মঙ্গলবার ● ৭ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে এখনো শনাক্ত হয়নি করোনা, প্রস্তুত আইসোলেশন ওয়ার্ড
বিশ্বনাথে এখনো শনাক্ত হয়নি করোনা, প্রস্তুত আইসোলেশন ওয়ার্ড
স্টাফ রিপোর্টার :: করোনা’র প্রভাবে রোগী শূণ্য সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা হাসপাতাল। ভর্তি হচ্ছেন না কেউ। সাধারণ রোগের চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরছেন রোগীরা। আউটডোরেও তেমন একটা আসছে না কেউ। খুব বেশী প্রয়োজন না হলে, হাসপাতাল আসতে অনীহা প্রকাশ করছে মানুষ। এ উপজেলায় এখনও করোনা শনাক্ত না হলেও, পার্শ্ববর্তী জেলা সদরে শানাক্ত হওয়ায় খবরে আতঙ্কে রয়েছেন সাবাই। ইতিমধ্যে জরুরী সেবায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপজেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড।
সরেজমিন উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, এক সময় হাসপাতালে জুড়ে রোগীদের ভীড় লেগেও থাকলেও, এখন সুনশান নীরবতা। অলস সময় পার করছেন ডাক্তার ও স্টাফরা। খালি পড়ে আছে আবাসিক ওয়ার্ড। ‘ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে’ নেই ব্যস্ততা। কদাচিৎ সাধরণ রোগী আসলে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় দেয়া যায়, প্রস্তুত আছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। রয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। করোনার উপসর্গ নিয়ে কেউ ভর্তি হলে নমুনা সংগ্রহ করা হবে এখান থেকেই।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৩১ শয্যার হাসপাতাল সম্প্রতি প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও, জনবল ও সরঞ্জামের কারণে নতুন ভবনে এখনও শুরু হয়নি চিকিৎসা সেবা। ৩১ শয্যায়ই চলছে কার্যক্রম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা ‘সাংবাদিকদের বলেন, আবাসিক ওয়ার্ডে আজও ভর্তি নেই। তেমন একটা আসছেন না সাধারণ রোগীও। করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে আমাদের আইসোলেশন ওয়ার্ড। প্রাথমিক ভাবে ১৫ জন রোগী’র উপযোগী করে রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে।
রামপাশা ইউনিয়নের কর্মহীন-অসহায়দের মধ্যে ২য় দফা চাল বিতরণ শুরু
বিশ্বনাথ :: করোনা ভাইরাসের সংকটময় মুহুর্ত মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কর্মহীন-অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দ্বিতীয় দফা চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রামপাশা ইউনিয়নের ১-৬-৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে চাল বিতরণের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে দ্বিতীয় দফা চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান। আগামীকাল (বুধবার) থেকে পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের অপর ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে। দ্বিতীয় দফায় জনপ্রতি ১০ কেজি করে ইউনিয়নের মোট ৪ শতাধিক পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে চাল প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ত্রাণ দেওয়া হবে। তবুও আপনারা ঘরে থাকুন, একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হবেন না। সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আর যেহেতু দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই, তাই করোনার এই মুহুর্তকে পুঁজি করে কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করবেন না। করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং সচিব নারায়ণ দেবনাথের পরিচালনায় দ্বিতীয় দফা চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী, প্রকল্প কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাওন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুহেল রানা, থানার এসআই গোপেশ চন্দ্র দাশ, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু প্রমুখসহ দলীয় নেতাকর্মী ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বনাথে ছেলের হোম কোয়ারিন্টাইন শেষে ত্রাণ নিয়ে অসহায়দের পাশে মুক্তিযোদ্ধা রহিম
বিশ্বনাথ :: যুক্তরাজ্য ফেরত ছেলের ১৪ দিনের হোম কোয়ারিন্টাইন পালন শেষে মঙ্গলবার সকালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মিরেরচর-১ গ্রামের প্রবাসী বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম ত্রাণ (খাদ্য সামগ্রী) নিয়ে দাঁড়িয়েছেন এলাকার কর্মহীন অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের পাশে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের গ্রামসহ আশপাশের ১২০টি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করেন খাদ্য সামগ্রী।
গত ২৩ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিমের পুত্র জাবেদ-ইবনে রহিম স্ব-পরিবারে দেশে আসেন। এরপর সরকারি নির্দেশনা মেনে পালন করেন ১৪ দিনের হোম কোয়ারিন্টাইন। আর হোম কোয়ারিন্টাইন পালন শেষে পিতার উদ্যোগে বিতরণ করা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কাজে অংশ গ্রহন করেন প্রবাসী জাবেদ-ইবনে রহিম। মানুষের বাড়িতে পাড়িতে পৌঁছে দেন খাদ্য সামগ্রী। বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি লবন, ১ লিটার সোয়াবিন তেল, ২টা সাবান।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ইছমাঈল আলী, প্রবাসী সাঈদ দিলোয়ার আলী হেলাল, পুরাণগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ মিয়া, এলাকার মুরব্বি আবদুল খালিক, সাহাব উদ্দিন, বকুল মিয়া, ফারুক মিয়া, মাসুক মিয়া, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, সংগঠক রাজীব আহমদ, আছাব আলী, ফারুক আহমদ, আমির আলী, আবদুল মুতলিব, ইছমাঈল আহমদ, সুহেল মিয়া প্রমুখ।
কর্মহীন-অসহায়দের পাশে ত্রাণ নিয়ে সাংবাদিক মোসাদ্দিক হোসেন সাজুল
বিশ্বনাথ :: করোনা ভাইরাসের সংকটময় মুহুর্ত মোকাবেলায় সিলেট ও বিশ্বনাথের শতাধিক কর্মহীন-অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের পাশে ত্রাণ (খাদ্যসামগ্রী) নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সাপ্তাহিক বিশ্বনাথ বার্তার সম্পাদক ও প্রশাসক মোসাদ্দিক হোসেন সাজুল। গত রোববার ও সোমবার স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি পিয়াজ, ১ লিটার সোয়াবিন তেল ও ১টা সাবান।