সোমবার ● ৬ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় পিপিই ও সার্জিক্যাল মাস্ক প্রদান
গাইবান্ধায় পিপিই ও সার্জিক্যাল মাস্ক প্রদান
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের পক্ষ থেকে গাইবান্ধা জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সোমবার ৭শ’ পিপিই ও ৫ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ছিলেন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ, ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু প্রমুখ।
এছাড়াও মাহমুদ হাসান রিপনের পক্ষ থেকে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় দুঃস্থ, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন পরিবারগুলোর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করেন।
গাইবান্ধায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল
গাইবান্ধা :: করোনায় খাদ্য সহায়তার লক্ষ্যে গাইবান্ধায় কর্মহীন দুঃস্থদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় সোমবার ১০ টাকা মূল্যের চাল বিক্রয় শুরু হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহ¯পতিবার এই তিনদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পৌর এলাকার নির্দিষ্ট ৫টি পয়েন্টে এই চাল বিক্রি করা হবে।
গাইবান্ধার ৭টি উপজেলার ৮১টি ইউনিয়নে (পৌরসভা ব্যতীত) ১৯৪ জন ডিলারের মাধ্যমে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় মোট ১,১৫, ৮২৮ টি তালিকাভূক্ত পরিবারের মধ্যে মাসে ৩০ কেজি চাল কেজি প্রতি ১০ টাকা দরে (পরিবার প্রতি) বিক্রি শুরু হয়েছে। তালিকাভুক্ত পরিবারদেরকে উক্ত চাল সংগ্রহের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন, গাইবান্ধা।
গাইবান্ধা পৌরসভার যে সমস্ত এলাকায় চাল বিতরণ করা হবে সেগুলো হচ্ছে খানকা শরীফ মাদ্রাসা মাঠ, ডেভিড কো¤পানিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জুবলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও সুন্দরজাহান মোড়। চাল ক্রয়ের সময় ক্রেতাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রদান করতে হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে চাল নেয়ার সময় প্রতিটি ক্রেতাকে ৩ ফুট দূরত্বে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একজন ক্রেতা ৫ কেজি করে চাল ক্রয় করতে পারবে বলে জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে। প্রতিটি পয়েন্টে ২ টন করে চাল সরবরাহ করা হবে।
গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৬৩
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় সোমবার নতুন করে করোনা ভাইরাস সন্দেহে গত ২৪ ঘন্টায় কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে গত ২৪ ঘন্টায় ১৬৩ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তাদের করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কোন প্রমাণ না পাওয়ায় ৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আরও নতুন ৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তদুপরি এ জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে ৩ জন এবং সুন্দরগঞ্জ ও সাদুল্যাপুরের হবিবুল্যাহপুর গ্রামের হোম কোয়ারেন্টাইনে ২ জনকে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামের মোঃ ফজলু মিয়ার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক রবিবার সন্ধ্যায় তার নিজ বাড়িতে মারা গেছে। এদিকে রাজ্জাক করোনা ভাইরাসে মারা গেছে এই সন্দেহে একটি মেডিকেল টিম নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে সরকারি বিধিমোতাবেক গাইবান্ধা ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষিত ঈমামদের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন করা হয়। মৃত ব্যক্তির বাড়ির আশেপাশে ৬টি পরিবারকে গাইবান্ধা সদর থানার পুলিশ হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেয়। এছাড়া মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকাকালীন যে চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেছিল তাকেও হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনার দেয়া হয়েছে বলে সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ জানান।