মঙ্গলবার ● ৭ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাদাবি করা দুস্কৃতিকারিদের গ্রেফতার দাবি ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের
সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাদাবি করা দুস্কৃতিকারিদের গ্রেফতার দাবি ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের
গাজী মো. গিয়াস উদ্দিন ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের দুঃসময়ে ঝালকাঠিতে কিছু দুস্কৃতিকারী সাংবাদিক পরিচয়ে মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদাদাবি ও চাঁদা আদায়ের মত ঘৃন্য কাজ করছে এবং নানাভাবে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হয়রানি করছে। যারা এ জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব। গতকাল সোমবার বিকালে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব নির্বাহী কমিটির সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়। প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মানিক রায় জানান, শিঘ্রই এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ঝালকাঠি ০২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু, বরিশাল রেঞ্জেরে ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জোহর আলী ও পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি চিত্তরঞ্জন দত্ত। সভায় ঝালকাঠি জেলা উপজেলায় যে সকল ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও সাধারণ মানুষের সমস্যাকে পুজি করে নানাভাবে হয়রানি করে তাদের একটি তালিকা তৈরি করে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সরবারহ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় গত ২৯ মার্চ ঝালকাঠির বিভিন্ন ইটভাটায়, ২৭ ও ৩০ মার্চ কাটপট্রির একটি মুরগীর দোকানে এবং মার্চ মাসের বিভিন্ন তারিখে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চাঁদাদাবি করা কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারি বশির খলিফা, রহুল আমিন রুবেল, রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু গংদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য গত ২৭ ও ৩০ মার্চ কাটপট্রি মুরগীর দোকানে চাঁদাদাবির ঘটনায় ৩১ মার্চ দোকানের মালিক মো. কামাল হোসেন বাদি হয়ে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মামলার আসামী বশির খলিফা, রুহুল আমিন রুবেল ও রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু পলাতক রয়েছে। প্রেস ক্লাবের সভা থেকে এ মামলার আসামীদেরও গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।