতি ধর্ষন করলো প্রতিবন্ধি ছাত্রীকে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুরে প্রতিবন্ধি স্কুলের সভাপতি ধর্ষন করেছে এক প্রতিবন্ধি কিশোরীকে। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী স্কুলের সভাপতি ও মহেশপুর পৌরসভার বেগমপুর বাজারপাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ইকরামুল ইসলামকে আসামী করে মহেশপুর থানায় শনিবার একটি মামলা হয়েছে। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ধর্ষিত ওই কিশোরী মহেশপুর পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের বেগমপুরে আরইউএন আকরাম অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থী। মা হারা মেয়েটির পিতাও ওই স্কুলের ভ্যানচালক। প্রতিবন্ধি স্কুলের সভাপতি হওয়ার সুত্র ধরে কিশোরীদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল ধর্ষক ইকরামুলের। গত শুক্রবার স্কুল সভাপতি ইকরামুল তাদের বাড়িকে যায় এবয় একা পেয়ে প্রতিবিন্ধ মেয়েটিকে ধর্ষন করে। মহেশপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোর্শেদ হোসেন খান জানান, বাড়িতে মেয়েটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার মেয়ের পরিবার ও প্রতিবেশীরা মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। ওসি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। শনিবার দুপুরে ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ইকরামুল ইসলাম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
কালীগঞ্জে গ্রামের পরে এবার লগডাউন
ঝিনাইদহ :: কালীগঞ্জের আনন্দবাগ গ্রামের পর সেচ্ছায় লগডাউন হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রাম। এবার লগডাউন করা হলো একই উপজেলার ধোপাবিলা গ্রাম। ওই গ্রামের ধোপাবিলা ক্রিড়াসংঘের ১০০ জন সদস্যের উদ্যোগে বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজন নিশ্চিত করে গ্রাম থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রবেশের সময় সমস্ত শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিতরণ করা হচ্ছে সাবান, জীবানুনাশক ও মাস্ক। লকডাউন সমন্বয়কারী সাগর আহম্মেদ ও মিলন মেম্বর জানান, গ্রামের ১০০ জন সেবচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা গ্রামের মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে কাজ করছেন। বসানো হয়েছে টহল। পুরো গ্রামটিকে নজদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রামের মোড়ের রাস্তায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবানুনাশক স্প্রে নিয়ে বসে থাকছে ধোপাবিলা ক্রিড়াসংঘের সদস্যরা। নতুন কেও গ্রামে আসলে তাদেরকে গোটা শরীরে স্প্রে করা হচ্ছে। লকডাউন করার বিষয়টি কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তারা জানান। কমিটির সদস্য সম্রাট শাহজাহান, আমিনুদ্দিন সুমন, ইয়াদুল ও আনার গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, ধোপাবিলা গ্রামে জনসংখ্যা আছে প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। লকডাউন করায় গ্রামের গরীব মানুষদের চাল, ডাল, তেলসহ আনুষাঙ্গিক দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামটি সুরক্ষিত থাকবে বলে অনেকে মনে করেন। কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পুর্ন নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমেকার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। ধোপাবিলা গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে।লা।
হরিণাকুন্ডুতে দুবাই প্রবাসি নারীর মৃত্যু, করোনা সন্দেহে চার বাড়ি লকডাউন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ষড়াতলা গ্রামে দুবাই প্রবাসী শাপলা বেগম (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সড়াতলা গ্রামের মুংলা মন্ডলের মেয়ে। গত ৩ মার্চ শাপলা বেগম দেশে আসেন। দেশে ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কুষ্টিয়া জেলা শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয় তাকে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন সাবধানতা অবলম্বন করে চারটি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়। হরিণাকুন্ডুর ফলসি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, মেয়েটি বিদেশ থেকে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার নানা ধরণের রোগ ছিল। তবে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ তার মধ্যে ছিল না। শাপলা বেগমের চিকিৎসা করেছিলেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ। তিনি জানান মেয়েটির হার্টে সমস্যা ছিল। তার পায়ে ইনফেকশন ছিল। যেটা নিরাময় যোগ্য ছিল না। দুবাই থাকতেই ওখানকার চিকিৎসকরা ক্যন্সার মনে করে চিকিৎসা দিয়েছিল বলে ওই নারী তাকে জানিয়েছিলেন। জামিনুর রশিদ শাপলার স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন এক সাথে দুইটি হাই এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনের ফলে তার তার গলা বুক আটকে আসতে থাকে। এরপর তার মৃত্যু ঘটে। তিনি বলেন করোনা ভাইরাসের কোন উপসর্গ তার মধ্যে ছিল না। এদিকে করোনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসান সেনা বাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় জেলা ব্যাপী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করছেন। তারপরও মানুষ বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে হাট বাজারে ও অযাথা ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
ঝিনাইদহে ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি শুরু
ঝিনাইদহ :: খাদ্য অধিদপ্তর কতৃক পরিচালিত ও.এম.এস কেন্দ্রের মাধ্যমে ঝিনাইদহের বিভিন্ন জায়গায় ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নতুন জেলখানার মোড়,মথুরাপুর, ডিলার মোঃ জামাল উদ্দীনের মাধ্যমে ও জেলা প্রসাশনের সার্বিক সহযোগিতায় ১০ টাকা করে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ডিলার জামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাদ্য অধিদপ্তর কতৃক ১০ টাকা করে মাথাপিছু ৫ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে, সপ্তাহে ৩ দিন রবিবার,মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবারে এই চাল দেওয়া হবে,প্রতিদিন ২০০ জনকে এই চাল দেওয়া হচ্ছে। ডিলার জামাল উদ্দীন আরো জানান,আমরা চালের কার্ড ও চাল দেওয়ার আগে উপস্থিত সবাইকে সামাজিক দূরত্বতা বজায় রাখতে বলি ও প্রসাশনের সহযোগিতায় আমরা চালের কার্ড ও চাল দেওয়া শুরু করি।
কালীগঞ্জে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে মিনি পুকুরে মাছের ও সবজি চাষ
ঝিনাইদহ :: কৃষক সুফল ঘোষের রয়েছে এক দাগে ৩৩ শতক জমি, যার সাড়ে ৩১ শতকে ধানের চাষ। জমির এক কোনে বাকি মাত্র দেড় শতকে রয়েছে মিনি পুকুর। যে পুকুরে করা হয়েছে মাছের চাষ, পুকুর পাড়ে আছে নানা রকমের শাক-সবজি। সবচে বড় বিষয় এই পুকুরের পানি দিয়ে কৃষক তার ধান ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন। এই পানি দিয়ে তার ধানের ক্ষেতের সেচ কাজ চলে। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সেই পানি সারা বছর সেচে ব্যবহার করছেন। সুফল ঘোষ একা নয়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ও নিয়ামতপুর ইউনিয়নে এ রকম একশত মিনি পুকুর রয়েছে। যেগুলো ধানের জমির এক কোনে কাটা হয়েছে। এই পুকুর কাটতে কৃষককে সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় সেচ্চাসেবী সংগঠন সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ^াস জানান, ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর জন্য তারা এই পুকুর খনন কার্যক্রম শুরু করেছেন। জাপানের শেয়ার দ্যাপনেট এ্যাসোসিয়েশন এর সহযোগিতায়, জাপান ফান্ড ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট জেএফজে) এর অর্থায়নে পানি সাশ্রয়ী কার্যকরী কৃষি অনুশীলন প্রকল্পটির বাস্তবায় করা হচ্ছে। প্রথম দফায় তারা কালীগঞ্জের দুইটি ইউনিয়নে ১শত কৃষকের ধানের জমিতে ১শত টি পুকুর খনন করে দিয়েছেন। