বুধবার ● ৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কমলগঞ্জে সর্দি, কাশি, জ্বর,শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুর মৃত্যু
কমলগঞ্জে সর্দি, কাশি, জ্বর,শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুর মৃত্যু
এম এ কাদির চৌধুরী ফারহান, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামে করোনা উপসর্গ সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়। আজ বুধবার ৮ এপ্রিল সকাল ১০ ঘটিকায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ সর্দি, কাশি, জ্বর,শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুটি মারা যায়।
রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মুজিবুর রহমান বলেন, কিছু দিন আগে শিশুটির নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে। এখন কি কারনে মারা গেছে ডাক্তার ছাড়া সঠিক বলা যাবে না।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আশেকুল হক এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য দল গিয়ে কালেঙ্গা গ্রামের লিটন মিয়ার মৃত ২ বছরের শিশুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা রিপোর্ট না আসা পযন্ত বলা যাবে না, তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা শিশুর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি নিউমোনিয়া জনিত সমস্যা হয়তো মারা গেছে। তিনি আরোও জানান সাধারনত ছোট শিশুর নিউমোনিয়ার সাথে জ্বর,শ্বাসকষ্ট থাকে। আগামী রবিবারে রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারন বুঝা যাবে। শিশুটি জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়ায় স্হানীয়দের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
করোনায় অসহায় কর্মহীন ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িয়েছে কমলগঞ্জ পুলিশ
কমলগঞ্জ :: আজ ৮ এপ্রিল বুধবার সকালে কমলগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে ও বস্তিতে প্রায় ২০০ অসহায় কর্মহীন মানুষকে এসকল খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) সিনিয়র এএসপি (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান আশিক ও
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
প্রায় ২০০ জন কর্মহীন অসহায় মানুষকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে তিনফিট দুরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাড়িয়ে সুন্দর ও শৃঙ্খলভাবে খাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, পেয়াজ, তৈল ইত্যাদি প্রদান করা হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার জনাব ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) বলেন, জনগণের পাশাপাশি পুলিশ আজ করোনা ভাইরাসের কারনে অসহায় কর্মহীন ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা গরীব মেহনতি মানুষের পাশে দাড়ালে অসহায় কর্মহীনদের না খেয়ে থাকতে হবে না।
তিনি সইবাকে মাস্ক ব্যবহার, স্যানিটাজার ও সাবান দিয়ে বার বার হাত ধোঁয়ার জন্য অনুরোধ জানান। আরও বলেন, নিজের ভাল থাকলে আপনার পরিবার ভালো থাকবে।
কমলগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কেরামত হাউসের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরন
কমলগঞ্জ :: কমলগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী কেরামত হাউসের মৃত মুজিবুর রহমান কমরু মিয়ার ছেলে জনি রহমানের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন জনি’র চাচা কমলগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নী মুহিত।
আজ ৮ মার্চ বুধবার সন্ধায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কর্মহীনদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেন কাউন্সিলর।
কাউন্সিল গোলাম মুগ্নী মুহিত বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হওয়াতে পরিবারের আহার যোগাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে, অনেকেই অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন। আমি আমার আত্বীয় স্বজনদের সাথে কর্মহীন অভাব গ্রস্ত মানুষের দু:খ-দুর্দশার কথা শোনালে একে একে তারা মানবিকতার কথা চিন্তা করে তাদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসছেন। এরই ধারাবাহীকতায় জনি রহমানের সহযোগিতায় আজকের এই দ্রব্য সামগ্রী বিতরন।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই চক্ষু লজ্জার ভয়ে দিনের আলোয় সহযোগীতা নিতে নারাজ হন, তাই তাদের সামাজিক মর্যাদা রক্ষার জন্যে রাতের আঁধারে বাড়ী বাড়ী দিয়ে খাদ্যদ্রব্য পৌছিয়ে দিচ্ছি, এবং এই ধারা করোনার প্রভাব না কাটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানান।