বৃহস্পতিবার ● ৯ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » উখিয়ায় দফায়-দফায় সংঘর্ষে মামলা-পাল্টা মামলায় ৩১ আসামী : পুরুষ শূন্য পুরো এলাকা
উখিয়ায় দফায়-দফায় সংঘর্ষে মামলা-পাল্টা মামলায় ৩১ আসামী : পুরুষ শূন্য পুরো এলাকা
পলাশ বড়ুয়া, উখিয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের উখিয়ার সোনাইছড়িতে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। মামলা। পাল্টা মামলা হওয়ায় পুরো এলাকা এখন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ।
জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল নিয়মিত মামলার আসামীকে আহমদ শরীফ নামে এক যুবকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের হাতে ছেলে আটকের খবর পেয়ে সোনাইছড়ির এলাকার আলী হোছনের স্ত্রী নুর নাহার স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করে। স্বজনদের দাবীর প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত শেষে মহিলার মরদেহ গত রোববার দাফন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডাঃ মেরাজ হোসেন চয়ন বলেন, ওইদিন মৃত অবস্থায় রোগীটি কোটবাজার অরিজিন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। লাশের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বলে তিনি ধারণা করেন।
এদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় নুর নাহারের মৃত্যুর অভিযোগ এনে আলী হোছন বাদী হয়ে দুইজন আইনজীবী, দুইজন শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক দুইজন ইউপি সদস্য, যুবলীগ নেতা, এনজিও কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে আসামী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যার উখিয়া থানার মামলা নম্বর- ০৩। আসামীদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন ও এডভোকেট আবদুল আওয়াল সুজন, সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাষ্টার ছৈয়দ আহমদ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এসএম সাইফুদ্দিন, জালিয়াপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার শামসুল আলম, সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন, এনজিও কর্মকর্তা রিদুয়ান হোসেন, যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহীন সরওয়ারকে আসামী করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনা লকডাউনকালীন ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গত ৩ এপ্রিল মোবারক হোসেন বাদী হয়ে জালিয়াপালং সোনাইছড়ি গ্রামের নুরুল আবছার নান্নু, আহমদ শরীফ ও আলী হোছনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে। উখিয়া থানার মামলা নম্বর- ৪৫।
ওই ঘটনায় পুলিশী অভিযানে নিয়মিত মামলায় আসামী আহমদ শরীফকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে মায়ের মৃত্যু হলে পরবর্তীতে মানবিক বিবেচনা করে তাকে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইনানী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহা।
এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। বর্তমানে পুরো এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে বলেও তিনি জানান।