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। শিবুপদ বিশ^াস আরো জানান, প্রায় ১০ হাজার টাকা ব্যয় করে প্রতিটি পুকুর কেটে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে পুকুরের পানি কিভাবে ক্ষেতে ব্যবহার করবেন, কিভাবে পুকুরের মাছ চাষের পাশাপাশি পাড়ে সবজি চাষ করবেন তা নিয়মিত পরমর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। প্রকল্পের সমন্বয়কারী তোফায়েল হোসেন জানান, তারা সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের সুন্দরপুর, দূর্গাপুর, মহাদেবপুর, আলাইপুর, কমলাপুর, ইছাপুর, পাইকপাড়া, ভাটপাড়া ও বেজপাড়া এবং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের কুড়লিয়া, বারোপাখিয়া, নরেন্দ্রপর, নিয়ামতপুর, মহিষাডেরা, দাপনা, হরিগোবিন্দপুর ও আড়–য়াশলুয়া গ্রামের মাঠে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছেন। কৃষকের ৩৩ শতক জমির মাত্র দেড় শতক জমিতে পুকুর হচ্ছে। একে তার ফসলের খুব বেশি ক্ষতি হচ্ছে না। বাকি জমিতে ধান চাষ করতে পারছেন। এতে তাদের সেচ খরচ খুবই কম হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুকুরে মাছের চাষ করছেন। যে মাছ তার সংসারের প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রিও করছেন। আরো রয়েছে পুকুর পাড়ে সবজি চাষ। কলা, কচু, লাউ, লালশাক, বেগুন সহ নানা সবজি চাষ করছেন কৃষকরা। তোফায়েল হোসেন জানান, এ সকল পুকুর থেকে তারা এক মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার টাকার সবজি, ২ লাখ টাকার মাছ পেয়েছেন। যেগুলো কৃষকরা বিক্রি করে নিয়েছেন। এছাড়া তারা সংসারে খাওয়ার জন্যও এগুলো ব্যবহার করেছেন। সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ^াস আরো জানান, তারা পানি সাশ্রয়ী পুকুর খননের পাশাপাশি কৃষকদের নিয়ে বিষমুক্ত রবিশয্য চাষ নিয়ে কাজ করছেন। কৃষকরা যেন ভার্মি কম্পোষ্ট ও বালাই নাশক দিয়ে চাষ করতে পারেন সে বিষয়েও প্রশিক্ষনরত নানা কর্মসুচি পালন করে আসছেন। বেজপাড়া গ্রামের সুফল ঘোষ জানান, তার জমিতে বছরে দুইটি ধানের চাষ হয়। বোরো ও আমন মৌমুমে তারা ধান চাষ করে থাকেন। ৩৩ শতকের এক বিঘায় বোরো মৌসুমে ২২ মন ধান হয়। এই ধান চাষ করতে কমপক্ষে ২ হাজার টাকা সেচ খরচ হয়। ২২ মন ধান বিক্রি করে পান ১৪ হাজার টাকা। আর আমন মৌসুমে এক বিঘায় ধান হয় ১৬ মন। এই ধান উৎপাদনে কমপক্ষে ৭ শত টাকা সেচ ব্যয় হয়। এই মৌসুমে ধান বিক্রি করে পাম ১০ হাজারের কিছু বেশি। হিসাব অনুযায়ী দুই আবাদে তিনি প্রায় ৩ হাজার টাকা সেচ ব্যয় করেন। আর শতকে ধান পান মাত্র ৭ শত টাকার। সেই হিসাবে দুই আবাদে ১ হাজারের কিছু বেশি টাকার ধান পাওয়া যেতো পুকুর কাটা ওই দেড় শতক জমিতে। কিন্তু সেখানে সেচ ব্যয় কম হয় ৩ হাজার টাকার। পাশাপাশি এক বছরে পুকুরে ৬শত টাকার সবজি আর ২ হাজার টাকার মাছ পেয়েছেন। কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, তিনিও একটি পুকুর খনন করেছেন। একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে পুকুর কেটে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এখন আর জমিতে পানির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এক বিঘা জমির এক কোনে পুকুর থাকায় সবসময় মাটি পানিযুক্ত থাকে। মাঝে মধ্যে তারা স্যালো মেশিন বসিয়ে সেচ দিয়ে দেন। বোরো মৌসুমে অনেক সময় বৃষ্টির পানি পুকুরে শুকিয়ে যায়, তখন স্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর ভরে রাখেন। বছরের বেশির ভাগ সময় বৃষ্টির পানি পুকুরে থাকায় সেচ নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল করিম জানান, এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ অবশ্যই ভালো তবে এটা বারো মাস কিভাবে দেওয়া যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষেতের আইলে মিনি পুকুর কৃষকরা যেমন মাছ পাচ্ছেন তেমনি সবজি পাচ্ছেন। এতে তারা উপকৃত হচ্ছেন।